বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরীর শারীরিক অবস্থা এখন অনেকটা আশংকামুক্ত। ফুসফুসে সংক্রমণজনিত তীব্র কাশি ও শ্বাসকষ্টের কারণে গত ১৫ জুন তাঁকে ক্যালকাটা হার্ট ক্লিনিকের ইনটেনসিভ থেরাপী ইউনিটে ভর্তি করা হয়।
সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় দেখা যায় ‘অ্যাটিপিক্যাল নিউমোনিয়া’-জনিত গুরুতর সংক্রমণ তাঁর দুইটি ফুসফুসের বেশিরভাগ অংশে ছড়িয়ে পড়েছিল। প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও নিবিড় চিকিৎসা ও ডাক্তার-নার্সদের অক্লান্ত পরিশ্রমে তিনি ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠতে থাকেন। এখন তাঁর অবস্থা বিপদমুক্ত, তবে তিনি এখনো পুরোপুরি সুস্থ হননি। তাঁর শরীর এখনো দুর্বল। পুনরায় সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে গত ২৫ জুন তাঁকে হাসপাতাল থেকে পার্শ্ববর্তী একটি গেস্টহাউজে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে তিনি আরো কিছুদিন চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকবেন।
উল্লেখ্য, কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরীর বয়স বর্তমানে ৮২ বছর। ইতিপূর্বে তাঁর ইউরিনারী ব্লাডার ক্যান্সার চিকিৎসা ও হার্টে বাইপাস সার্জারী করা হয়েছে, পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। তাঁর বয়স এবং নানাবিধ শারীরিক জটিলতার কারণে সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে চিকিৎসা পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কে বি বক্সীর নেতৃত্বে এবং বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. শৈবাল ঘোষ, ডা. শুভংকর চ্যাটার্জিসহ অন্যান্য চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল টিম তাঁর চিকিৎসা করেন। চিকিৎসার সার্বিক সমন্বয় ও ব্যবস্থাপনা করেন হার্ট ক্লিনিকের মেডিকেল ডাইরেক্টর ডা. অশোক সামন্ত এবং ডা. সুভাষ দাশগুপ্ত। ভ্রাতৃপ্রতিম পার্টি ‘সোশ্যালিস্ট ইউনিটি সেন্টার অব ইন্ডিয়া’-এসইউসিআই (কমিউনিস্ট) দলের সহযোগিতায় তাঁর চিকিৎসার যাবতীয় আয়োজন করা হয়েছে।
বাসদ(মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির পক্ষ থেকে এজন্য তাঁর চিকিৎসকগণ, ক্যালকাটা হার্ট ক্লিনিকের কর্মী ও এসইউসিআই(সি) নেতৃবৃন্দের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।