আওয়ামী মহাজোট সরকার মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের মত জনগণের পকেট কাটছে
অল্প দামের জ্বালানি তেল বেশি দামে বিক্রি, গ্যাসের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব ও বিদ্যুতের দাম দফায় দফায় বাড়ানোর মধ্যেদিয়ে মহাজোট সরকার জনগণের সাথে মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের মত আচরণ করছে। জনসাধারণকে সংগঠিত হয়ে এইগণবিরোধী সরকারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়তে হবে।” বাসদ (মার্কসবাদী) নেতা কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী আজ এক সমাবেশে এ কথাবলেন। গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম আবারো বাড়ানোর সরকারী পরিকল্পনার প্রতিবাদে এবং এই অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবনাঅবিলম্বে বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ ১৯ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকাল ৫টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যপরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী, মানস নন্দী, উজ্জ্বল রায়, ফখরুদ্দিন কবির আতিক, সাইফুজ্জামান সাকন প্রমুখ। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন-গুলিস্তান-বায়তুল মোকাররম মর্কেট এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, “বর্তমান সরকারের সাড়ে ছয় বছরের শাসনামলে বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানো হয়েছে ৮ বার এবং গ্যাসেরমূল্য বাড়ানো হয়েছে ৩ বার। বর্তমানে জ্বালানি তেলের দাম কমে যাওয়ায় বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ অনেক কমেছে। বিদ্যুতের দামযেখানে কমানোর কথা, তা না করে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবনা এসেছে। গ্যাস আমাদের নিজস্ব সম্পদ ও লাভজনকখাত, এর দাম দফায় দফায় বাড়ানোর কোন যুক্তি নেই। অথচ, বিইআরসি’তে পেট্রোবাংলা গ্যাসের দাম বাড়ানোর যে প্রস্তাবনাপাঠিয়েছে তাতে গ্যাসের বিল হবে সিঙ্গল বার্নারে ১১০০ টাকা ও ডাবল বার্নারে ১২০০ টাকা, যা বর্তমানে যথাক্রমে ৬০০ টাকা ও৬৫০ টাকা। প্রস্তাবিত মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের আর্থিক অনটন আরও বাড়াবে। বাড়বে বাড়ীভাড়া, পরিবহন ভাড়া ও কৃষিউৎপাদন ব্যয়। বাড়বে জীবনযাত্রার ব্যয়।”
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “অনির্বাচিত এই মহাজোট সরকারের জনগণের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই। জনমতের কোন তোয়াক্কা তারাকরে না। জনগণের সংগঠিত প্রতিরোধই কেবল স্বেচ্ছাচারী সরকারের অপতৎপরতাকে প্রতিহত করতে পারে।”