গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারের দাবিতে ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, শুক্রবার, জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক ফিরোজ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু, বাসদ (মার্কসবাদী) অন্যতম কেন্দ্রীয় নেতা ফখরুদ্দিন কবীর আতিক এবং সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেতা হামিদুল হক।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকারের এই সিদ্ধান্ত অগণতান্ত্রিক এবং জনগণের স্বার্থের সাথে চরম বেঈমানী। অবিলম্বে গ্যাসের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করতে হবে। তা নাহলে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখ সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকা শহরে হরতাল পালনের আহ্বানা জানান নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সবগুলো গ্যাস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান লাভজনক অবস্থায় আছে এমন একটা পরিস্থিতিতে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির এই ঘোষণা কোনভাবেই আসতে পারেনা। এই মূল্যবৃদ্ধির ফলে সাধারণ মানুষের জীবনে সঙ্কট বৃদ্ধি পাবে। পরিবহন, কৃষি উৎপাদন ও শিল্পউৎপাদন চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। দ্রবৃমূল্য বৃদ্ধির ফলে জনগণের জীবনে এমনিতেই নাভিশ্বাস দশা, লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি কম আয়ের মানুষকে দুর্দশাগ্রস্ত করবে। সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের বেতন বৃদ্ধি পেলেও পেলেও বেশির শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষের আয় বৃদ্ধি পায়নি, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন এখনো ৫ হাজার ৩শ টাকা। গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ফলে খেটে খাওয়া মানুষদের ঘরভাড়া বেড়ে যাবে। ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বড় শহরগুলোতে বেশিরভাগ শ্রমজীবী মানুষই এই দুরবস্থার মধ্যে পরবেন। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর খরচ বৃদ্ধি পাবে এবং তাদের সক্ষমতা কমে যাবে, সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমে যাবে এবং সব মিলিয়ে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিই একটি বিরাট চ্যালেঞ্জের মধ্যে পরবে। তাহলে কার স্বার্থে এই মূল্য বৃদ্ধি?
নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী লীগ দেশে যে লুণ্ঠনের রাজত্ব কায়েম করেছে, তার তহবিল জোগাতেই এই মূল্যবৃদ্ধি। বাংলাদেশের জনগণ এই দাম বৃদ্ধি মেনে নেবে না। গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোকে সাথে নিয়ে এই মূল্যবৃদ্ধির এই চক্রান্ত প্রতিহত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নেতৃবৃন্দ এবং আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির আধাবেলা হরতাল সফল করার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।