Wednesday, May 1, 2024
Homeছাত্র ফ্রন্টখাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবী

খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবী

IMG_20150607_112554 copy
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ শাখার উদ্দ্যেগে ৭ জুন ২০১৫ একাদশ শ্রেণিতে আসন সংখ্যা বৃদ্ধির দাবীতে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

মানববন্ধনে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, কলেজ শাখার আহবায়ক কৃষ্টি চাকমার সভাপতিত্বে ও অরিন্দম কৃষ্ণ দে এর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট জেলা শাখার সভাপতি নাজির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন, কলেজ শাখার সদস্য সচিব স্বাগতম চাকমা, সংহতি বক্তব্য রাখেন পিসিপি (এমএন লারমা) কলেজ শাখার সদস্য জুনান চাকমা।

বক্তরা বলেন খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ খাগড়াছড়িতে একমাত্র উচ্চ শিক্ষার বিদ্যাপীঠ। কিন্তু প্রতি বছর একাদশ শ্রেণিতে খুব কম সংখ্যক আসন হওয়ায় অনেক মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির সুযোগ পায় না। আমরা উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, প্রতিবারের ন্যায় এবারও এস.এস.সি উর্ত্তিণ শিক্ষার্থীদের উচ্চ মাধ্যমিক ভর্তির ক্ষেত্রে এক কঠিন যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এই কলেজে ৯ টি উপজেলা থেকে ভর্তি হতে আসে। এছাড়াও রাঙ্গামাটি জেলার নানান উপজেলা থেকেও এখানে ভর্তি হতে আসে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় এখানে একাদশ শ্রেণির জন্য যে আসন সংখ্যা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এর আগের বছরে প্রায় ০৩ (তিন) হাজার শিক্ষার্থী উক্ত কলেজ থেকে ভর্তি ফরম সংগ্রহ করে। কিন্তু ভর্তি হতে পেরেছে মাত্র ৬৫০ (ছয়শত পঞ্চাশ) জন। খাগড়াছড়িতে বেশির ভাগ মানুষ নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত। তাদের পক্ষে ছেলেমেয়েদের আর্থিক অনটনের কারণে বেসরকারি কলেজ ভর্তি করাতে পারে না। উপজেলার বিভিন্ন এমপিও ভূক্ত কলেজগুলোতেও অধিক ভর্তি ফি, মাসিক বেতন এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক খরচ বহন করা সব অভিভাবকের মধ্যে সম্ভব হয়ে উঠে না। এমতাবস্থায় তাদের লক্ষ্য থাকে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন। কিন্তু আসন সংখ্যা যতটুকু থাকা উচিত ছিল সেটুকু না থাকায় তাদের স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নিতে পারে না। যার ফলে অনেকের লেখাপড়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তাই খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজে সকল বিভাগে আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে সকলের জন্য উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মোচন করা হোক। এই দাবী বক্তরা জানান।

মানববন্ধন শেষে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি কলেজ গেইট হতে চেঙ্গি স্কয়ার হয়ে আবার কলেজে গিয়ে শেষ হয় এবং জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রী বরাবর ও খাগড়াছড়ি কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর স্মারকলিপি পেশ করা হয়।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments