বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)’র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী সারাদেশে অব্যাহত নারী নির্যাতন ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে ‘ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে গতকাল ঢাকা থেকে থেকে শুরু হওয়া লংমার্চে আজ ফেনীতে পুলিশ-যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং এই হামলাকে আওয়ামী লীগ সরকারের নৈতিক পরাজয়েরই প্রকাশ বলে অভিহিত করেছেন।
তিনি বিবৃতিতে এই ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “বর্তমান সরকার ভোট-ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতায় জোর করে টিকে আছে। জনগণের প্রতি ন্যূনতম কোনো দায়িত্ব তারা পালন করছে না। সারাদেশে অব্যাহত নারী ধর্ষণ-নিপীড়ন বেড়ে চলেছে। তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে এই সরকার কোনো তৎপরতা দেখাচ্ছে না। অথচ যারা এই ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও দলীয় সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিচ্ছে। এভাবে একের পর এক মতপ্রকাশের কোনো সুযোগ তারা রাখতে চাচ্ছে না। দুর্নীতি, লুটপাট, মাদকের ব্যবসা, হত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়ন-এমন কোনো অপকর্ম নেই, যা আওয়ামী লীগ সরকার করছে না। দেশে হাজার হাজার ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে, হত্যার ঘটনা ঘটছে। খোঁজ নিলে জানা যায়, এর পেছনে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনই দায়ী। তাই সরকার ধর্ষণ ও বিচারহীনতার বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনকে এত ভয় পায়। একারণে এই আন্দোলনকে দমন করতে চায়। তাদের নৈতিক কোনো শক্তি থাকলে এরকম গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ লংমার্চে ন্যাক্কারজনক হামলা সংঘটিত করতে পারত না।”
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, “আমরা দেশের সকল প্রগতিশীল ও গণতান্ত্রিক শক্তিকে এই আন্দোলনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। অব্যাহত নারী ধর্ষণ-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সকলের সম্মিলিত লড়াই-ই পারবে সরকারের এই ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনকে রুখে দিতে। সেই সাথে ফেনীতে লংমার্চে হামলাকারীদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”