শতাধিক মানুষের প্রাণ খরচ করে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষ করলে সরকার। এ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ তৃণমূল পর্যন্ত তার নিরঙ্কুশ কায়েমী স্বার্থ বিস্তৃত করার পরিকল্পনা সফল করলো। প্রায় সবক’টি ইউনিয়ন পরিষদেই আওয়ামী লীগ জিতেছে, খুব অল্প কিছু জায়গায় জিতেছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী। ফ্যাসিবাদী শাসন পাকাপোক্ত করার জন্যই এবারের ইউ.পি নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে দেশের কৃষক জনসাধারণকে আওয়ামী লীগ তার কব্জার মধ্যে রাখতে চেয়েছিলো। গ্রামের যে কায়েমী স্বার্থভোগী গোষ্ঠী সরকারের অনুগত থাকে, তাদেরকেই জোরপূর্বক নির্বাচিত করে গোটা গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে নিয়ন্ত্রণ করার পরিকল্পনাই আওয়ামী লীগ বাস্তবায়ন করলো।
কিন্তু নির্বাচন শেষ হলেও মৃত্যুর মিছিল বন্ধ হয়নি। একের পর এক হত্যাকা- চলছে। এক-দুদিন নয়, প্রতিদিনই লোমহর্ষক হত্যাকান্ডের খবর পত্রিকায় আসছে। দেশে সাম্প্রদায়িক শক্তির তৎপরতা ক্রমাগত বাড়ছে। আগে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ধর্ম নিয়ে যারা লেখালেখি করতেন তারা মৌলবাদীদের টার্গেট ছিলেন। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, বাউল, মন্দির-গীর্জা-মঠের পুরোহিত, এমনকি ইসলাম ধর্মের সুন্নী ব্যতীত অন্যান্য ধারার লোকদেরও হত্যা করা হচ্ছে। আই.এস, আনসারুল্লাহ বাংলা গ্রুপ ইত্যাদি ধর্মীয় জঙ্গী গোষ্ঠীগুলো হত্যার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দিচ্ছে। কিন্তু তারা ধরা পড়ছে না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে শিক্ষককে হত্যা করা হলো তিনি কস্মিনকালেও ধর্ম নিয়ে কিছু লিখেননি। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক কাজ কর্মের সাথে যুক্ত ছিলেন। নিজের গ্রামের বাড়িতে একটি গানের স্কুল চালাতেন। কতটুকু অসহিষ্ণু হয়ে গেলে, কতটুকু মধ্যযুগীয় চিন্তাভাবনা ধারণ করলে, কতখানি কূপমন্ডুক হলে এমন লোককে হত্যা করা যায়! ইসলামের আবির্ভাবের যুগে এই অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে ইসলামকে লড়তে হয়েছিলো। তখন আরবের পৌত্তলিকরা তাদের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যায় বলে ইসলাম ধর্মকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছিলো। আর আজ ইসলামের নাম করে কতিপয় লোক সেই পৌত্তলিকদের মতই নিজেদের বিশ্বাসের বিরুদ্ধে যা কিছু যায় তাকে জোরপূর্বক দমনের রাস্তায় নেমেছে। আর এক্ষেত্রে তারা কাজে লাগাচ্ছে পুঁজিবাদী সমাজের ভয়াবহ নিপীড়নে পিষ্ট, অপমানিত-অবমানিত যুবক-তরুণদের।
আবার যে কোনো হত্যাকান্ডকেই জঙ্গি আখ্যা দিয়ে সরকারের তরফ থেকে একভাবে দায় সারা হচ্ছে। কোনো তদন্ত নেই, অভিযোগ গঠন নেই, বিচার নেই। কিছু হয়ে থাকলেও তা করা হচ্ছে কোনোরকমে কাজ সারার জন্য। অথচ এই হত্যাকা-গুলো সুপরিকল্পিত। আর সাথে এই কথাও উড়িয়ে দেয়া যায় না যে, এসব হত্যাকান্ডের পেছনে দেশী-বিদেশী বিভিন্ন এজেন্সি জড়িয়ে থাকার সম্ভাবনা আছে। দেশে যখন একটা অরাজক পরিস্থিতি থাকে, তখন বিভিন্ন শক্তিসমূহ তা থেকে ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করে। হত্যাকা-গুলোর ব্যাপারে সরকারের নিরব ভূমিকাও এই প্রশ্নের উদ্রেক করে।
এইরকম একটা অরাজক পরিস্থিতির মধ্যে সংসদে খসড়া বাজেট প্রণীত হলো। বিশাল এই বাজেটে ঘাটতির পরিমাণ ৯২,৩৩৭ কোটি টাকা। অর্থাৎ এই ঘাটতির পুরোটাই পূরণ করা হবে গরীব-মধ্যবিত্ত মানুষের ওপর করের বোঝা চাপিয়ে দিয়ে। এ জন্যই ভ্যাট বা মূল্য সংযোজন করের আওতা বাড়ানো হয়েছে। এতে পাউরুটি, হাতে তৈরি কেক, বিস্কুট, হাওয়াই চপ্পলসহ সাধারণ মানুষের ব্যবহার্য জিনিসপত্রের দাম বাড়বে। মজুররা-চাকুরিজীবীরা-খেটে খাওয়া মানুষরা রাস্তার চায়ের দোকান থেকে যা কিছু কেনে সেগুলোরও দাম বাড়বে।
অথচ এদেশে বর্তমানে কি ভয়াবহ দরিদ্রতা বিরাজ করছে তা ভাবাও যাবেনা। অভাবে পড়ে মানুষ নিজের কিডনী পর্যন্ত বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। সারা দেশের কথা দূরে থাক, এক জয়পুরহাটের কালাইয়ের ১৮ টি গ্রামেই ২০০ লোক কিডনী বিক্রি করেছেন। স্থানীয় ইউপি মেম্বারের ভাষ্য হলো, ওখানে গ্রামে গ্রামে ঘুরে এমন লোক পাওয়া কষ্টকর যার দুটো কিডনী আছে। কাজের খোঁজে গ্রামের লোক দালাল ধরে নৌকায় করে সাগর পাড়ি দিচ্ছে। এতে দল বেঁধে মারা পড়ছে কখনও কখনও। যারা কোনোরকমে অন্য দেশে পৌঁছাতে পারছে তারা অবৈধ শ্রমিক হিসেবে কম বেতনে, নামমাত্র মজুরিতে নিজের শ্রম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। দরিদ্র হতে হতে মানুষ কোথায় নেমেছে ভাবা যায়! তাকে আরও দরিদ্র করে দেয়া, রাস্তার ভিখিরিতে পরিণত করার জন্য এই বাজেট।
সাধারণ মানুষের ব্যবহার্য জিনিসপত্রের উপর কর বাড়িয়ে দিয়ে এই বাজেটে শুল্ক প্রত্যাহার হবে তরল প্রাকৃতিক রাবার, হুইট ক্রাশার, ফ্লাই অ্যাশ, প্যারাফিন ওয়াক্স ইত্যাদি পণ্যের। সাধারণ মানুষ জানেওনা এগুলো কি কাজে লাগে। এতে বড় বড় শিল্পপতিদের মুনাফা বাড়বে।
কোনো পণ্য বা সেবার মূল্য নির্ধারণে সরকারের অনুমতি নিতে হয়। এবারের বাজেটে এ ব্যবস্থাটি তুলে দেয়া হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে পণ্য বা সেবার মূল্য নির্ধারণে ব্যবসায়ীরা স্বাধীন। ব্যবসায়ীরাও বাজেটকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আরও বেশি সুযোগ-সুবিধা কী কী দেয়া যেত তা নিয়ে দেন-দরবার করছেন।
ফলে এবারের বাজেট বরাবরের মতই জনস্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে মুষ্টিমেয় পুঁজিপতিশ্রেণীর স্বার্থরক্ষা করার জন্য। গরীব-নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত মানুষের রক্তশোষণের জন্য। তাহলে মানুষের গন্তব্য কোথায়? কোথাও কি কোনো আশার খবর নেই?
সরকার বলছে, আছে। তারা দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হওয়ার গল্প শুনিয়েছেন। তাতে মানুষের কী লাভ হয়েছে তারা তা বুঝতে পারেনি। আমরা জানি, বিশ্ব ব্যাংক মধ্যম আয়ের দেশ ঘোষণা দেয়ার ক্ষেত্রে যে সকল সূচক ব্যবহার করে তা দিয়ে জনগণের জীবন ব্যবস্থার উন্নতি বোঝায় না। ফলে জনগণ সেই একই জায়গায় আছে— সেই একই দারিদ্র, একই অনিশ্চয়তা, একই নিরাপত্তাহীনতা।
এ সকল কারণে সস্তা শ্রমের বিরাট ক্ষেত্র এই দেশ। মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো তাই এখানে আসতে চায়। দেশের পুঁজিপতি শ্রেণীও তাদের সাথে কোলাবরেশনে বিরাট মুনাফার সম্ভাবনা দেখছে। তাই সবরকম আইন, সংবিধান, নিয়ম, ঐতিহ্য— সবকিছুকে পদদলিত করে আওয়ামী লীগকে আনা হলো। ক্ষমতায় এসে সে তাই পুঁজিপতিদের সেবায় তৎপর। ইতোমধ্যে ভারতের আদানি-আম্বানি গ্রুপকে শর্তহীনভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমতি দেয়া হয়েছে, চট্টগ্রামে জাপানকে ইপিজেড করার জন্য বিশাল জায়গা দেয়া হয়েছে, চীনের সাথে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আধুনিকায়নের ব্যাপারে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে কর মওকুফ, স্বল্প মূল্যে গ্যাস, বিদ্যুৎ ইত্যাদির সুবিধা দিচ্ছে সরকার।
এসব ক্ষেত্রে ভারতের ভাগই বেশি। ভারতের তার প্রতিবেশী রাষ্ট্রসমূহের কারও সাথেই সুসম্পর্ক নেই। নেপাল ও শ্রীলঙ্কা তার প্রভাবের মধ্যে আর আগের মতো নেই। মায়ানমার চীনের সাথে বেশি সম্পর্কিত। একমাত্র বাংলাদেশই তার পুরোপুরি কব্জার মধ্যে। ভারত চীনের সাথে বিরোধের জেরে আমেরিকার সাথে হাত মিলিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশকে সে ছাড়তে চায় না। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে এসে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস. জয়শঙ্কর বাংলাদেশ, ভারত ও আমেরিকা একসাথে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করবে কি’না এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত একসাথে কাজ করছে। আমেরিকার ব্যাপার তিনি এড়িয়ে যান। এ ব্যাপারে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক সহকারি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাইয়ের মন্তব্য উল্লেখ করলে তিনি বলেন, ‘এটা আমেরিকা বলেছে। আমরা তো বলিনি।’ এতে স্পষ্টই বোঝা যায় যে, ভারত বাংলাদেশকে তার প্রভাববলয়ের মধ্যে রাখতে চায়। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে তার সংযোগ হলেও ভারতের মাধ্যমেই হোক তারা এটা চায়। এর মানে এই নয় যে, বাংলাদেশ ভারতের তাবেদার রাষ্ট্র হয়ে গেছে। বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা খাত আধুনিকায়নের জন্য চীনের সাথে চুক্তি করেছে। অন্যান্য দেশের সাথেও সে আলাদাভাবে সম্পর্ক রক্ষা করছে। সাম্রাজ্যবাদী দেশসমূহের নিজেদের পারস্পরিক এবং অনুন্নত পুঁজিবাদী দেশগুলোর সাথে তাদের সম্পর্ক ব্যাখ্যা করে এ যুগের অন্যতম মার্কসবাদী চিন্তাবিদ ও দার্শনিক, ভারতের এসইউসিআই(কমিউনিস্ট)- এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক কমরেড শিবদাস ঘোষ বলেছিলেন , “সাম্রাজ্যবাদ ও অনুন্নত পুঁজিবাদী দেশগুলির পারস্পরিক ক্ষেত্রে এখনও equality-এর কোনো স্থান নেই। এরা হয় একে অন্যকে তাঁবেদার করে, না হয় একে অন্যের তাঁবেদারে পরিণত হয়। সা¤্রাজ্যবাদ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকে ক্রমাগত প্রাধান্য বিস্তার না করে থ াকতে পারে না। একে অন্যের প্রাধান্য নষ্ট করেই নিজের প্রাধান্য বিস্তার করে থাকে। এর ফলে সাম্রাজ্যবাদী পুঁজিবাদী দেশগুলোর পারস্পরিক দ্বন্দ্বও অমোঘ নিয়মে বিরাজ করে।” আমেরিকা-ভারত সম্পর্কে কিংবা তাদের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই কথাটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
দেশের মানুষ ভেতরে ভেতরে ভীষণ ক্ষুব্ধ। কিন্তু জনতার এ বিক্ষোভ তার মানসিক জগতেই সীমাবদ্ধ। এটি এখনও সংগ্রামের মাধ্যমে লাখো জনতার সংগঠিত শক্তিতে পরিণত হতে পারেনি। কিন্তু শাসকশ্রেণীর প্রতি শুধু ঘৃণা ও বিক্ষুব্ধ মনোভাবই যথেষ্ট নয়। একে সংগ্রামী জনতার সংগঠিত শক্তিতে পরিণত করতে হবে। বিএনপি-জামাত কখনও এ কাজ করবে না। তাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী জেলে, অনেকেই গুম হয়ে গেছে- ব্যাপারটা শুধু এই বলে নয়। তারা সত্যিকার অর্থে কোনো গণআন্দোলন গড়ে তোলার জন্য কোনোদিনই কাজ করেনি। করবেও না। কারণ তারা যখন ক্ষমতায় থাকে তখন তারাও একই প্রক্রিয়ায় শাসন পরিচালনা করে। তারা একই পুঁজিপতি শ্রেণীর দল। সাধারণ মানুষের দাবিদাওয়া নিয়ে আন্দোলনের একমাত্র শক্তি বামপন্থীরা। তারাই একমাত্র পারে দেশের বুকে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে। জনগণের মধ্যে এ বোধ নিয়ে যেতে হবে যে, বর্তমান রাষ্ট্র ও সমাজব্যবস্থার আইন-কানুনের মাধ্যমে সংশোধন ও নির্বাচন কিংবা বিভিন্ন সংস্কারমূলক উপায়ে তাদের এই সমস্যা-সংকট দূর হবে না। এটি দূর করতে গেলে বিপ্লবের মাধ্যমে এ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন করতে হবে। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে বামপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি। এই ঐক্য বিষয়ে এ কথাও স্মরণ রাখা আবশ্যক যে, “সম্মিলিত বামপন্থী মোর্চা গঠনের উদ্দেশ্য বা সার্থকতা জনতার উপর সমস্ত বামপন্থী দলগুলির সম্মিলিত নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা নয়- পরন্তু সম্মিলিত আন্দোলন সংগঠনের মারফৎ বিচ্ছিন্ন ও খন্ড- বিখন্ড জনশক্তিকে একত্রিত করা এবং সাথে সাথে আন্দোলনের মারফৎ সেই আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের আসল শ্রেণী চরিত্র, উদ্দেশ্য ও যোগ্যতা বিচার করিয়া লইতে জনসাধারণকে সুযোগ দান।”(ভারত থেকে প্রকাশিত, ভারতের এসইউসিআই পার্টির সাপ্তাহিক মুখপত্র ‘গণদাবী’ এর ১লা অক্টোবর ১৯৫৩ সংখ্যা থেকে)
কাজেই ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে সারাদেশ জুড়ে জনগণের মধ্যে যে ঘৃণা ও অসন্তোষ এবং তাকে কেন্দ্র করে যে বিরাট আন্দোলনের সম্ভাবনা বিরাজ করছেতাকে বাস্তবে রূপায়িত করতে হলে উপরোক্ত প্রক্রিয়ায় বামপন্থীদের ঐক্যবদ্ধ গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শুধু ঐক্যের জন্য ঐক্য নয়, ভোটে যাওয়ার জন্য ঐক্য নয়— কার্যকর গণআন্দোলনের জন্য ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া দেশের মানুষের মুক্তির অন্য কোনো উপায় নেই।