এক
আমরা সবাই জানি শিক্ষার উদ্দেশ্য হলো জ্ঞান অর্জন। শিক্ষাব্যবস্থা এমন হবে যাতে একজন ছাত্র শরীর ও মন দু’ দিক থেকেই বিকশিত হয়। কিন্তু বর্তমানে দেশের শিক্ষাব্যবস্থার হাল-হকিকত বিশেষত প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষাপদ্ধতি দেখে প্রশ্ন উঠেছে আমরা কি শিক্ষার্থী নাকি পরীক্ষার্থী তৈরি করছি? বছরব্যাপী নানা ধরনের পরীক্ষা ছোট ছোট বাচ্চাদের দিতে হচ্ছে। পরীক্ষা তো একটা মূল্যায়ন পদ্ধতি। যে পদ্ধতিতে একজন শিক্ষার্থী সমাজ ও প্রকৃতি সম্পর্কে ধাপে ধাপে বুঝতে শিখবে। কিন্তু আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় তার কতটুকু সুযোগ থাকে? শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অপ্রতুল আয়োজন, পাঠদানকারী শিক্ষকের প্রশিক্ষণহীনতাসহ সামগ্রিক দুরাবস্থা একজন ছাত্রকে বিকশিত হবার সুযোগ দেয় না। অথচ পরীক্ষা নামক মূল্যায়ন পদ্ধতির মুখোমুখি হতে হয় কেবল ছাত্রকেই। সমস্ত দায় যেন তাদের! এই অবস্থায় পিইসি ও জেএসসি পরীক্ষা যুক্ত হওয়ায় শিক্ষা নিয়ে ছাত্র-অভিভাবকদের মাঝে আরও ভীতির সঞ্চার করেছে।
যদিও এবারের পিএসসি, জেএসসি, জেডিসি পরীক্ষায় ফলাফলের দিক থেকে এসেছে ব্যাপক সাফল্য। প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় পাস করেছে ৯৭.৯২, জেএসসিতে ৮৯.৮৫, জেডিসিতে ৯৩.৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী। আনন্দের খবর-ই বটে! কিন্তু তারপরেও অভিভাবক-শিক্ষার্থীদের মাঝে কেন নানা প্রশ্ন, অসন্তোষ? কিছুদিন আগে দেশের বহুল প্রচারিত একটি দৈনিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী-অভিভাবকের কথা এসেছে। রাজধানীর একটি নামকরা স্কুলের ছাত্রী ঝুমুর। অংশ নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায়। পরীক্ষা তো নয়, যেন যুদ্ধ। মাত্র ১০ বছর বয়সেই পাবলিক পরীক্ষায় লড়ছে এ শিশুটি। পুরো বছর কোচিং-ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে কেটেছে ব্যস্ততায়। মেলেনি একটুও বিশ্রাম। খেলাধুলার সুযোগ পায়নি বা দেওয়া হয়নি। পরীক্ষায় এ প্লাস পাওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয় বছরের শুরু থেকেই। আইডিয়াল স্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র রাহাত বলেছে, ‘সারাক্ষণ বই পড়তে হয়। সারা বছরই পরীক্ষা। স্কুলে যেতে হয়, কোচিং-এ ক্লাস করতে হয়। কোথাও ঘুরতে যেতে পারি না। খেলাধুলার সময় কোথায়?’ রাজধানীর অগ্রগামী শিশু নিকেতনের শিক্ষিকা দুর্গা রানী বাছাড় বলেন, ‘পিএসসি ও জেএসসি আমাদের সন্তানদের জীবনে শুধু দুটি সার্টিফিকেট যোগ করতে পেরেছে। বিনিময়ে কেড়ে নিচ্ছে ওদের সুন্দর ও প্রাণবন্ত শৈশব ও কৈশোর।’
শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের এই আর্তনাদ শিক্ষামন্ত্রী বা শিক্ষার সাথে যারা যুক্ত আছেন তারা শুনতে পান না। শুনতে পেলে শিক্ষাব্যবস্থার জয়ডঙ্কা বাজাতে তাদের কষ্ট হতো বৈকি। বরং শিক্ষামন্ত্রী মনে করেন, ‘পিইসি-জেএসসি’র মতো পাবলিক পরীক্ষা থাকার কারণে শিক্ষা সম্পর্কে অভিভাবক-শিক্ষার্থীরা আরও সচেতন হয়েছে। পিইসি পরীক্ষা বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলে উৎসবে পরিণত হয়েছে। শিশুর পড়াশুনার ব্যাপারে পরিবারের সবাই আগ্রহী হয়ে উঠছে।’ সরকারের কর্তাব্যক্তিরা একে বলছেন যুগান্তকারী পরিবর্তন কিন্তু একটু কান পাতলেই বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থার অসারতার চিত্রটি সচেতন মানুষ মাত্রই বুঝতে পারবেন। আসলে পাসের হার বৃদ্ধি আর শিক্ষার মান বৃদ্ধি যে এক কথা নয় সাম্প্রতিক কালের বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলোতেই তার প্রমাণ পাওয়া যায়। একটি উদাহরণ দিলেই যথেষ্ট হবে, হাজার হাজার এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি বিভাগে ভর্তির জন্য মাত্র দুই জন যোগ্যতা অর্জন করেছে। বেশিরভাগ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ১০ শতাংশের বেশি পাশ করেনি!
দুই
শিক্ষা ব্যবস্থার সাথে মূল্যায়ন পদ্ধতি অঙ্গাঙ্গিভাবে যুক্ত। বলা ভালো, উন্নত মূল্যায়ন ব্যবস্থা প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ গড়ে তুলতে পারে। এক্ষেত্রে সাধারণত দুই ধরনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়- শিক্ষণ ভিত্তিক (teaching based) প্রক্রিয়া অন্যটি শিখন ভিত্তিক (learning based) প্রক্রিয়া। প্রথম পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীর অর্জিত জ্ঞানের পরিমাপ বছর শেষে বার্ষিক বা সমাপনী পরীক্ষার মাধ্যমে হয়ে থাকে। এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীর সারা বছরের অর্জনের খুব বেশি মূল্যায়ন করা যায় না। পড়াশুনা ছাড়াও অন্যান্য ক্ষেত্রের দক্ষতাগুলো খুব ভালোভাবে নিরূপণ করা যায় না। এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষক যতটুকু সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন, শিক্ষার্থীকে ততটুকু নিস্ক্রিয় হতে দেখা যায়।
অপরদিকে শিখন ভিত্তিক (learning based) প্রক্রিয়ায় পড়ালেখার মূল উদ্দেশ্য থাকে শিক্ষার্থীর নানাধরনের কর্মকান্ডের মূল্যায়ন। সেখানে শিক্ষার্থী পড়াশুনা ছাড়াও নানা কর্মকান্ডে সক্রিয় থাকবে এবং শিক্ষক সেখানে সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন বলে মনে করা হয়। শিখন-ভিত্তিক প্রক্রিয়ার একটি অত্যাবশ্যক উপাদান হল, শিক্ষার্থীর অব্যাহত শিখনে সময়ে সময়ে তাকে মূল্যায়ন করে সে অনুযায়ী feedback প্রদান করা। বছর কিংবা নির্দিষ্ট সময় শেষে শিক্ষার্থী সার্বিকভাবে কী শিখল তাও সেখানে পরিমাপ করা হয়।আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রথমোক্ত পদ্ধতিতেই শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হয়। কেননা বেশিরভাগ স্কুলগুলোতে শিক্ষার্থীদের সার্বিক মূল্যায়নের পরিপূরক ব্যবস্থা নেই। সরকার প্রাথমিক শিক্ষারও দায়িত্ব নেয় না। ২০১২ সালে কিছু স্কুল জাতীয়করণ করা ছাড়া সরকার নতুন করে সরকারি স্কুল নির্মাণ করেনি। সরকারি স্কুলগুলোর বেহাল দশা। এর মধ্যে আবার নতুন করে চালু করা হয়েছে সৃজনশীল প্রশ্নপদ্ধতি। চালুর সময় মোড়কী অনেক স্লোগান থাকলেও এখন সচেতন মানুষের কাছে এর সর্বনাশা দিকগুলো ক্রমেই স্পষ্ট হচ্ছে। মুখস্ত আর গাইড বই-টিউটর নির্ভরতা আগের যেকোন সময়ের চেয়ে বেড়েছে। সৃজনশীল পদ্ধতি সম্পর্কে শিক্ষকদেরও উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দেয়া হয়নি। ফলে সৃজনশীল প্রশ্ন হয়ে পড়েছে গতানুগতিক। এই পরিস্থিতিতে পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো।
তিন
এইচএসসি পর্যন্ত পাশ করতে চারটি পাবলিক পরীক্ষায় পাশ করার যে বিধান সরকার চালু করেছে তা ২০১০ সালে প্রণীত অগণতান্ত্রিক জাতীয় শিক্ষানীতির প্রাথমিক খসড়াতে ছিল না। শিক্ষানীতিতে পাবলিক পরীক্ষার সংখ্যা ছিল দুটি। পরবর্তীতে নিজেদের সুবিধামত শিক্ষানীতি সংশোধন করে এবং সর্বশেষ শিক্ষা আইন করে পিইসি এবং এসএসসি পরীক্ষার বৈধতা তৈরি করছে সরকার। সরকারের এই পরিকল্পনার পিছনে রয়েছে শিক্ষা সম্পর্কিত বাণিজ্যিক দৃষ্টিভঙ্গি।
স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি সরকার শিক্ষাকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেবার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়েছে, শিক্ষাকে করেছে ব্যয়বহুল। ‘পড়াশুনা করতে টাকা লাগবে’- এই ধারণা ব্যাপকভাবে বিস্তৃত করা হয়েছে। বর্তমান সরকার তাদের শিক্ষানীতি এবং অন্যান্য পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে এই প্রক্রিয়াকে কেবল ত্বরাণি¦তই করছে। পিইসি-জেএসসি চালু করার পর ব্যাপক বাণিজ্যিকীকরণ শুরু হয়েছে একদম স্কুল পর্যায় থেকেই। স্কুলে চালু করা হয়েছে বাধ্যতামূলক কোচিং। অব্যাহত পরীক্ষার চাপ সামাল দিতে শিশুরা গাইড বই ও প্রাইভেট টিউশনির দিকে আরো বেশি ঝুঁকে পড়েছে। অবস্থা এমন হয়েছে, অনেক অভিভাবক একদম শিক্ষাজীবনের শুরু থেকেই বাচ্চাদের কোচিং-এ দিচ্ছেন। ফলে শিক্ষা ব্যয় বেড়েছে কয়েকগুণ।
পিইসি-জেএসসি ‘পাবলিক’ পরীক্ষা হবার কারণে অভিভাবকরা এর ফলাফলকে খুব গুরুত্বের সাথে দেখছেন। ১০ বছরের একটি শিশু পিইসি পরীক্ষার গুরুত্ব না বুঝলেও তার অভিভাবক ভবিষ্যতে সন্তানের একটি ভালো চাকুরির জন্য সম্ভব সব কিছুই করার চেষ্টা করছেন। তথাকথিত সৃজনশীল পরীক্ষা পদ্ধতির কারণে পড়া মুখস্থ করানোর জন্য স্কুলে শিক্ষকদের আর বাসায় মা-বাবার চাপে কচি মুখগুলো পেরেশান। শহর কিংবা গ্রাম-সবখানে একই চিত্র। ফলে শিক্ষাব্যবস্থা হয়ে পড়েছে পরীক্ষাকেন্দ্রিক। পরীক্ষা নামক বোঝার কারণে পড়ালেখা নিয়েই ভীত হয়ে পড়েছে কোমলমতি শিশুরা। আবুল হাসান নামে একজন অভিভাবক বলেছেন, ‘এখন কে কোন গ্রেড পেল, কে জিপিএ ৫ পেল অভিভাবকদের কাছে এ বিষয়টিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক- সবার চোখ শিক্ষা নয়; বরং পরীক্ষার দিকে।’ এক অসুস্থ প্রতিযোগিতায় ছেয়ে
গেছে গোটা সমাজ মনন। সরকারের কর্তাব্যক্তিরা নম্বর বাড়িয়ে দেবার নির্দেশনা দিচ্ছেন। কেননা যত বেশি পাশের হার আর এ প্লাসের সংখ্যা তত সরকারের শিক্ষাক্ষেত্রে সাফল্যের বাহাস! কিন্তু তাতে যে ভিতরটা ক্রমেই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। প্রশ্নফাঁসের মতো মারাতœক সামাজিক ব্যাধি গোটা সমাজকে গিলে ফেলছে। স্কুলগুলো ভালো ফলাফল কিনতে অসাধু শিক্ষা কর্মকর্তা-ব্যবসায়ীদের দ্বারস্থ হচ্ছে। শিক্ষক-অভিভাবকরা কোমলমতি শিশুদের হাতে প্রশ্ন তুলে দিতে দ্বিধা করছেন না। সন্তানের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য এ কোন ভবিষ্যৎ আমরা তৈরি করছি প্রতিদিন?
পরীক্ষাকেন্দ্রিক মানসিকতা গড়ে উঠার ফলে পরীক্ষায় কাজে লাগবে না এমন কোন জ্ঞান বা পড়া অবাঞ্চিত হয়ে যাচ্ছে। অভিভাবকরাও তাই চান। পরীক্ষায় লাগবে না এমন গল্প, উপন্যাস, ইতিহাস, বিজ্ঞান, দর্শন, সাহিত্য পড়া অপ্রয়োজনীয় সময় ব্যয় মনে করেন। ফলে শিশুদের মধ্যে শিক্ষাকে সমন্বিত করে ভাবতে পারার ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে না। একধরনের অন্তঃসারশূণ্য সার্টিফিকেটধারী প্রজন্ম তৈরি করার চেষ্টা চলছে। বিশিষ্ট সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক দুঃখ করে বলেছেন, ‘আমাদের আগামী প্রজন্মে কোনো বুদ্ধিজীবী-চিন্তক থাকবে না। এসব তাদের কাছে অপ্রয়োজনীয় বলে মনে হবে।’ শেখার যে অভিজ্ঞতাই হতে পারত শিশুর জীবনের শ্রেষ্ট সম্পদ, শিক্ষাব্যবস্থার ভঙ্গুর দশা সেই সম্ভবনাকে ক্রমেই ঠেলে দিয়েছে এক বেদনাদায়ক প্রশ্নোত্তর মুখস্থ করার পদ্ধতিতে। শিশুরা হারাচ্ছে তাদের আনন্দময় শৈশব। সে আর রাঙা প্রভাত দেখে না, দেখে না আবিররাঙা সন্ধ্যাকাশ। তার জন্য নেই নির্মল বায়ু, উন্মুক্ত আকাশ। উপভোগ করতে পারে না বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ কিংবা নক্ষত্র খচিত নভোমন্ডল। নেই সমবয়সী বন্ধুদের সঙ্গে খেলার সুযোগও। পড়ার চাপে পারিবারিক সামাজিক আনন্দ থেকে সে বঞ্চিত। ক্রমে আত্মপরায়ন হয়ে ওঠা শিশু অর্থবিত্তকে জীবনের একমাত্র সফলতা মনে করে। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি কোনো দায় অনুভব করে না।
আমাদের সমাজে একজন মানুষের অন্যের প্রতি দায়িত্বশীল-অনুভূতিবোধ সম্পন্ন হওয়া সর্বোপরি জ্ঞানে-বিজ্ঞানে বিকশিত হয়ে গড়ে উঠার সব আয়োজনগুলোই অবরুদ্ধ। আমাদের শিশুরাও এই পরিস্থিতির শিকার। উন্নত নীতি-নৈতিকতা আজ ব্যক্তিস্বার্থ-অসুস্থ প্রতিযোগিতার যাঁতাকলে পিষ্ঠ। পিইসি-জেএসসি পরীক্ষা এই শিশুদের গড়ে উঠার পিছনে আরেকটি বাধা। অভিভাবকরাও অস্থির, দিশাহীন। অনেকে এই পরীক্ষাপদ্ধতি বাতিলের দাবিও জানিয়েছেন। কিন্তু আজ একথা না বুঝে উপায় নেই যে, ধনিক শ্রেণীর প্রতিনিধিত্ব করে যে সরকারগুলো তারা শিক্ষার উপর এই আক্রমণ করবেই। একদিকে তারা সর্বনিম্ন স্তর থেকে শিক্ষার ব্যবসায়ীকরণ করবে অন্যদিকে ধ্বংস করবে মূল্যবোধ-নীতি-নৈতিকতার শেষ চিহ্নটুকুও। তাই শুধু সৎ উদ্দেশ্য দিয়ে কিংবা রাগ-ঘৃণা প্রকাশ করে এ পরিস্থিতি পাল্টাবে না। প্রয়োজন সঠিক আদর্শের ভিত্তিতে সর্বব্যাপক সংগঠিত প্রতিরোধ। না হলে পরম আদরের প্রিয় শিশুটিও আর আমাদের থাকবে না।