Tuesday, April 30, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি সংবাদসিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে বাসদ (মার্কসবাদী)

সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে বাসদ (মার্কসবাদী)

সিটি করপোরেশন নির্বাচন জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের ফ্যাসিবাদী প্রক্রিয়ারই অংশ

228847_192465477484494_7010605_nবাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী ২৯ মার্চ সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রসঙ্গে দলীয় অবস্থান তুলে ধরেছেন।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আগামী ২৮ এপ্রিল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন ঘোষণা করা হয়েছে। দেশবাসী জানেন, বর্তমান সরকার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন একটি পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে তার পূর্বতন ক্ষমতাকে বর্ধিত করেছে এবং ক্ষমতা অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু দেশবাসীর কাছে এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হওয়ায় নতুন করে ক্ষমতা আরোহনের পর থেকেই প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোসহ জনগণের বিভিন্ন অংশের মধ্য থেকে বিরোধিতা অব্যাহত থেকেছে। গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির মধ্য দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচনী ব্যবস্থার অধীনে নির্বাচনের দাবি জোরদার হয়েছে। এই বিরোধিতার পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য ক্ষমতাসীন সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে প্রশাসনিক সন্ত্রাস, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, গুম, মত প্রকাশের গণতান্ত্রিক অধিকারের ওপর হস্তক্ষেপসহ ভিন্নমতের কণ্ঠরোধসহ স্বৈরাচারী কায়দায় শাসন অব্যাহত রাখার চেষ্টা করে ফ্যাসিবাদী শাসনের প্রক্রিয়াকে তীব্রতর করেছে। কিন্তু জনগণের বিরোধিতার সমাধান করতে পারেনি।”

বিবৃতিতে তিনি বলেন, “এই গণবিচ্ছিন্নতার অবস্থা থেকে রেহাই পেতে এবং জনগণের ক্ষোভকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত ও প্রশমিত করতে মহাজোট সরকার নানা ফন্দি আঁটছে। আর সে কারণে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ রেখে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, সভা-সমাবেশের স্বাধীনতা হরণ করে, কালো আইনসমূহ যথেচ্ছ ব্যবহার অব্যাহত রেখেই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। এর মাধ্যমে চূড়ান্ত গণতন্ত্রহীন পরিবেশে ‘গণতান্ত্রিক নির্বাচনের’ তামাশার আয়োজন করা হয়েছে যা গণতান্ত্রিক পরিবেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকারের গণদাবির প্রতি চপেটাঘাত। আমাদের পার্টি এইরকম প্রহসনের নির্বাচনের অংশীদার না হয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারসমূহ ফিরিয়ে আনার আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা করছে এবং জনগণকে এই আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে।”

কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী আরো বলেন, “নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে প্রার্থী হতে হলে ‘ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার’ বাধ্যতামূলক করেছে, জামানতের পরিমাণ ১ লক্ষ টাকা এবং নির্বাচনী ব্যয়সীমা সর্বোচ্চ ৫০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের প্রার্থী হওয়ার অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছে এবং ধনিক শ্রেণীর মধ্যে সীমাবদ্ধ করে নির্বাচনে টাকার খেলাকে উৎসাহিত করা হয়েছে যা সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক ও নির্বাচন কমিশন কর্তৃক বহুল উচ্চারিত ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ ধারণার সাথে বিরোধাত্মক।”

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments