তিস্তা বাঁচাও, কৃষি, কৃষক ও দেশ বাঁচাও – তিস্তা সহ সকল অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় কর
কৃষি ও কৃষক বাঁচাতে তিস্তা সেচ প্রকল্পের সব জমিতে পানি দাও
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের উদ্যোগে ১৯ ফেব্রুয়ারি, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে
রংপুর – জলঢাকা রোডমার্চের কর্মসূচী ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দিন রোড মার্চ শেষে বিকেল ৩টায় জলঢাকায় জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। তিস্তা সহ সকল অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে আহুত এই কর্মসূচী থেকে তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতাধীন সকল চাষের জমিতে প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ, গত বছর পানি না পাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ চাষীদের প্রয়োজনীয় ক্ষতিপূরণ এবং পানি না থাকায় তিস্তা পাড়ের বেকার মৎস্যজীবীদের কাজ ও ক্ষতিপূরণ প্রদানের দাবি জানানো হয়েছে।
রোডমার্চ উপলক্ষে্য প্রকাশিত এক প্রচারপত্রে বলা হয়েছে, ভারত সরকার আন্তর্জাতিক আইন ও রীতি নীতি লংঘন করে বাংলাদেশের প্রায় সব কয়টি নদীর উজানে একতরফা পানি প্রত্যাহার করে নিচ্ছে। ফলে সেচ মওসুমে তীব্র পানি সংকট, আবার বর্ষা মওসুমে ভয়াবহ বন্যা বাংলাদেশের জন্য নিত্য ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। বাংলাদেশের চতুর্থ বৃহত্তম নদী তিস্তার উজানে গজল ডোবায় বাঁধ দিয়ে ভারত কর্তৃক একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে আমাদের দেশের নিলফামারী, রংপুর, দিনাজপুর, লালমনিরহাটসহ গোটা উত্তরাঞ্চল আজ মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখোমুখী, মরুকরণের ঝুঁকিতে সমগ্র অঞ্চল। তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতাধীন ১১১৪৬০ হেক্টর জমির বেশীর ভাগই গত বছর সেচ সুবিধা পায়নি, এ বছর পাবে কিনা সেই আশংকায় দিন কাটাচ্ছে কৃষকরা। এ অবস্থা থেকে বাঁচার একমাত্র পথ তিস্তাসহ অভিন্ন সকল নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়। কিন্তু আমাদের নতজানু শাসক শ্রেণীর প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর জোট এবং মহাজোট কেউই পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারেনি। ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং যাওয়ার অসুস্থ্য প্রতিযোগীতায় ওরা বর্তমানে গোটা দেশের জনগনকে জিম্মি করেছে। যে কোন মূল্যে ক্ষমতায় টিকে থাকার প্রয়োজনে সরকার পক্ষ দমন পীড়ন সহ ক্রমাগত ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করছে। অপর দিকে বিরোধী পক্ষ ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস, সহিংসতা, গুপ্ত হামলা অগ্নিসংযোগ ইত্যাদির মাধ্যমে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এদের উপর নির্ভর করে জনজীবনের কোন সংকট যেমন সমাধান সম্ভব নয়, তেমনি পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করাও সম্ভব নয়। গণ আন্দোলনের পথে জনগনের ঐক্যবদ্ধ লড়াই সংগ্রামই পারে পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে।
এই প্রেক্ষাপটে বাসদ (মার্কসবাদী) আয়োজিত রোডমার্চ ও জনসভার কর্মসূচীতে অংশ নেবার ও সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রচারপত্রে সকলের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়েছে।