সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে অবিলম্বে নতুন বাস ক্রয় করে বাসের ডাবল ট্রিপ চালু কর, ক্যান্টিনে খাবারের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ও লাইব্রেরিতে পর্যাপ্ত বই-জার্নালের দাবিতে ৬ জুন ২০১৬ দুপুর ১ টায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেহেরাব আজাদের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক তিথি চক্রবর্তীর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি কৃষ্ণ বর্মণ ও সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার সরকার।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন,“জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই আবাসিক হল-পরিবহন-ক্যান্টিন- লাইব্রেরী সংকট নিয়ে চলছে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম। শতকরা ৯৩ ভাগ শিক্ষার্থী পরিবহন সুবিধা ভোগ করতে পারছে না। আবাসিক হল না থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার জন্য খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে বাস ধরতে হয়। তাও ছাত্র সংখ্যা অনুপাতে বাস সংখ্যা অপ্রতুল হওয়ায় বাদুর ঝোলা হয়ে আসতে হয় বেশির ভাগ শিক্ষার্থীদের, আবার অনেক শিক্ষার্থী বাসে না উঠতে পেরে বিভিন্ন পাবলিক পরিবহনে আসতে বাধ্য হচ্ছে। এই পরিস্থিতির শিকার হয়ে গত বছর মাসুক মারা যাওয়ার পর থেকে আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করে আসছি পরিবহন সমস্যা সমাধানের দাবিতে। কিন্তু এতদিনেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বিকার, বলছে টাকা নেই। অথচ গত দশ বছরে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরিবহনের নামে আদায় করা হয়েছে ৮ কোটি টাকা।”
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন,“হল নাই তারপর একটি মাত্র ক্যান্টিন নিয়ে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়। খুব সকাল বাদুড় ঝোলা হয়ে ক্যাম্পাসের আসার পর ক্যান্টিনে যায় খাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা সেখানেও করুন অবস্থা। একদিকে খাবারের দাম বেশি অপরদিকে নি¤œমান। যেখানে প্রয়োজন ছিল ক্যান্টিনে পর্যাপ্ত ভর্তুকি দিয়ে খাবারের দাম কমানোসহ খাবারের মানবৃদ্ধি, ভাতের ব্যবস্থা,ক্যান্টিনের পরিসর বৃদ্ধি করা। সেটা না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন খাবারের দাম আবার বৃদ্ধি করল কার স্বার্থে ? আমরা অবিলম্বে ক্যান্টিনে ভর্তুকি বাড়িয়ে খাবারের দাম কমানো, খাবারের মান বৃদ্ধিসহ ভাতের ব্যবস্থা করার দাবি জানাচ্ছি।”
নেতৃবৃন্দ বলেন,“ লাইব্রেরি হল একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণসত্বা। যা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে শাণিত করে। কিন্তু শতকরা ১০ ভাগ শিক্ষার্থীও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সুবিধা ভোগ করতে পারছে না। শিক্ষার্থী অনুপাতে অপ্রতুল বই সংখ্যা ও সীমিত জায়গা নিয়ে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির কার্যক্রম,নেই আধুনিক সংস্করনের বই ও জার্নাল। তাই প্রয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সম্প্রসারণ, পর্যাপ্ত বই-আধুনিক জার্নাল। সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের ধারাবাহিক আন্দোলনের ফলে লাইব্রেরি রাত ৮ টা পর্যন্ত চালু করা হলেও আধুনিক বই-জার্নালের স্বল্পতা লাইব্রেরি কার্যক্রমকে বস্তুত অকার্যকর করে রেখেছে। অবিলম্বে পর্যাপ্ত বই-আধুনিক জার্নালসহ কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সম্প্রসারণ করে শিক্ষার্থীদের জ্ঞানচর্চার জন্য সুবিধা সুনিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনকে আহ্বান জানাই।”
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আসছে বাজেটে হল-পরিবহন-ক্যান্টিন-লাইব্রেরি সমস্যা সমাধানে বিশেষ থোক(উন্নয়ন) বরাদ্দের দাবি জানান এবং শিক্ষার্থীদের নি¤েœাক্ত কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।
কর্মসূচিঃ
১. আগামী ৩০ জুলাই পর্যন্ত স্বাক্ষর সংগ্রহ
২. ৩১ জুলাই স্বাক্ষরসহ উপাচার্যকে স্মারকলিপি পেশ।