Monday, April 29, 2024
Homeসংবাদ ও প্রেস বিজ্ঞপ্তিপার্টি সংবাদলুটেরাগোষ্ঠীর স্বার্থে দেশ পরিচালনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান - বাসদ (মার্কসবাদী)

লুটেরাগোষ্ঠীর স্বার্থে দেশ পরিচালনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান – বাসদ (মার্কসবাদী)

কৃষি, স্বাস্থ্য, পরিবহন, কর্মসংস্থানসহ জনগণের বেঁচে থাকার অধিকার বাস্তবায়নের দাবিতে বাম-গণতান্ত্রিক শক্তির নেতৃত্বে গণআন্দোলন গড়ে তুলুন

SPBM_080715

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী)-র উদ্যোগে কৃষি, স্বাস্থ্য, পরিবহন, কর্মসংস্থানসহ জনগণের বেঁচে থাকার অধিকার বাস্তবায়নের দাবিতে গণ-সমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসূচি পালিত হয়েছে। ৮ জুলাই ২০১৫ সকাল ১০.৩০টায় ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে পদযাত্রা রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। গণ-সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাসদ (মার্কসবাদী) কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী। এতে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড মানস নন্দী, সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক কমরেড আহসানুল হাবিব সাঈদ, কেন্দ্রীয় কার্য পরিচালনা কমিটির সদস্য কমরেড ফখরুদ্দিন কবির আতিক।

সভাপতির বক্তব্যে কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী বলেন, দেশের মানুষের দুর্দশার প্রধান কারণ এ রাষ্ট্র একটি পুঁজিবাদী রাষ্ট্র। এখানে ধনিকশ্রেণীর সরকার ক্ষমতাসীন। জনগণের সম্পদ লুণ্ঠন করে এদেশে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক পুঁজিপতিদের জন্ম হয়েছে। এই মুষ্টিমেয় লুটেরা পুঁজিপতিশ্রেণীর স্বার্থেই দেশ পরিচালিত হচ্ছে। এই লুটেরাগোষ্ঠীর স্বার্থেই ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের প্রহসন চালিয়ে আওয়ামী মহাজোট সরকার সম্পূর্ণ অগণতান্ত্রিক কায়দায় শাসন ক্ষমতা দখল করেছে। দেশে প্রশাসনিক ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। আর এদের মদত দিয়েছে সাম্রাজ্যবাদী ভারতের শাসকগোষ্ঠী।

SPBM_2_080715তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরের সময় ২২ দফা চুক্তি হয়েছে যার সবগুলিই অসম। ‘কানেকটিভিটি’, বিনা শুল্কে ভারতের ২৩টি পণ্যের বাংলাদেশে প্রবেশ, ট্রান্সশিপমেন্টের নামে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহারের সুযোগ, সমুদ্র সীমায় অবাধে চলাচলের সুযোগ, ভারতীয় প্রয়োজনে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বিদ্যুৎ করিডোর, দায়মুক্তি আইন করে বিদ্যুৎ খাতে ভারতীয় বৃহৎ পুঁজি আদানি-আম্বানীদের সাথে বিনিয়োগের চুক্তি Ñ এ চুক্তিগুলির সবই হয়েছে ভারতের একচেটিয়া কর্পোরেট পুঁজির মালিকদের স্বার্থে।  তিনি বলেন, অথচ তিস্তার পানির ওপর বাংলাদেশের ঐতিহাসিক ও ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা, ব্রহ্মপুত্র থেকে পানি প্রত্যাহারের ভারতীয় অন্যায় পরিকল্পনা নিয়ে কোনো আলোচনা হল না। সুন্দরবন ধ্বংসকারী রামপাল বিদ্যুৎপ্রকল্প বন্ধের কোনো কথা শোনা গেল না। ভারত তার প্রতিবেশী দেশগুলোর ওপর যে সামরিক খবরদারি চালাচ্ছে তা বিবেচনায় নিলে ‘কানেকটিভিটি’ শেষপর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতি বিরাট বিপদ হিসাবে দেখা দিতে পারে। কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী আওয়ামী মহাজোটের ফ্যাসিবাদী শাসন এবং ভারতীয় সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দেশের সকল বাম-গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে গণআন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

SPBM_1_080715কমরেড মানস নন্দী বলেন, রোজার মাসের শুরুতেই সমস্ত জিনিসের দাম বেড়েছে। সরকার কোনো নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ নেয়নি। রাজধানীসহ সারাদেশে গাড়িভাড়া-বাড়িভাড়া নিয়ে মালিকদের যে নৈরাজ্য চলছে, তার বিরুদ্ধে সরকারের কোনো তৎপরতা নেই। ঈদ যত ঘনিয়ে আছে তত সাধারণ মানুষের ভোগান্তি চরমে উঠছে, গণপরিবহন বলে কিছু নেই। সমস্ত পরিবহন সেক্টর বাস-লঞ্চ মালিকদের হাতে জিম্মি। সরকারি হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা বলে কিছু নেই, প্রাইভেট হাসপাতাল, ক্লিনিক আর ল্যাব মালিকরা এখন দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণ করছে। শিক্ষাক্ষেত্রে কি ভয়াবহ নৈরাজ্য ও দুর্নীতি বিরাজ করছে তার প্রমাণ পাবলিক পরীক্ষাগুলোতে প্রশ্নপত্র ফাঁস, উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি নিয়ে হয়রানি, লাগামহীন বেতন-ফি বৃদ্ধি ও শিক্ষার বেসরকারিকরণ। তিনি গার্মেন্ট শ্রমিক সহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত শ্রমিকদের ঈদের আগে বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধ করার দাবি জানান।

কমরেড আহসানুল হাবিব সাঈদ বলেন, কৃষক ফসলের ন্যায্য দাম পায় না, গ্রামীণ শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর কোনো কাজ নেই, তারা বছরে ৯ মাসই বেকার থাকে। কাবিখা-কাবিটা নিয়ে চলছে চরম দুর্নীতি ও লুটপাট। তিনি কৃষকদের নামে দায়েরকৃত সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার, ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণ মওকুফ এবং হাটে হাটে সরকারি ক্রয়কেন্দ্র চালুর দাবি জানান।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments