Saturday, November 23, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি ও সংগঠন সংবাদবিজ্ঞান লেখক অনন্ত বিজয় দাশের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

বিজ্ঞান লেখক অনন্ত বিজয় দাশের হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

Biggan_HumanChain_140515

বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট,  বিজ্ঞানচর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে ১৩ মে ২০১৫ বিকেল ৪.৩০ মিনিটে  জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিজ্ঞান লেখক অনন্ত বিজয় দাসের বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্তের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক শরীফুল চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাশেদ শাহরিয়ার, বিজ্ঞানচর্চা কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় সংগঠক আবু নাঈম, ইভা মজুমদার, শুভ সাহা, সাইদুল হক নিশান প্রমুখ।

বক্তরা বলেন, ‘গত ২৬ ফেব্রুয়ারি শত শত মানুষের উপস্থিতিতে পুলিশের নাকের ডগায় বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। তার স্ত্রী, বিজ্ঞান লেখক বন্যা আহমেদ গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন। এর বিচার না হতেই গত এপ্রিল মাসে আশিকুর রহমান বাবু নামের একজন ব্লগারকে খুন করা হয়েছে। জনগণের সহযোগিতায় তিনজন খুনীকে হাতে নাতে আটক করা পরও এদের হোতাদের আজও বিচারের আওতায় আনতে পারেনি সরকার। অভিজিৎ রায়ের বিচার তো দূরের কথা, এখনও পুলিশ তাঁর খুনীদের গ্রেপ্তার পর্যন্ত করতে পারেনি। বিচারহীনতার এই পরিস্থিতি চলতে চলতেই খুন হলেন বিজ্ঞান লেখক অনন্ত বিজয় দাশ। যেকোন মুক্তচিন্তার মানুষের জন্য এই অবস্থা শ্বাসরুদ্ধকর।’

Biggan_130515বক্তরা আরও বলেন, ‘দেশে আজ মত প্রকাশের ন্যূনতম স্বাধীনতাটুকুও নেই। প্রতিনিয়ত মুক্তমনা মানুষগুলো এমন বর্বর আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। এর প্রধান কারণ গত ৪৪ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে এদেশে মুক্তচিন্তাবিরোধী উগ্র প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। বিভিন্ন সরকারের সময়েই মৌলবাদী-সাম্প্রদায়িক শক্তি সমাজের প্রগতিশীল মানুষদের ‘নাস্তিক’, ‘মুরতাদ’ ঘোষণা করে প্রকাশ্যে খুন করার কথা বলেছে, ব্লগারদের নাস্তিক আখ্যা দিয়ে হত্যার তালিকা করেছে, নারীদের নিয়ে অবমানকর মন্তব্য করে প্রকাশ্য চলাফেরার উপর ফতোয়া জারি করেছে কিন্তু সরকার এসবের বিরুদ্ধে কোনরকম ব্যবস্থা নেয়নি। শিক্ষাব্যবস্থার প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে ধর্মীয় শিক্ষাকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে, কিন্তু বিজ্ঞানশিক্ষা থেকেছে অবহেলিত। দেশের মানুষের মধ্যে বিজ্ঞানমনষ্কতা তৈরি করার কোনো উদ্যোগ কখনও নেয়া হয়নি। ফলে ধর্মান্ধ-উগ্রবাদীগোষ্ঠী শক্তিশালী হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটেই একের পর এক মুক্তমনা মানুষ খুন হচ্ছেন।’

নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সরকার দেশে ফ্যাসিবাদী ও অগণতান্ত্রিক শাসন কায়েম করেছে। এই শাসন বজায় রেখে মৌলবাদী শক্তিকে মোকাবেলা করা যায় না। বরং কখনো নিজেদের অগ্রহণযোগ্যতা দূর করতে এসব শক্তিকে ব্যবহার করা হয়। তাই এই সরকারও উগ্রগোষ্ঠীসমূহের বিচার করতে পারছে না।’

বক্তরা আরও বলেন, ‘এই পরিস্থিতি দেশের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। বারেবারে এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে কেননা দেশে সমস্ত ধরনের গণতান্ত্রিক রীতিনীতি এমনকি আইনের শাসনের ন্যূনতম চর্চা নেই। বিচারহীনতার সংস্কৃতি দৃঢ় হয়েছে। গোটা সমাজে সৃষ্টি হয়েছে ভয়ের পরিবেশ। এমন দমবন্ধ অবস্থায় সকল প্রগতিশীল-গণতান্ত্রিকমনা মানুষদের ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করার কোনো বিকল্প নেই।’

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments