নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত কয়েকমাস ধরে পুস্তক বাঁধাই শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আমরা সংগ্রাম করছি। বাংলাবাজার এলাকায় গত দুই বছরে মজুরি বাড়েনি, অথচ বাজারে সবকিছুর দাম বেড়েছে। বর্তমান বাজার দর এবং শ্রমিকদের হাড়ভাঙ্গা খাটুনির বিনিময়ে মালিক-প্রকাশকরা যতটা মুনাফা করে তা বিবেচনায় ২৫০ টাকা রোজ কোন অন্যায্য দাবি নয়। ইতিমধ্যে আমরা জেনেছি, পুস্তক বাঁধাই ব্যবসায়ী সমিতি শ্রমিকদের দাবির মুখে রোজ মাত্র ১৫ টাকা বৃদ্ধি করে সর্বোচ্চ রোজ ১৭৫ টাকা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্ত শ্রমিকদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ গত ২ বছরে জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি হিসাবে নিলে প্রকৃত মজুরি বাড়বে না। আমাদের দেশে মূল্যস্ফীতির হার বর্তমানে কমপক্ষে ৭-৮% এর মত। সেই হিসাবে দুই বছরে গড়ে ১৫% দাম বেড়েছে। অথচ রোজ বাড়ানো হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ১৭৫ টাকা, বৃদ্ধির হার ৯% এর মত। তাই, আমরা ব্যবসায়ী সমিতি ঘোষিত রোজ ১৭৫ টাকা প্রত্যাখান করছি এবং মজুরি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধির দাবি জানাচ্ছি। নেতৃবৃন্দ কিছু মালিক কর্তৃক আজকের বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দিতে শ্রমিকদের বাধা দেয়া এবং পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক ফেডারেশনের সদস্য আরিফ, আল আমিনসহ ৪ জনকে আহত করার তীব্র নিন্দা জানান।
পুস্তক বাঁধাই শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ ও পদযাত্রা
পুস্তক বাঁধাই শ্রমিকদের বাঁধাই শ্রমিকদের ৮ ঘন্টা (রোজ) কাজের মজুরি ২৫০ টাকা নির্ধারণ করার দাবিতে এবং মালিক সমিতি ঘোষিত রেটচার্ট প্রত্যাখান করে পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক ফেডারেশনের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও সূত্রাপুর থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব পর্যন্ত পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৬ সকাল ১১.৩০টায় পুরান ঢাকার লক্ষীবাজারস্থ বাহাদুর শাহ্ পার্কের সামনে থেকে মিছিল শ্যামবাজার, সূত্রাপুর, বাংলাবাজার এলাকা প্রদক্ষিণ করে প্যারীদাস রোড়স্থ পুস্তক ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং পুনরায় মিছিলটি বাহাদুর শাহ্ পার্ক হয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে পুস্তক বাঁধাই শ্রমিক ফেডারেশনের আহ্বায়ক জামিল ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি কমরেড আ ক ম জহিরুল ইসলাম, সংগঠনের উপদেষ্টা ফখরুদ্দিন কবির আতিক, রাজীব চক্রবর্তী, শ্রমিক প্রতিনিধি খলিলুর রহমান, মনির হোসেন, খোকন মিয়া প্রমুখ। সমাবেশ পরিচালনা করেন সংগঠনের সদস্য সচিব মানিক হোসেন।
RELATED ARTICLES