ভারত কর্তৃক ব্রহ্মপুত্র পদ্মা, তিস্তা, সুরমা, কুশিয়ারা সহ বাংলাদেশের প্রায় সকল নদ-নদীর পানি আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি লংঙ্ঘন করে একতরফা প্রত্যাহারের করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বাসদ (মার্কসবাদী) গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে রবিবার ২ আগষ্ট ২০১৫ সকাল ১১টায় প্রেস ক্লাব সংলগ্ন ডিবি রোডে এক মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন জেলা বাসদ আহবায়ক কমরেড আহসানুল হাবীব সাঈদ, মনজুর আলম মিঠু, নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, কাজী আবু রাহেন শফিউল্যাহ প্রমুখ।
বক্তাগণ বলেন নদী মাতৃক বাংলাদেশর প্রায় সবগুলো নদীই রাষ্ট্রের দায়িত্বহীনতা এবং ভারত, রাষ্ট্রের একতরফা পানি প্রত্যাহারের ফলে বিলীন হয়েছে। ভারত গজলডোবায় বাঁধ দিয়ে তিস্তার পানি প্রত্যাহারের ফলে গত ৩ বছর যাবত বাংলাদেশের তিস্তা সেচ প্রকল্প প্রায় অচল হয়ে আছে। এই সেচ প্রকল্পের আওতাধীন ১১ হাজার হেক্টর জমি সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। গত বছর শুধু এক মওসুমেই ক্ষতি হয়েছে চাষীদের প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। ভারত সুরমা কুশিয়ারার উজানে টিপাই মুখে বাঁধ দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে, অনেক আগেই ফারাক্কায় বাঁঁধ দিয়ে আমাদের পদ্মা নদী ধ্বংস করেছে। নেতৃবৃন্দ বলেন দেশের প্রায় ৬০/৭০ ভাগ পানি ব্্রহ্মপুত্র দিয়ে প্রবাহিত হয। বর্তমানে সেই পানি প্রত্যাহার করে নেওয়ার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে ভারত আন্তনদী সংযোগ স্থলে তৈরী করছে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার তাদের নতুজানু পররাষ্ট্র নীতির কারনে ভারতের অন্যায় ভাবে একতরফা পানি প্রত্যাহারের বিরোধীতা করছে না। শাসক গোষ্ঠী দেশ ধ্বংস করে হলেও ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায়। শাসক শ্রেণীর সবকয়টি রাজনৈতি দল যখন যারা ক্ষমতায় থেকেছে তারা ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেনি। উল্টো ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং যাবার স্বার্থে ওরা ভারতের শাসকশ্রেণীর তাবেদারী করেছে। বর্তমান সরকারও পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারছে না। কিন্তু দেশের সার্বভৌমত্ব হুমকীর মুখে ফেলে ভারতকে ট্রানজিট দিচ্ছে, বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিচ্ছে। অসম বাণিজ্য চুক্তি করছে। যার মধ্য দিয়ে আমাদের কৃষি, চিনি শিল্প, পাট শিল্প, বস্ত্র শিল্প ধ্বংসের মুখোমুখী হয়েছে। বক্তারা ভারত সরকারের একতরফা পানি প্রত্যাহার ও বাংলাদেশ সরকারের নতজানু পররাষ্ট নীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই সংগ্রাম গড়ে তোলার জন্য সকল বাম প্রগতিশীল রাজনৈতিক শক্তি ও সর্বস্তরের জনগনের প্রতি আহবান জানান।