গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী ও মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হেসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, বাসদ (মাহবুব)-এর কেন্দ্রীয় নেতা ইয়াসিন মিঞা ও মহিনউদ্দিন লিটন যুক্ত বিবৃতিতে তেল-গ্যাস-খনিজ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিলের দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচীতে পুলিশের হামলা, গ্রেফতার ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে আহত করার ঘটনায় নিন্দা ও তীব্র প্রতিবাদ জানান।
নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, “আজ জাতীয় কমিটির উদ্যেগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচীতে পুলিশ হামলা চালিয়ে জাতীয় কমিটির অর্ধশত নেতা-কর্মীকে আহত করে এবং বেশ কয়েকজন নেতা কর্মীকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। দেশের জাতীয় সম্পদ সুন্দরবন ধ্বংস করতে সরকার জনসাধারনের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ও সকল মতামত উপেক্ষা করে সম্পূর্ণ গায়ের জোরে ভারতের এনটিপিসি কোম্পানির সাথে চুক্তি করে রামপাল ও ওরিয়ন বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মণ করছে। মহাজোট সরকার কোন কিছুরই তোয়াক্কা না করে দেশের স্বার্থ সম্পূর্ণ জলাঞ্জলী দিয়ে সাম্রাজ্যবাদী বহুজাতিক কোম্পানির স্বার্থ রক্ষায় সদা তৎপর ভূমিকা পালন করছে। দেশের মধ্যে যেন কোন ধরনের প্রতিবাদ আন্দোলন গড়ে উঠতে না পারে এই জন্য সরকার ফ্যাসিস্ট কায়দায় সকল প্রতিবাদ কর্মসূচী দমন করছে।”
নেতৃবৃন্দ বলেন,“গণতান্ত্রিক কর্মসূচীতে পুলিশের বাধা হামলা আজ নিয়মে পরিণত হয়েছে। সরকারের এ ধরনের ফ্যাসিবাদী আক্রমণ এর আগেও জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলনে হয়েছে। গত বছর অক্টোবর মাসের সুন্দরবন রক্ষার দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার রোডমার্চে পুলিশ বর্বর ভাবে আক্রমণ চালায়। আজ পুলিশ প্রশাসন সরকারের দলীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। অবিলম্বে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করে জাতীয় কমিটির ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নের জোর দাবি জানান এবং একই সাথে হামলায় জড়িত দায়ি পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করেন।”