২৪ অক্টোবর ২০১৫ বিকাল ৪টায় বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র ও সমাজেতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে প্রেসক্লাবের সামনে রাজধানীর মতিঝিলে রুনা আক্তার হত্যাকারী আল আমিনসহ বখাটেদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র ঢাকা নগর শাখার সহ সভাপতি মর্জিনা খাতুন এবং সভা পরিচালনা করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক শরিফুল চৌধুরী। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সভাপতি সীমা দত্ত, ঢাকা নগর শাখার সভাপতি সুলতানা আক্তার রুবি, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট ঢাকা নগর শাখার সভাপতি নাঈমা খালেদ মনিকা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাসুদ রানা। আরো বক্তব্য রাখেন নিহত রুনা আক্তারের বাবা মো: সোবহান ও বোন তানিয়া আক্তার।
সমাবেশে প্রধান বক্তা সীমা দত্ত বলেন, গত ১৬ অক্টোবর শুক্রবার সন্ধ্যায় বখাটেদের মটর বাইকের চাপায় নিহত হন রুনা আক্তার। মটর বাইকে ওড়না পেঁচিয়ে দীর্ঘপথ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর মাত্র একজন আসামী আল আমিন গ্রেফতার হলেও অন্যান্য আসামী এখনও গ্রেফতার হয়নি। অবিলম্বে অভিযুক্তেেদর গ্রেফতার ও বিচারের দাবি জানান।
রুনার বাবা মো: সোবহান ও বোন তানিয়া আক্তার হত্যাকারী আল আমিনসহ বখাটেদের অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তারা বলেন ইতিমধ্যে অপরাধীরা তাদের হুমকি দিচ্ছে। পুলিশও সহযোগিতা করছে না। বরং সরাসরি ঘটনা প্রত্যক্ষ না করেও মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটা কোনো ভাবেই হত্যাকান্ড নয় বলে পত্রিকায় বিবৃতি দিয়েছেন। প্রশাসনের এই ধরনের দায়িত্বহীন বক্তব্য অপরাধীদেরই শক্তিশালী করবে। বখাটেদের হাত থেকে বাঁচতে হলে রুনার খুনীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দিতে প্রশাসনকে বাধ্য করার জন্য আন্দোলন গড়ে তুলতে তারা সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
এছাড়াও নেতৃবৃন্দ বর্তমান সময়ে নারীর উপর সহিংসতা ও নির্যাতনের ভয়াবহতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। কারণ নারীর উপর নৃশংসতা এত বেড়ে চলেছে যে তাতে দেশবাসী বিশেষ করে নারীসমাজ আতঙ্কের মধ্যে অবস্থান করছে। আশঙ্কার বিষয় নিজ গৃহ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র, এক কথায় ঘরে-বাইরে সর্বত্রই নারী নিরাপত্তাহীন। নির্যাতনের ধরনগুলো মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়।