২১ অক্টোবর ২০১৫ বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সম্মুখে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার বিক্ষোভপূর্ব সমাবেশে মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মুষ্টিমেয় মুনাফালোভী স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠির উন্নয়নের জন্য দেশবাসী সুন্দরবনসহ বিপর্যস্ত দক্ষিণাঞ্চলের অবশিষ্ট প্রাণ, প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্য ধ্বংস হতে দিতে পারে না। তারা বলেন, ভারতীয় স্বার্থে ও তাদের জালিয়াতি কোম্পানী এনটিপিসির কর্তৃত্বে রামপালে কয়লাভিত্তিক পরিবেশ বিধ্বংসী বিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরী করা হচ্ছে। রামপাল প্রকল্পের পক্ষে গতকাল প্রদত্ত ‘বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশীপ পাওয়ার কোম্পানীর’ দাবিকে প্রত্যাখান করেছেন এবং বলেছেন এসব ঠুনকো ও ফালতু যুক্তি দিয়ে কয়লাভিত্তিক এই বিশাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিপজ্জনক দিকগুলো আড়াল করা যাবে না। নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে ‘স্বাধীন সমীক্ষা কমিশন’ গঠনের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তারা সরকারকে সতর্ক করে বলেন রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগ করে জনগণের উপর এই বিপজ্জনক প্রকল্প চাপিয়ে দেয়া যাবে না।
বাম মোর্চার সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাচ্চু ভূইয়া, অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বহ্নিশিখা জামালী, শহীদুল ইসলাম সবুজ, হামিদুল হক, মহিনউদ্দিন চৌধুরী লিটন।
সভায় নেতৃবৃন্দ সুন্দরবন রক্ষায় বাম মোর্চার ১৬-১৮ অক্টোবরের রোডমার্চে পুলিশ ও সহযোগি বাহিনীসমূহের নির্বিচারে হামলা, আক্রমণ, নির্যাতন, লাঠিচার্জ এবং মোর্চার নেতা সাইফুল হক, মোশরেফা মিশুসহ মোর্চার নেতাকর্মীদের আহত করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং বলেন পুলিশী সন্ত্রাস চালিয়ে জনগণকে ন্যায্য আন্দোলন থেকে বিরত রাখা যাবে না। তারা বলেন সরকারের আতংক আজ এই পর্যায়ে যে শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিক যেকোন প্রতিবাদেই তারা ভয় পাচ্ছে।
নেতৃবৃন্দ রোডমার্চে হামলার সমগ্র ঘটনার অবিলম্বে গ্রহণযোগ্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন এবং নেতাকর্মীদের নির্যাতনের সাথে যুক্ত পুলিশ সদস্যদের গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেছেন।
সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল তোপখানা রোড, পুরানা পল্টন, বিজয়নগর প্রদক্ষিণ করে।