অব্যাহত নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ এবং নারী-শিশু নির্যাতনকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচার দাবি
বর্ষবরণে যৌন নিপীড়নসহ নারী-শিশু নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচীকে সামনে রেখে পথসভা ও প্রচারপত্র বিলি করেছে বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের পাঁচলাইশ থানা শাখা। নগরীর জি.ই.সি. মোড়ে ১লা ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সকাল ১০.৩০ টায় অনুষ্ঠিত পথসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের চট্টগ্রাম জেলার সাধারন সম্পাদক আসমা আক্তার, সদস্য ফারজানা মিশি। পথসভা পরিচালনা করেন ফরিদা ইয়াসমিন আঁখি।
পথসভায় বক্তারা বলেন, দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের মাত্রা ও ঘটনা প্রতিদিন বেড়ে চলেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে সরকারের যথাযথ পদক্ষেপের অবাব এবং নারী ও শিশু নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার ও বিচারে সরকারের উদাসীনতা ও অবহেলা এর জন্য দায়ী। গত পহেলা বৈশাখে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যে লজ্জাজনক নারী লাঞ্ছনার ঘটনা ঘটেছিল আজও তার সুষ্ঠু তদন্ত হয় নি। প্রশাসন এখনো পর্যন্ত কাইকেই বিচারের আওতায় আনতে পারে নি। এই ঘটনাই প্রমাণ করে নারী নির্যাতন বন্ধে সরকারের মনযোগ তো নেই ই বরং এই বিচারহীনতার সংস্কৃতি অপরাধীদের উৎসাহিত করছে।”
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, “দেশের স্বাভাবিক নৈতিক মান যত খারাপ হতে থাকে নারী ও শিশুদেও নিরাপত্তা ততই হুমকির মুখে পড়ে। একদিকে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সমাজের মধ্যে ভোগবাদী মানসিকতা বাড়ছে, মাদক- পর্ণোগ্রাফীর প্রসার হচ্ছে। অন্যদিকে সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা নেই বললেই চলে। কর্মসংস্থানহীন বেকার যুবক জীবনের সম্ভাবনার দিশা খুঁজে না পেয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। এ যুবকরাই নারী নির্যাতন করছে।”
নেতৃবৃন্দ বলেন, “ বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে নারী-পুরুষ সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে সারাদেশে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বাক্ষর সংগ্রহ ও স্মারকলিপি পেশ, হাটসভা-পথসভা, ডি.সি. অফিস-পুলিশ সুপারের কার্যালয় ঘেরাও, নারী সমাবেশ, মত বিনিময় সভার মাধ্যমে নারী নির্যাতন বন্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচী পালন করা হবে।”
নেতৃবৃন্দ সরকারকে অবিলম্বে নারী নির্যাতন বন্ধে যথাযত পদক্ষেপ গ্রহণের এবং বর্ষবরণে নারী লাঞ্ছণাসহ অব্যাহত নারী ও শিশু নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার ও বিচারের জোর দাবি জানান এবং সর্বস্তরের জনগণকে এই নৈতিক আন্দোলনে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান।