বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল(মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী এক বিবৃতিতে আজ হরতাল পালনকালে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জয়পুরহাট জেলা শাখার সভাপতি ছাত্র নেতা তাজিউল ইসলামকে গ্রেফতার করে থানায় চোখ বেঁধে নির্যাতনের সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যদের শাস্তি দাবি করেন। তিনি রংপুর কারমাইকেল কলেজে ছাত্র জোট নেতা-কর্মীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার দাবি করেন। এই হামলায় আহত হয়েছেন ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রোকনুজ্জামান রোকন ও রায়হান বকশী, কারমাইকেল কলেজ শাখার সভাপতি হোজায়ফা সাকওয়ান জেলিড, ছাত্র ফেডারেশন রংপুর জেলা কমিটির আহ্বায়ক প্রত্যয়ী মিজান ও জেলা কমিটির সদস্য আসিফ ইকবাল সাজু। কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে আটক ছাত্র ফ্রন্ট নেতা মাহাথির মোহাম্মদসহ ছাত্র জোটের আটককৃত ১৩ নেতা-কর্মীর অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “তনু হত্যাসহ সারাদেশে অব্যাহত নারী ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে এই হরতাল প্রতিহত করতে সরকার পুলিশ দিয়ে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার নির্যাতন করেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হওয়া স্বাভাবিক, সরকার তনু হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে চায় বলেই প্রতিবাদকারীদের ওপর চড়াও হয়েছে। নারী-শিশুসহ জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ সরকার জনগণের আন্দোলন দমনে তৎপর হয়েছে যা চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ।”
কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী অবিলম্বে তনু হত্যাসহ সারদেশে ঘটে যাওয়া নারী লাঞ্ছনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানান। সাথে সাথে দেশের সকল গণতন্ত্রমনা ও বিবেকবান মানুষদের নারীর সম্ভ্রম রক্ষা ও নিরাপত্তার দাবিতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।