গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ও মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা মুবিনুল হায়দার চৌধুরী, সিদ্দিকুর রহমান, মোশারফ হোসেন নান্নু, জোনায়েদ সাকি, মোশরেফা মিশু, ইয়াসিন মিয়া ও হামিদুল হক ২৭ অক্টোবর ২০১৫ এক যুক্ত বিবৃতিতে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বক্তব্যকে ‘চরম বিভ্রান্তিকর ও সত্যকে আড়াল করার চেষ্টা’ হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন এবং বলেছেন সংবাদ সম্মেলনে মাননীয় মন্ত্রী ভুল ও অগ্রহণযোগ্য তথ্যের উপর ভিত্তি করে সুন্দরবন বিপন্নকারী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের পক্ষে যুক্তি দেবার চেষ্টা করেছেন। কয়লাভিত্তিক এই বিরাট বিদ্যুৎ প্রকল্প যে সুন্দরবন, দক্ষিণাঞ্চলের নদীর পানি, মৎস্য সম্পদ, হাজারো প্রাণ-প্রকৃতি ও জীব বৈচিত্র্যের উপর ধ্বংসাত্মক প্রভাব ফেলবে দেশী-বিদেশী গবেষক, বিশ্লেষক, পরিবেশবিদ ও বিভিন্ন সংস্থার গবেষণাতেই তা স্পষ্ট। সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের সমীক্ষাতেও তা বেরিয়ে এসেছে। সরকারি চাপের মুখে পরিবেশ অধিদপ্তর এখন সরকারের চাহিদা অনুযায়ী পরিবেশ সমীক্ষা রিপোর্ট দিলেও বিদ্যুৎ প্রকল্পের পরিবেশ বিপর্যয়ের বিষয়টি পুরোপুরি তারা এড়িয়ে যেতে পারেনি। নেতৃবৃন্দ বলেন বিরাট আপত্তির মুখে রামপালেই কেন এই প্রকল্প নির্মাণ করতে হবে মন্ত্রী এর গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা দিতে পারেননি।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন ভারতীয় কোম্পানী ভারতীয় আইনের কারণেই ভারতেই বনাঞ্চলের ২৫ কি.মি এর মধ্যে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করতে পারেনি। তারা বলেন প্রকল্পের ধোঁয়া ও বর্জ্য অপসারণে ‘সুপার ক্রিটিক্যাল’ প্রযুক্তি হিসাবে যা বলা হচ্ছে তা নিতান্তই খোড়াযুক্তি। ভারতেই এই ধরনের প্রযুক্তির কোন কার্যকারীতা দেখা যায়নি।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অনতিবিলম্বে পরিবেশ বিপর্যয়কারী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পের যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করার আহ্বান জানান। তারা প্রয়োজনে স্বাধীন সমীক্ষা কমিশন গঠনেরও দাবি জানান।
তারা সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন রাষ্ট্রীয় শক্তি প্রয়োগ করে সরকার অনেক কিছু করতে পারলেও গায়ের জোরে জনমতের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পরিবেশ বিপর্যয়কারী রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প করা যাবে না।