বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরি এক বিবৃতিতে বলেন, সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাতিলের দাবিতে গণতান্ত্রিক বামমোর্চা ১৬-১৮ অক্টোবর ঢাকা-সুন্দরবন রোডমার্চ আহবান করে।
আজ (১৬ অক্টোবর) সকালে রোডমার্চটি প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়ে দুপুরে মানিকগঞ্জে পৌছায়। মানিকগঞ্জ শহীদ মিনারে একটি জনসভা করার কথা ছিল বামমোর্চার। কিন্তু রোডমার্চ মানিকগঞ্জে পৌছার পূর্বেই সমাবেশস্থলের মাইক ও ব্যানার পুলিশ ছিনিয়ে নেয়। মানিকগঞ্জে রোডমার্চ পৌছার পর বামমোর্চার নেতৃবৃন্দ শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশে পুলিশি হস্তক্ষেপের ব্যাপারে নিন্দা জানিয়ে সাংবাদিকদের সাথে যখন কথা বলছিলেন, তখন অতর্কিতে পুলিশ রোডমার্চে অংশগ্রহণকারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে বেপরোয়া লাঠিচার্জ করতে থাকে। বামমোর্চার নেতা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশরেফা মিশুকে পুলিশ পদদলিত করে আহত করে। আহত হন বামমোর্চার সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী) এর কেন্দ্রিয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য ফখরুদ্দিন কবির আতিক, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কর্মী নিজাম উদ্দিন, বাসদ (মার্কসবাদী) এর ঢাকা নগর শাখার নেতা কল্যাণ দত্ত প্রমুখ। রোডমার্চে অংশগ্রহণকারীদের উপর নির্বিচার নৃশংস এ লাঠিচার্জে নারী কর্মীসহ প্রায় ৩০ জনের অধিক নেতাকর্মী আহত হন।
পুলিশ পূর্ব প্রস্তুতি নিয়েই এ হামলা পরিচালনা করে। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের মাধ্যমেই রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভয়াবহতার কথা দেশবাসীকে জানাতে চেয়েছিলেন বামমোর্চার নেতৃবৃন্দ। কিন্তু অগণতান্ত্রিক, ফ্যাসিস্ট এ সরকার নিষ্ঠুরতার মাধ্যমে একে দমন করতে চাইছে। নেতাকর্মীরা দৃঢ়তার সাথে একে মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে চলেছেন। এ পুলিশি হামলার বিরুদ্ধে সমস্ত গণতান্ত্রিক মনোভাবাপন্ন মানুষকে সোচ্চার হওয়ার জন্য তিনি বিবৃতিতে আহবান জানিয়েছেন।