Sunday, April 28, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি সংবাদকেন্দ্রীয় লাইব্রেরী সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা চালু কর - সকল রুটে...

কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা চালু কর – সকল রুটে বাসের ডাবল ট্রিপ চালু কর

PHOTO_20160518_124010_fx

১৮ মে ২০১৬ তারিখ বেলা ১২.৩০টায় সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট,জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার উদ্যোগে “অবিলম্বে সকল রুটে বাসের ডাবল ট্রিপ ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরী সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চালু কর” দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মেহেরাব আজাদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কিশোর কুমার সরকারের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক তিথি চক্রবর্তী, অর্থ সম্পাদক প্রসেনজিৎ সরকার।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন,“উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে দেশ! উন্নতি-সমৃদ্ধি-প্রবৃদ্ধির ঢেউ নাকি আছড়ে পড়ছে দেশের প্রান্তরে প্রান্তরে!! কিন্তু উন্নয়নের এই ভরা মৌসুমেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আবাসিক হল-পরিবহন-লাইব্রেরী-ক্যান্টিন সংকট দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে। ১০ বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২ হাজার শিক্ষার্থী তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। শতকরা ১০ ভাগ শিক্ষার্থীও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি সুবিধা ভোগ করতে পারছে না। শিক্ষার্থী অনুপাতে অপ্রতুল বই সংখ্যা ও সীমিত জায়গা নিয়ে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির কার্যক্রম। তার উপর ক্যাম্পাস বন্ধ হওয়ার সাথে সাথেই বন্ধ হয়ে যায় লাইব্রেরি কার্যক্রম। ফলে ক্লাস পরীক্ষাসহ একাডেমিক নানা কাজ শেষ করে লাইব্রেরি সুবিধা বেশির ভাগ শিক্ষার্থীই পায় না। অপর্যাপ্ত এই আয়োজনের মধ্যেও শিক্ষার্থীরা সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত লাইব্রেরি চালু রাখার দাবি জানিয়ে আসছে। নিরাপত্তার অযুহাতে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ করছে না বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ এখানেই রাত্রে নাইটকোর্সের নামে চলে রমরমা ব্যবসা। আবার ক্লাসরুম সংকটের নামে লাইব্রেরি সংকোচন ছাত্রসমাজ মেনে নেবে না।”

নেতৃবৃন্দ আরো বলেন,“আবাসন সুবিধা না থাকায় শিক্ষার্থীরা ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে। কিন্তু পরিবহন সুবিধা ভোগ করতে পারে মাত্র ৭ ভাগ শিক্ষার্থী। অথচ গত ১০ বছরে শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেই পরিবহন খাতে ৮ কোটি টাকা আদায় করা হয়েছে। ভাড়া বাসের খরচ নিজস্ব বাসের চেয়ে ২.৫ গুণ বেশি হওয়ার পরও নিজস্ব বাস কেনার দাবি বারবার উপেক্ষিত হয়ে আসছে। ফলে বাদুড় ঝোলা হয়ে আসার পথে অনেকে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে, মারা যাচ্ছে মাসুকদের মত তাজা প্রাণ। তারপরও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্বিকার! তারা সরকারের শিক্ষা সংকোচন নীতিকেই প্রতিষ্ঠা করতে ব্যস্ত।”

নেতৃবৃন্দ বলেন,“ছাত্র আন্দোলনের চাপে আবাসিক হলের ন্যায্যতা স্বীকার করলেও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয়। আর ছাত্রী হলের বেসমেন্টের কাজ শেষ করতে যদি ৪ বছর সময় লাগে তবে পূর্ণাঙ্গ হল হতে কতদিন লাগবে? ২৮ হাজার কোটি টাকার পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ যদি ৪ বছরে শেষ হয় তবে মাত্র ১০০ কোটি টাকার ছাত্রী হলের প্রকল্পে দীর্ঘসূত্রিতা কার স্বার্থে? অবিলম্বে শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরি-পরিবহন-হলের দাবি আদায়ে নি¤েœাক্ত কর্মসূচি সফল করার আহবান জানান।”

কর্মসূচি:
১. মাসব্যাপি স্বাক্ষর সংগ্রহ
২.৩০মে-৫জুন বিভাগীয় চেয়ারম্যান বরাবর খোলা চিঠি
৩.৬জুন উপাচার্য বরাবর স্বাক্ষরসহ স্মারকলিপি পেশ।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments