Wednesday, May 1, 2024
Homeসাম্যবাদসংগঠন সংবাদ

সংগঠন সংবাদ

কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত

Schooling-1বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রিয় রাজনৈতিক শিক্ষাশিবির গত ৭-১০ আগস্ট ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন বাংলাদেশের সেমিনার হলে অনুষ্ঠিত হয়। শিক্ষাশিবির পরিচালনা করেন বাসদ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী।
৪ দিনে ৭টি সেশনে বিভক্ত শিক্ষাশিবিরের বিষয় ছিল – দল গঠনের প্রশ্নে শিবদাস ঘোষের চিন্তা লেনিনীয় দল গঠনেরই বিকশিত ও সমৃদ্ধ ধারণা, আন্তর্জাতিক সাম্যবাদী আন্দোলন ও আধুনিক সংশোধনবাদ এবং মার্কসীয় দর্শন ও জ্ঞানতত্ত্ব প্রসঙ্গে। সারাদেশ থেকে ২৫০ জন নির্বাচিত নেতা-কর্মী-সংগঠক এ শিক্ষাশিবিরে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিটি বিষয়ের আলোচনায় তারা অংশগ্রহণ করেন ও মতামত রাখেন। রাতে ৯টি গ্রুপে ভাগ করে পুনরায় আলোচনা হয়। সেখানে উত্থাপিত প্রশ্নসমূহ পরেরদিন সকালের সেশনে কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী আলোচনা করেন।
সমাপনী দিনের বক্তব্যে কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী বলেন, মার্কসবাদ হলো বিজ্ঞান। বলা হয় এটি হলো সকল বিজ্ঞানের বিজ্ঞান। তাই এটি গতিশীল। সময়ের সাথে সাথে এর উপলব্ধিকে উন্নত করতে হয়। মার্কস-এঙ্গেলস-লেনিন-স্ট্যালিন-মাও সে তুঙ পরবর্তীকালে এই উন্নত ও সমৃদ্ধ ধারণা আমরা পাই শিবদাস ঘোষের চিন্তা থেকে। আজকের যুগে কমিউনিস্ট সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে তা বুঝতে হবে। তা না হলে জীবনের সকল প্রশ্নের উত্তর আমরা খুঁজে পাবনা।
নেতা-কর্মীদের প্রতি তিনি আহবান রাখেন, চূড়ান্ত ব্যক্তিবাদী প্রবণতার সময়ে আমরা দল গড়ে তুলছি। এ সময় দল ও ব্যক্তিজীবনকে অভিন্ন রেখে ‘দলই জীবন, বিপ্লবই জীবন’ Ñ এই চেতনার ভিত্তিতে দল গড়ে তুলতে হবে। ভয়ঙ্কর পুঁজিবাদী শোষণে পিষ্ট সমাজের মানুষ। এই যন্ত্রণা থেকে মানুষকে, এমনকি নিজের মনুষ্যত্বকে রক্ষা করতে হলেও মার্কসবাদ-লেনিনবাদ-শিবদাস ঘোষের চিন্তার ভিত্তিতে লড়াই ভিন্ন কোন পথ নেই।
এর আগে গত ২১ ও ২২ জুলাই জোন ১ ও ২ এর রাজনৈতিক শিক্ষাশিবির রংপুরে অনুষ্ঠিত হয়। ওই শিক্ষাশিবির পরিচালনা করেন কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী।

২২ সেপ্টেম্বরের ‘শিক্ষা কনভেনশন’ সফল করুন

উচ্চশিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ প্রসঙ্গে সেমিনার

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ১৫ জুলাই ২০১৪ সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকচার থিয়েটারে (উচ্চতর মানববিদ্যা গবেষণা কেন্দ্র, ৪র্থ তলা) ‘উচ্চশিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ-বেসরকারিকরণ-সংকোচন : রাষ্ট্রের দায়’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুজ্জামান সাকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে আলোচনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা নিত্রা, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক সৈয়দ মারুফ রেজা বায়রন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্ত্তী রিন্টু।
সামিনা লুৎফা নিত্রা বলেন, আজ শিক্ষা বিশ্ব পুঁজি বাজারের অন্যতম পণ্যে পরিণত হয়েছে। ইউরোপ-আমেরিকার মতো দেশগুলোতেও উচ্চশিক্ষার দায়িত্ব রাষ্ট্র নিচ্ছে না। একই পরিস্থিতি আরও স্থূলভাবে আমরা আমাদের দেশে দেখছি। এদেশে উচ্চশিক্ষার ২০ বছর মেয়াদী কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। যার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষাকে সমস্ত দিক থেকে ব্যবসায়িক স্বার্থে এবং ব্যবসার পণ্যে পরিণত করার পরিকল্পনা শাসকরা নিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কেবল বাজারমুখী বিষয় পড়ানো হচ্ছে। আদতে তা কেবল উন্নত বিশ্বের জন্য একদল কেরানিই তৈরি করছে। আজ স্কুল থেকে উচ্চশিক্ষায় সবক্ষেত্রে চালু হয়েছে অসুস্থ প্রতিযোগিতা। স্কুল স্তরে সৃজনশীল প্রশ্ন চালু করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে আরও পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের এই চলমান আন্দোলনে আমরা শিক্ষকরাও যুক্ত আছি। এ লক্ষ্যে আমরা একটি টিচার্স নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছি।
সৈয়দ মারুফ রেজা বায়রন বলেন, ’৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা এখন ৭৯টি। এগুলোতে একদিকে বেতন-ফি’র উচ্চ হারের কারণে গরীব-নিম্নবিত্তের প্রবেশ যেমন সামর্থ্যরে বাইরে, তেমনি যারা অনেক অর্থ খরচ করে পড়ছেন তারাও বিশ্ববিদ্যালয়ের সুযোগ-সুবিধার বিন্দুমাত্র পান না। এগুলো কার্যত সার্টিফিকেট বিক্রির প্রতিষ্ঠান। সম্প্রতি ইউজিসি বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস খোলার নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে উচ্চশিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ ত্বরাণ্বিত হবে।
সভাপতির বক্তব্যে সাইফুজ্জামান সাকন স্কুল-কলেজ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষা ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের বেসরকারিকরণ-বাণিজ্যিকীকরণ-সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে জনমত তৈরি করে শিক্ষা আন্দোলন সংগঠিত করার উদ্দেশ্যে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য ‘শিক্ষা কনভেনশন’ সফল করার জন্য ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবকসহ শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

কৃষক ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত

সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে রংপুরে ২ দিনব্যাপী কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সভা ১৯ ও ২০ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১১টায় রংপুর নগরীর নিউক্রস রোডস্থ সুমি কমিউনিটি কেয়ারে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাসদ কেন্দ্রীয় কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হাবীব সাঈদ, কেন্দ্রীয় সদস্য কৃষিবিদ ওবায়দুল্লাহ মুসা, হাসিনুর রহমান, দলিলের রহমান দুলাল, মহির উদ্দিন প্রমুখ।
কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতা পরবর্তী ৪২ বছরে ধনিক শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষাকারী পুঁজিবাদী শোষণ-শাসনের ফলে গ্রাম-শহরের শ্রমজীবী মানুষ অর্থনৈতিক ও মানবিক দুর্দশার শিকার হয়েছে। তীব্র অর্থনৈতিক শোষণের ফলে ভিটেমাটি হারা মানুষের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। কৃষক উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। গ্রামীণ ক্ষেতমজুরদের সারা বছরের কাজ ও খাদ্যের নিশ্চয়তা নেই। শোষণমূলক পুঁজিবাদী ব্যবস্থার অনিবার্য ফলাফল হিসেবে গুম, খুন, নারী নির্যাতন, মাদকের বিস্তার ভয়াবহভাবে বাড়ছে। তিনি দুঃসহ জীবন যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে গ্রাম-শহরের শ্রমজীবী মানুষকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে শামিল হওয়ার আহবান জানান।

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম মোর্চার বিক্ষোভ

টিসিবিকে কার্যকর করা, সিণ্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও নিম্নবিত্তদের জন্য রেশন চালুর দাবি

“দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার লোকদেখানো পদক্ষেপ ও আশ্বাস যাই দিক্, বাস্তবে বাজারের নিয়ন্ত্রণ মুনাফালোভী সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের হাতে ছেড়ে দিয়ে অবাধে জনগণের পকেট কাটার সুযোগ করে দিচ্ছে।” রোজার অজুহাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ২৯ জুন বিকাল সাড়ে চারটায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন। বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল হক, অধ্যাপক আবদুস সাত্তার, ফিরোজ আহমেদ, মোশরেফা মিশু, হামিদুল হক, মহিউদ্দিন চৌধুরী লিটন প্রমুখ। সমাবেশের পর একটি বিক্ষোভ মিছিল পল্টন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, “বাণিজ্যমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছিলেন এবার রোজার মাসে জিনিসপত্রের দাম বাড়বে না, কারণ ব্যবসায়ীরা তাকে এমন আশ্বাস দিয়েছে এবং তাদের কাছে যথেষ্ট মজুদ আছে। তিনি বলেছিলেন, সরকার টিসিবি-র মাধ্যমে আমদানি করে কম দামে পণ্য বিক্রি করবে, বাজারে মূল্যতালিকা টাঙ্গানো হবে, সরকার বাজার মনিটরিং করবে, সরবরাহ ঠিক রাখতে কিছু পণ্যের রপ্তানিও স্থগিত করা হয়েছে। কিন্তু এইসব আশ্বাসের ফুলঝুরিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রোজার আগে থেকেই বাজারে কাঁচা মরিচ-পেঁয়াজ-বেগুন-টমেটোসহ প্রায় সব সবজি, ছোলা-চিনি-সোয়াবিন তেলসহ অনেক পণ্যেরই দাম বেড়ে গেছে। এখন বাণিজ্যমন্ত্রী বলছেন যে, সব মানুষকে সেবা দেয়া টিসিবি-র পক্ষে সম্ভব নয়। অথচ ২০০৮ সালে মহাজোটের অন্যতম প্রধান নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল তারা টিসিবি-কে সক্রিয় ও শক্তিশালী করে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করবেন। ফলে, ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক ও সরকারী নানা ঘোষণা সবই বাস্তবে লোকদেখানো। আসলে সরকারের প্রশ্রয়েই ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে মুনাফা লোটে, শাসক দলগুলো সেই মুনাফার ভাগ পায়। আওয়ামী লীগ-বিএনপি ইত্যাদি দলগুলোর অনুসৃত মুক্তবাজার-বেসরকারিকরণ নীতির ফলে সরকারী প্রতিষ্ঠান টিসিবি-কে সংকুচিত করে ফেলা হয়েছে, রেশন ব্যবস্থা তুলে দেয়া হয়েছে, বাজারের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রায় তুলে নেয়া হয়েছে। এর শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এই অবস্থার হাত থেকে বাঁচতে চাইলে মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে শক্তিশালী গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।” সমাবেশ থেকে দাবি জানানো হয় Ñ টিসিবি-কে শক্তিশালী করে সরকারিভাবে উৎপাদকদের কাছ থেকে ক্রয় ও আমদানি করে বাজারে কম দামে পণ্য সরবরাহ বাড়াতে হবে, নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত মানুষকে রক্ষায় রেশনব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তন করতে হবে, মূল্যবৃদ্ধিকারী অসাধু ব্যবসায়ী সি-িকেটের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
একই দাবিতে ১১ জুলাই শুক্রবার বিকাল ৪টায় মীরপুর ১১ নং পূরবী সিনেমা হল-এর সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাম মোর্চা মহানগর শাখার সমন্বয়ক মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতৃবৃন্দ সাইফুল হক, মোশরেফা মিশু, আবু বকর রিপন, ফখ্রুদ্দিন কবির আতিক, অনুপ কু-ু, কল্যাণ দত্ত প্রমুখ। সমাবেশের পর মীরপুর ১১ নং থেকে ১০নং গোলচত্ত্বর পর্যন্ত পদযাত্রা, লিফলেট বিতরণ, পথসভা ও গণসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়।
গাইবান্ধা : নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর দাম কমানোর দাবিতে বাসদ গাইবান্ধা জেলা শাখার উদ্যোগে শনিবার দুপুর ১২টায় শহরে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জেলা বাসদ আহ্বায়ক আহসানুল হাবীব সাঈদ, সদস্য সচিব মনজুর আলম মিঠু। বক্তারা অবিলম্বে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, বাজারে ভেজাল ও ফরমালিন মুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করাসহ অপসংস্কৃতি-অশ্লীলতা, মাদক-জুয়া বন্ধে কার্যকর সরকারী উদ্যোগ দাবী করেন। নেতৃবৃন্দ ক্ষেতমজুর ও শ্রমজীবিদের জন্য সারা বছর কাজ ও আর্মিরেটে রেশন সরবরাহের দাবী জানান।

চট্টগ্রামে জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটির উদ্যোগে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ-কে নয়, বরং আলাদা স্থাপনায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে জনস্বাস্থ্য অধিকার রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে ১৬ জুলাই সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন কমিটির আহ্বায়ক ডা. মাহফুজুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. সালাউদ্দিন হায়দার সিদ্দিকী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. কামাল উদ্দিন, প্রকৌশলী সুভাষচন্দ্র বড়–য়া, ডা. সুশান্ত বড়–য়া, ওয়ার্ড কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদাউস পপি, শ্রমিক নেতা নিজাম উদ্দিন, সিদ্দিকুল্লাহ, মেজবাহ উদ্দিন প্রমুখ। স্মারকলিপিতে নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, মেডিকেল কলেজকে যদি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয় তবে আজ হোক বা কাল হোক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তার ইচ্ছামতো হাসপাতালের রোগী সেবা ফি ধার্য করার কর্তৃত্ব পাবে। এই ক্ষেত্রে ছিন্নমূল গরীব জনগোষ্ঠি বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্যসেবা পাবে না। বর্তমান ১৩০০ বেডের হাসপাতালে রোগী থাকে গড়ে ২২০০-২৩০০। প্রতিটি ওয়ার্ডের মাটিতে এমনকি বারান্দায় রোগীদের সংকুলান করতে হয়। প্রয়োজনীয় পানির অভাবে শৌচাগার অপরিষ্কার থাকে। এরপরও হাসপাতাল কোন রোগীকে ফেরত দেয় না। গরীব রোগীরা এরপরও ভাল হয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হলে রোগী ভর্তি সীমিত হয়ে যাবে, হাজার হাজার রোগী ফেরত যাবে, তারা উচ্চতর স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হবে। ফলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজকে আগের মতই সরকারের অধীনে রেখে এর বেড সংখ্যা তিন হাজারে উন্নীত করা হোক এবং প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও লোকবল সরবরাহ করা হোক। চট্টগ্রামের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য চট্টগ্রামে আরো দুইটি মেডিকেল কলেজ স্থাপন করা হোক। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকরণে চট্টগ্রামে ভিন্ন স্থাপনায় একটি মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হোক যেখানে শুধু মাত্র পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স থাকবে।

কৃষকদের হয়রানি বন্ধের দাবিতে দারিয়াপুর কৃষি ব্যাংক ঘেরাও

Gaibandha_Bank (1)১০ হাজার টাকা পর্যন্ত কৃষিঋণ মওকুফ, সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার, সহজ শর্তে কৃষিঋণ প্রদান ও কৃষকদের হয়রানি বন্ধের দাবিতে বাসদ দারিয়াপুর অঞ্চল শাখার উদ্যোগে ১৭ জুন দুপুর ১২টায় হাট দারিয়াপুরে বিক্ষোভ মিছিল শেষে দারিয়াপুর কৃষি ব্যাংক ঘেরাও করে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ গাইবান্ধা জেলার আহবায়ক আহসানুল হাবীব সাঈদ, আমিনুল ইসলাম, মালিবাড়ী ইউনিয়ন কমিটির আহবায়ক মাহাবুর রহমান খোকা, জুয়েল মিয়া প্রমুখ।
আহসানুল হাবীব সাঈদ বলেন, যারা সোনালী ব্যাংকসহ সকল সরকারি ব্যাংকে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করছে তাদের নামে মামলা হয় না। অথচ কৃষকরা ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে না পারার কারণে সেই কৃষকদের নামে সার্টিফিকেট মামলা দেয়া হচ্ছে। এক দেশে দুই আইন চলতে পারে না।
জোট-মহাজোটের গণবিরোধী রাজনীতির বিপরীতে জনগণের আন্দোলনের শক্তি গড়ে তুলুন Ñ বাম মোর্চা
জোট-মহাজোটের গণবিরোধী রাজনীতির বিপরীতে জনগণের আন্দোলনের শক্তি গড়ে তোলার আহবান জানিয়েছেন গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। মোর্চার কেন্দ্রীয় কর্মসূিচর অংশ হিসেবে ১৬ জুলাই দোস্ত বিল্ডিংস্থ কার্যালয়ে চট্টগ্রামের এক প্রতিনিধি সভায় নেতৃবৃন্দ এ আহবান জানান। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি রাজা মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাইফুল হক, প্রেসিডিয়াম সদস্য নাসিরুদ্দিন আহমেদ নাসু, বাসদ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য কমরেড উজ্জ্বল রায়, গণসংহতি আন্দোলন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সদস্য আবুল হাসান রুবেল, বাসদ নেতা অপু দাশ গুপ্ত।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, গত ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচনের মাধ্যমে মহাজোট সরকার পুনরায় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে ফ্যাসিবাদী কায়দায় দেশ চালাচ্ছে। একদিকে খুন-গুম ক্রমাগত বেড়ে চলেছে, অন্যদিকে লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি জনজীবনে নাভিশ¡াস তুলেছে। জনগণের সম্পদগুলো একে একে তুলে দিচ্ছে বিদেশী শক্তির হাতে। এই অপশাসনকে আড়াল করার জন্য সমুদ্র জয়ের বিষয়কে সামনে নিয়ে আসা হচ্ছে। অন্যদিকে সমুদ্রের গ্যাসব্লক সমূহ বিদেশি কোম্পানীর হাতে তুলে দেওয়ার আয়োজন চলছে।
নেতৃবৃন্দ বলেন একদিকে সরকার জনগণের মতামতের কোন ধরণের তোয়াক্কা করছে না, অন্যদিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট এর বিরুদ্ধে কোন কার্যকর আন্দোলন গড়ে তুলছে না। বাস্তবে এই রাজনৈতিক শক্তিগুলো জনগণের কোন ধরণের আকাংখাকে ধারণ করে না। নেতৃবৃন্দ বাম মোর্চার নেতৃত্বে জোট মহাজোটের বিপরীতে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান।

খাগড়াছড়ির বাবুছড়ায় বিজিবি কর্তৃক পাহাড়ী বসতি উচ্ছেদের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

SPB_Khagrachariবিজিবির দপ্তর স্থাপনের জন্য বসতি উচ্ছেদের প্রতিবাদে বাসদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার উদ্যোগে ১৬ জুন বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি মহাজন পাড়া প্রাইমারি স্কুলের সামনে থেকে শুরু করে শাপলা চত্ত্বর হয়ে মুক্তমঞ্চে পথ সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। পুলিশি বাধায় মিছিলটি মহাজন পাড়ায় ফিরিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে সমাবেশে বাসদ নেতা শাহাদাত হোসেন জনবসতি উচ্ছেদ করে বিজিবির দপ্তর না করা, সাম্প্রদায়িক উসকানি বন্ধ করা, ভুক্তভোগিদের উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা এবং বাবুছড়া সংকটের সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানান।

তিস্তা সেচ প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ

তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতাধীন খরা ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবিতে সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে ২০ জুলাই বেলা ২টায় নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের রংপুর জেলা শাখার সংগঠক ও বাসদ নেতা আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন দুলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসানুল হাবীব সাঈদ। নেতৃবৃন্দ বলেন, ভারত সরকারের পানি আগ্রাসন নীতি ও সরকারের নতজানু ভূমিকার কারণে তিস্তা পাড়ের চাষীরা খরা-বন্যায় সর্বস্বান্ত হচ্ছে। এই ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের বাঁচাতে সরকার এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো উদ্যোগই নেয়নি। নেতৃবৃন্দ তিস্তা সেচ প্রকল্পের আওতাধীন খরা ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের ৩০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ, আর্মি দরে রেশন চালু এবং বেকার ক্ষেতমজুরদের জন্য ১২০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্প চালুর জন্য সরকারের নিকট জোর দাবি জানান।

নারী নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ

কাফরুল, গাজীপুর, উত্তরা, কমলাপুর, মগবাজারসহ সারাদেশে ধর্ষণকারী-অপহরণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্রের উদ্যোগে ১৯ জুলাই সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা নগর শাখার সহসভাপতি মর্জিনা খাতুন, বক্তব্য রাখেন নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক তাসলিমা নাজনীন সুরভী, সাংগঠনিক সম্পাদক তাসলিমা আক্তার বিউটি, সদস্য নাঈমা খালেদ মনিকা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, গত কয়েকদিন ধরে পত্রিকায় ধর্ষণ ও নারীনির্যাতনের যে ঘটনাসমূহ পরিলক্ষিত হচ্ছে তাতে এক ভয়ংকর চিত্র ফুটে উঠেছে। গত ৩ জুলাই রাতে উত্তরার এক ছাত্রীকে মায়ের সামনে থেকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়। অপহরণের পর নির্যাতন করে তাকে উত্তরায় রেখে যায়। ৫ জুলাই কাফরুলে এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। মিরপুরে সাংবাদিক পরিচয়ে ছয়জন বাসায় ঢুকে কলেজ পড়–য়া ছাত্রীকে ধর্ষণ করে, রাজধানীর মগবাজারে চিকিৎসা করতে আসা এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগ নেতা, কমলাপুরে বাস কাউন্টারে দুই কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে দুর্বৃত্তরা। সারাদেশে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে এবং ধর্ষণকারী-অপহরণকারী-নির্যাতনকারি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে নারীসমাজের প্রতি আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।

ইউনিয়ন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলো চা শ্রমিক ফেডারেশন

চা শ্রমিকদের জাতীয় সংগঠন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়ন-এর নির্বাচনে সিলেট সুরমা ভ্যালিতে স্বতন্ত্র প্যানেলে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে চা শ্রমিক ফেডারেশন। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি হৃদেশ মুদি সভাপতি পদে, আশা সবর সহ-সভাপতি ও বীরেন সিং সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। গত ১০ আগস্ট অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সিলেট ভ্যালির ২২টি বাগানে ৬৫০০ শ্রমিক ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে, এর মধ্যে চা শ্রমিক ফেডারেশন মনোনীত প্যানেল ৬৩৬ ভোট পেয়েছে। চা শ্রমিকদের ভূমি অধিকার নিশ্চিত করা, দৈনিক মজুরি ৩০০ টাকায় উন্নীত করা, শিক্ষা-চিকিৎসার দাবিসহ নির্বাচনী প্রচারকালে চা শ্রমিক ফেডারেশনের উত্থাপিত বক্তব্য শ্রমিকদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।

নারী-শিশু নির্যাতন বন্ধের দাবিতে
নারীমুক্তি কেন্দ্রের দেশব্যাপী স্মারকলিপি পেশ

রংপুর : নারী ও শিশুর ওপর সকল প্রকার নির্যাতন নিপীড়ন বন্ধ ও নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে ১৮ জুন সকাল ১১টায় মানববন্ধন-সমাবেশ ও স্মারকলিপি পেশ করা হয়। সংগঠনের জেলা সভাপতি প্রভাষক আরশেদা খানম লিজুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন জেলা সদস্য আলো বেগম, ফাহমিদা আহমেদ প্রিয়াংকা প্রমুখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাসদ সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু, পলাশ কান্তি নাগ। সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে মগবাজারে গৃহবধু ধর্ষণকারী ছাত্রলীগ নেতার, সিলেটের দুইবোন ধর্ষণকারীর, মনিরামপুর ঋষিপল্লীর মা-মেয়ে-স্ত্রী-গৃহবধু গণধর্ষণকারীর, খাগড়াছড়ি জুম্ম নারী সবিতা চাকমাকে ধর্ষণকারীর, গাজীপুরে গৃহবধুকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্যকারী দুর্বৃত্ত স্বামীর, ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধি নূরজাহান বেগমকে নির্যাতনকারী দুর্বৃত্ত এবং গোবিন্দগঞ্জ পুলিশ স্টেশনে সীমা ধর্ষণকারী পুলিশ সদস্যসহ সারাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতনকারীদের গ্রেফতার ও প্রতিটি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত বিচার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। অপসংস্কৃতি-অশ্লীলতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। পর্নোগ্রাফি, ব্লু ফিল্ম, মোবাইল ফোনে পর্নো ছবি ডাউনলোড, মাদক ও জুয়া বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
দিনাজপুর : বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র দিনাজপুর জেলা শাখা ১৮ জুন ২০১৪ সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের দিনাজপুর জেলার সংগঠক দৌলতন নেছা দুলি, আরজুনা বেগম, শারমিন আক্তার, ফাহমিদা আকতার লুবনা প্রমুখ। ১ জুন থেকে দিনাজপুর শহরে বিভিন্না পাড়া মহল্লায় সংগঠনের পক্ষ থেকে গণ সংযোগ, লিফলেটিং, মত বিনিময় ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। ৫ জুন প্রেসক্লাবে সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচীতে বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্র, বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্র এর নেতাকর্মীবৃন্দ ছাড়াও সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মানবন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ, মদ জুয়া অশ্লীলতা বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সরকারের প্রতি দাবি জানান এবং পাড়ায় মহল্লায় গণ পাঠাগার গড়ে তোলার আহ্বান জানান। নারী ও শিশু নির্যাতন, খুন-ধর্ষণ-অপহরণের সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
সিলেট : কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে ১৮ জুন সকাল ১১টায় সিলেট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। স্মারকলিপি পেশকালে উপস্থিত ছিলেন নারী মুক্তি কেন্দ্র সিলেট জেলা শাখার সদস্য তামান্না আহমেদ, ইসরাত রাহী রিশতা, সাদিয়া নোশিন তাসনিম।
চট্টগ্রাম : কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এরপর অব্যাহত নারী ও শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদে মিছিল সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। চট্টগ্রাম জেলা সভাপতি পপি চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর জান্œাতুল ফেরদাউস পপি, পূরবী চক্রবর্তী, মনিদীপা ভট্টাচার্য, তাজ নাহার রিপন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসমা আক্তার।

ধর্ষককে গ্রেফতারের দাবিতে গাইবান্ধায় মানববন্ধন

গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের এক গৃহবধুকে চারদিন আটক রেখে ধর্ষণ করার প্রতিবাদে ও অবিলম্বে ধর্ষণকারীকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র-র উদ্যোগে গত ৯ জুলাই দুপুর ১২টায় আসাদুজ্জামান মার্কেটের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। নারীমুক্তি কেন্দ্রের জেলা সভাপতি অধ্যাপক রোকেয়া খাতুনের সভাপতিত্বে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাসদ নেতা মনজুর আলম মিঠু, প্রভাষক মোস্তফা মনিরুজ্জামান মনির, প্রভাষক আকরামুল হক রাঙ্গা, সাংবাদিক হেদায়েতুল ইসলাম বাবু, নারীমুক্তি কেন্দ্রের জেলা সাধারণ সম্পাদক নিলুফার ইয়াসমিন শিল্পী, বাসদ লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের সংগঠক ময়নুল ইসলাম, ভিকটিমের আত্মীয় শাহ আলম।
বক্তাগণ লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের গৃহবধুকে ধর্ষণ এবং ফুলছড়িতে পাষন্ড পিতা কর্তৃক ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের ঘটনার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এ সমস্ত ঘটনার পিছনে মাদক, জুয়া, অপসংস্কৃতি-অশ্লীলতা ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়াকে দায়ী করেন। এইসব ঘটনায় সুনির্দিষ্ট মামলা হওয়ার পরও পুলিশ প্রশাসনের যথাযথ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা এবং প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপকে দায়ী করেন। বক্তাগণ উপরোক্ত ঘটনায় পুলিশ প্রশাসনের যথাযথ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবী জানান। এছাড়া সাহাপাড়া ইউনিয়নের কিশোরী মারুফা পারভীন উর্মির অপহরণকারীদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান।

সিলেটে চা বাগানে শিশু নির্যাতনের প্রতিবাদ

সিলেট শহরতলীর বুরজান চা বাগানে গত ১৩ জুলাই সাধু প্রকাশ নামে এক শ্রমিকের দ্বারা ৭ বছরে শিশু পাশবিক নির্যাতনের প্রতিবাদে ১৫ জুলাই সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে শিশু কিশোর মেলা সিলেট জেলা শাখা। সিলেট জেলা সংগঠক লিপন আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধন চলাকালীন সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর কমিটির সভাপতি রেজাউর রহমান রানা, নারীমুক্তি কেন্দ্র নেত্রী ইশরাত রাহী রিশতা প্রমুখ।

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ২০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শিশু কিশোর মেলা সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে ২৬জুন বিকাল ৪টায় শ্রীহট্ট সংস্কৃত কলেজে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংগঠনের সিলেট জেলা সংগঠক রুবাইয়াৎ আহমেদের সভাপতিত্বে এবং মিজানুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বাসদ সিলেট জেলার আহ্বায়ক উজ্জ্বল রায়, ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাঈমা খালেদ মনিকা, সিলেট নগর শাখার সভাপতি রেজাউর রহমান রানা প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে জাহানারা ইমাম মুক্তিযুদ্ধে সার্বিক সহযোগিতাই শুধু করেননি, ছেলে শহীদ রুমিকে নিজে যুদ্ধে ঠেলে দিয়ে দেশপ্রেমের অপূর্ব দৃষ্টান্ত তৈরি করেন। মুক্তিযুদ্ধের পর ৯২ সালে একাত্তুরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে তার নেতৃত্বেই গড়ে উঠে ঐতিহাসিক গণআদালত। আর এভাবেই তিনি হয়ে ওঠেন শহীদ জননী। সামাজিক দায়বোধ সম্পন্ন মানুষ গড়ে তোলার জন্যে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের মত বড় মানুষের চরিত্র সামনে আনা প্রয়োজন।

নবীগঞ্জে সাম্যবাদ পাঠক ফোরামের সভা

সাম্যবাদ পাঠক ফোরাম নবীগঞ্জ উপজেলার উদ্যোগে ২৪ জুলাই সন্ধ্যা ৭টায় নবীগঞ্জ অস্থায়ী কার্যালয়ে আহ্বায়ক ডা. সুব্রত চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে ও দীপ দাসের পরিচালনায় এক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন বাসদ কনভেশন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, উজ্জ্বল রায়, হবিগঞ্জ জেলার সংগঠক শফিকুল ইসলাম, কাঞ্চন চক্রবর্তী, তমাল পাল, নরেন্দ্র পাল, সুজন দাস প্রমুখ। কর্মীসভায় প্রধান বক্তা মানস নন্দী বলেন, পুঁজিবাদের রক্ষক সাম্রাজ্যবাদীরা তাদের বাজার দখল, সম্পদ লুণ্ঠন ও অস্ত্র বিক্রির জন্য দেশে দেশে হামলা, আগ্রাসন ও যুদ্ধ বাধাচ্ছে। এর ফলাফল হিসাবে মার্কিন মদদে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। তাই মার্কসবাদ-লেনিনবাদ ও শিবদাস ঘোষের চিন্তাধারার আলোকে দেশে দেশে পুঁজিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

রামপাল প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে জাতীয় কমিটির প্রতিক্রিয়া

তেল-গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ এবং সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ ১৬ জুন এক বিবৃতিতে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চীন সফর শেষে ঢাকায় ফিরে গত ১৪ জুন অন্যান্য বিষয়ের সাথে সুন্দরবন ধ্বংসী রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বিষয়ে কিছু কথা বলেছেন। এসব কথার মধ্যে বেশ কিছু গুরুতর ভুল তথ্য ও যুক্তি আছে।
প্রথমত: প্রধানমন্ত্রী বলেছেন রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পবিরোধী আন্দোলনকারীরা ‘না জেনে এবং সেখানে না গিয়েই আন্দোলন করছে’। তার এই কথার মধ্যে সত্যের লেশমাত্র নাই। জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে আমরা ২০১০ সাল থেকেই ঐ অঞ্চলে যাচ্ছি। সেই বছর স্থানীয় মানুষেরা বিদ্যুৎকেন্দ্রের হুমকির মুখে ‘কৃষি জমি রক্ষা সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করে। তাঁদের কাছেই আমরা জানতে পারি পরিবেশ সমীক্ষা না করে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে এবং পুলিশ ও সন্ত্রাসী দিয়ে নির্যাতন করে মানুষদের তাদের জমি ও বসতি থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। এলাকাবাসীর আমন্ত্রণেই আমরা তখন প্রকৃত পরিস্থিতি অনুসন্ধানের জন্য পশুর নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে যাই। কিন্তু অন্যায়কাজে লিপ্ত লোকজন ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে পড়ে। এবং প্রথমে সরকারি দলের সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়। দ্বিতীয়বার পুলিশী প্রতিবন্ধকতার মাধ্যমে আমাদের তথ্য অনুসন্ধানে বাধা দেয়া হয়। এর আগে পরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা কয়েকবছর ধরে সুন্দরবনের উপর কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভয়াবহ ক্ষতিকর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করেন। এইসব গবেষণা এবং ভারতসহ বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা, আইন পর্যালোচনা করে আমরা নিশ্চিত হই যে, সুন্দরবনের যে দূরত্বে এ বিদ্যুৎ প্রকল্প করা হচ্ছে তাতে এর ধ্বংস অনিবার্য। কয়েক বছর ধরে একদিকে যুক্তি তথ্য ও গবেষণা এবং অন্য দিকে সুন্দরবন রক্ষায় মানুষের তাগিদের ফলে সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের অংশগ্রহণে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকা-সুন্দরবন অভিমুখে একটি লংমার্চ অনুষ্ঠিত হয়। যাতে সুন্দরবন সংশিষ্ট অঞ্চলসহ দেশের লক্ষাধিক মানুষ নানাভাবে অংশ নেন। কিন্তু সরকার যাচ্ছে উল্টোপথে। ভারতীয় কোম্পানির পর দেশের বহু দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত ওরিয়ন গ্র“পকে আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে সুযোগ দেয়া হচ্ছে। ভূমিদস্যুদের আগ্রাসী তৎপরতা বেড়েছে। আশার কথা এই যে, মুনাফালোভী ভারতের এনটিপিসি ও বাংলাদেশের ওরিয়ন কোম্পানি, চীনাসহ কতিপয় কনসালট্যান্ট, ভূমিদস্যু এবং কমিশনভোগী ছাড়া বাংলাদেশের সকল মানুষ সুন্দরবনধ্বংসী এসব তৎপরতার বিরুদ্ধে।
দ্বিতীয়ত: প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বড়পুকুরিয়ায় তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ফলে পরিবেশের কোন ক্ষতি হয়নি রামপালেও হবে না। এই বক্তব্যেও সত্যতা নেই। বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সাথের কয়লা খনি আকারে অনেক ছোট হওয়া সত্ত্বেও ইতিমধ্যে সংশিষ্ট অঞ্চলে পরিবেশগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিভিন্নমাত্রিক। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নেমে গিয়ে কৃষি ও পানের পানির সংকট দেখা দিয়েছে, এলাকার খালবিলের পানি বিষাক্ত হয়েছে, বায়ু দূষণে এলাকাবাসীর স্বাস্থ্যহুমকি সৃষ্টি হয়েছে এবং আবাদী জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ইতিমধ্যে গ্রাম উজাড় হয়েছে এবং সরকার তাদের দাবির মুখে ক্ষতিপূরণে শতাধিক কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। এসব ক্ষয়ক্ষতি অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে মানুষকে এলাকা থেকে সরিয়ে আরও ভয়াবহ উন্মুক্ত খনির চক্রান্ত চলছে। জনস্বার্থেই যদি সরকার কাজ করে তাহলে অস্বচ্ছতা, চক্রান্ত, বলপ্রয়োগ কেন?
প্রকৃতপক্ষে ক্ষতির মাত্রার দিক থেকে বড়পুকুরিয়ার সাথে রামপালের কোন তুলনা হয় না। বড়পুকুরিয়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ১৫০ মেগাওয়াট। রামপালে পরিকল্পনা হলো, প্রথমে ১৩২০ মেগাওয়াট ও পরে ক্রমান্বয়ে সব মিলে প্রায় ৩০০০ মেগাওয়াট, ২০ গুণ বেশি। বড়পুকুরিয়ায় নদী দিয়ে কয়লা আনতে হয় না। রামপালে পশুর নদীর দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রে আনতে হবে। সর্বোপরি বড়পুকুরিয়ায় কোন সুন্দরবন নাই কিন্তু রামপালে সুন্দরবনের বিপদজনক সীমার মধ্যেই এই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। সুতরাং রামপালে ক্ষতি তুলনায় বহু বহু গুণ বেশি, এবং এসব ক্ষতিপূরণযোগ্য নয়। তারা অন্য নিরাপদ স্থানে স্বচ্ছতার সঙ্গে পরিবেশ সমীক্ষা যথাযথভাবে সম্পন্ন করে জনসম্মতির ভিত্তিতে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ও দাবি জানান।

কৃষক ফ্রন্টের কমিটি গঠিত

সমাজতান্ত্রিক ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্ট রংপুর সদর উপজেলার খলেয়া ইউনিয়ন শাখার কর্মীসভা গত ১২ জুলাই সকাল ১১ টায় গনজিপুরে অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সংগঠক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বাসদ রংপুর জেলা সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু, পলাশ কান্তি নাগ প্রমুখ। সভায় তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের আন্দোলন এবং কৃষি-কৃষক-ক্ষেতমজুরদের স্বার্থ রক্ষায় চলমান আন্দোলনকে বেগবান করার লক্ষ্যে মোঃ আওরঙ্গজেবকে আহবায়ক ও কাউসার আলমকে সাধারণ সম্পাদক করে ২১ সদস্য বিশিষ্ট খলেয়া ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়।

বিদেশী বিশ্ববিদ্যায়ের শাখা ক্যাম্পাস চালুর অনুমোদন দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ

বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস খোলার নীতিগত অনুমোদন দেয়ার প্রতিবাদে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ২৬ জুন দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি মধুর কেন্টিন থেকে বের হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছাত্র নেতা সাইফুজ্জামান সাকন বলেন, ‘ইউজিসি বিভিন্ন বিদেশী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ক্যাম্পাস খোলার অনুমোদন দেয়ার মধ্য দিয়ে বাস্তবে বিদেশী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে শিক্ষার অবাধ বিনিময়ের নামে শিক্ষার অবাধ বাণিজ্যের দ্বার খুলে দেয়া হলো। বিদেশী নামকাওয়াস্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস চালু করার দ্বারা বাস্তবে বিদেশী পুঁজিপতিদের আমাদের দেশে উচ্চশিক্ষায় বিনিয়োগের পথ খুলে দেয়া হলো।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশী-বিদেশী পুঁিজপতিশ্রেণীর বিনা ঝুঁকির মুনাফা লুটের লোভনীয় বিনিয়োগ ক্ষেত্র হচ্ছে সেবা খাত। তার মধ্যে শিক্ষা অন্যতম। ফলে সরকারী আয়োজনের প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ব্যবসার বাজার তৈরি কর Ñ এই হচ্ছে সরকারের নীতি। সে কারণেই এঅঞঝ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। ২০০৬ সালে ইউজিসি প্রণয়ন করেছে উচ্চশিক্ষার ২০ বছর মেয়াদী কৌশলপত্র। যার সার কথা হচ্ছে সরকার আর এসব প্রতিষ্ঠানে অর্থ বরাদ্দ করবে না। শিক্ষা মৌলিক মানবিক অধিকার। কিন্তু শিক্ষার রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব আজ ক্রমেই অস্বীকার করা হচ্ছে। বিনামূল্যে শিক্ষা শাসকশ্রেণী দেবে না, যতটুকু দেবে সেটাও কিনতে হবে চড়া দামে।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক অতিরিক্ত ফি আরোপের প্রতিবাদ

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক প্রথম বর্ষের ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আরোপের প্রতিবাদে ১৮ জুন প্রগতিশীল ছাত্রজোট কারমাইকেল কলেজ শাখা ব্যাংক অবরোধ করে। একইভাবে অনার্স চতুর্থ বর্ষের ফরম পূরণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বধিত ফি (৭৩৫) টাকা প্রত্যাহারের দাবিতে ২২ জুন ব্যাংক অবরোধ করে প্রগতিশীল ছাত্র জোট। অবরোধ চলাকালে সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কলেজ সভাপতি আবু রায়হান বকসীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ইউনিয়ন কলেজ সভাপতি এম এম সৌরভ, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, ছাত্র ফ্রন্ট কাবিক সাধারণ সম্পাদক হোজায়েফা সাকওয়ান জেলিড, ছাত্র ফ্রন্টের সহ-সভাপতি মোসলেমউদ্দিন।
নেতৃবৃন্দ বলেন প্রথম বর্ষের ফরম পূরণে ৫৫০টাকা বৃদ্ধি করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, আর একই মাসে চতুর্থ বর্ষের ফরম পূরণে গত বছরের চেয়ে বৃদ্ধি করেছে ৭৩৫ টাকা। গত বৎসর অনার্স প্রথম বর্ষে ফরম পূরনে ফি ছিলো যথাক্রমে মানবিক ও বাণিজ্য ২৩৭৮ টাকা যা এবার করা হয়েছে ২৭৬২ বিজ্ঞানে ছিলো ২৭০০ টাকা যা এবার বাড়িয়ে ৩১০০ টাকা করা হয়েছে। এবার অযৌক্তিকভাবে পত্র ফি ১৬৫ টাকার জায়গায় ২০০ টাকা, প্রাক প্রস্তুতি মূলক পরীক্ষায় ৭৫ টাকার জায়গায় ২০০ টাকা, কেন্দ্র ফি ৩০০ টাকার জায়গায় ৩৫০ টাকা, ইন কোর্স নতুন করে ১০০ টাকা, ব্যবহারিক ফি প্রতিপত্র ১০০ টাকার জায়গায় ২০০ টাকা করা হয়েছে। চতুর্থ বর্ষে গত বছর কোর্স ফি ১৬৫ টাকা থেকে ২০০ টাকা, কেন্দ্র ফি ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা, নম্বরপত্র ও সার্টিফিকেট ফি ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা, এবং ল্যাব ফি ৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১২৫ টাকা করা হয়েছে এবং নতুনভাবে মৌখিক পরীক্ষার ফি ২০০ টাকা, মান উন্নয়ন অন্তর্ভুক্তি ফি ৩০০ টাকা আরোপ করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক বর্ধিত ফি প্রত্যাহারের দাবি জানান।

মহান বিজ্ঞানী মাদাম কুরি স্মরণানুষ্ঠান

৪ জুলাই মহান বিজ্ঞানী মাদাম কুরির ৮০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ছাত্র ফ্রন্ট-এর উদ্যোগে ৭ জুলাই সোমবার শাবিপ্রবি ক্যাম্পাসে দিনব্যাপী মাদাম কুরি স্মরণানুষ্ঠান পালিত হয়েছে। সকাল ১০টায় ক্যাম্পাসস্থ অর্জুনতলায় মাদাম কুরির অস্থায়ী প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এলহামুল হাই। বিকেল সাড়ে চারটায় মাদাম কুরির জীবনসংগ্রাম ও কীর্তি স্মরণে শিক্ষা ভবন থডি এর ২০২২ নং কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্রের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা ডা. ফাতেমা ইয়াছমিন। উক্ত আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ছাত্র ফ্রন্ট শাবিপ্রবি শাখার সদস্য মাসুদ করিম সোহাগ এবং বিজ্ঞান চর্চা কেন্দ্র সিলেট জেলা শাখার সংগঠক মিজানুর রহমান। মাদাম কুরি স্মরণানুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বাসদ সিলেট জেলা শাখার আহবায়ক কমরেড উজ্জ্বল রায়। বক্তাগণ বলেন, ‘মাদাম কুরি একজন মহান বিজ্ঞান সাধক, এক মহা হৃদয়ের মানুষ, এক যশস্বী চরিত্র। সারাজীবন যিনি ব্যয় করেছেন বিজ্ঞানের অক্লান্ত সাধনায়। পারিবারিক দুরবস্থা, দারিদ্র্য, সমাজের রক্ষণশীল দৃষ্টিভঙ্গি তার বিজ্ঞানসাধনার পথে বারবার দেয়াল তুলে দিয়েছে, কিন্তু বিজ্ঞানের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ধারণ করে সব কিছু উপেক্ষা করে একাই দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে গেছেন। বক্তাগণ আরো বলেন, এই মহান মানুষটি নিজের আবিষ্কারের কোনো প্যাটেন্ট করেননি। ব্যক্তিগত লাভ কিংবা অর্জনকে পায়ে ঠেলে তাঁর আবিষ্কারকে বিশ্বমানবের মঙ্গলের তরে অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছেন। পদার্থ ও রসায়ন বিজ্ঞানের পাশাপাশি চিকিৎসাবিজ্ঞানকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন অনেকটা পথ। মানুষের প্রতি কুরির ভালোবাসা তার আবিষ্কৃত তেজষ্ক্রিয় শক্তির মতোই যা সাধারণ চোখে দেখা যায় না কিন্তু অনুভব করা যায় তার ফলের মাধ্যমে। মাদাম কুরি স্মরণানুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্র ফ্রন্ট শাবিপ্রবি শাখার আহবায়ক অনীক ধর এবং পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক অপু দাস।

ছাত্র ফ্রন্টের নবীন বরণ ও সম্মেলন

কারমাইকেল কলেজ : সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কারমাইকেল কলেজ শাখার উদ্যোগে শিক্ষাবর্ষ ২০১৩-১৪ শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ ও কলেজ কমিটির ৩য় সম্মেলন গত ১২ জুন সকাল ১১টায় কলেজ শহীদ মিনার চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হয়। নবীন বরণের আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বাসদ রংপুর জেলার সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু, ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুজ্জামান সাকন, রংপুর জেলার সভাপতি আহসানুল আরেফিন তিতু। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্র ফ্রন্ট কারমাইকেল কলেজ শাখার সভাপতি রেদওয়ানুল ইসলাম বিপুল। সভা পরিচালনা করেন কলেজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবু রায়হান বকসী। আলোচনা সভার পূর্বে নবীনদের অংশগ্রহণে ক্যাম্পাসে এক বর্নাঢ্য র‌্যালী বের করা করা হয়। নবীনবরণে নবীন শিক্ষার্থী ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র, পদাতিকের অংশগ্রহণে গান, কবিতা, নৃত্য ও মুনির চৌধুরী রচিত ‘কবর’ নাটক মঞ্চায়িত হয়। সম্মেলনে আবু রায়হান বকসীকে সভাপতি, আবু সাঈদ মোঃ তৌহিদুল ইসলামকে সহ-সভাপতি, হোজায়ফা সাকওয়ান জেলিডকে সাধারণ সম্পাদক, ইমরান সরকারকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট দশম কমিটির পরিচয় করিয়ে দেয়া হয়।
গাইবান্ধা কলেজ : ছাত্র ফ্রন্ট গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখার ১১তম সম্মেলন ও ২০১৩-২০১৪ শিক্ষাবর্ষের নবীন বরণ ১১জুন কলেজের ১৬নং কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কলেজ শাখার সাবেক সভাপতি শামিম আরা মিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলন উদ্বোধন ঘোষণা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ছাত্রনেতা কল্যাণ দত্ত, জেলা বাসদের সদস্য আমিনুল ইসলাম, জেলা সভাপতি নিলুফার ইসয়াসমিন শিল্পী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাহবুব আলম মিলন প্রমুখ। নবীণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন ফেরদেউস মিয়া ও মোস্তাফিজুর রহমান। বক্তব্য শেষে ছাত্র ফ্রন্ট গাইবান্ধা সরকারি কলেজ শাখার ১৬ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে পরমানন্দ দাসকে সভাপতি, জেসমিন আক্তারকে সহ-সভাপতি, জাহেদাকে সাধারণ সম্পাদক, মাহবুব আলম মিলনকে সাংগঠনিক সম্পাদকসহ ১৬ জনকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। বক্তাগণ গাইবান্ধা সরকারি কলেজের নানাবিধ সংকট নিরসনের আন্দোলনকে বেগবান করার আহ্বান জানান।

ছাত্র ফ্রন্টের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত

বৃন্দাবন কলেজ : হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের উদ্যোগে … দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে কলেজের শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে অনার্স ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের চা চক্র ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্র ফ্রন্ট কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক এনামুল হকের সভাপতিত্বে এবং উত্তম দেবের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সদস্য ও হবিগঞ্জ জেলার সংগঠক শফিকুল ইসলাম, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আহবায়ক অনীক ধর। অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র সহিদুল ইসলাম, গণিত বিভাগের কামরুল হাসান, গোলাম কিবরিয়া, ইংরেজী বিভাগের তানভীর আহমেদ প্রমুখ। সভায় বক্তাগণ বলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলোতে সেশনজট, ক্লাসরুম সংকট ও শিক্ষক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এর মধ্যে স্বতন্ত্র পরীক্ষার হল না থাকায় টেষ্ট পরীক্ষা ইনকোর্স পরীক্ষা, ফাইনাল পরীক্ষার কারণে বছরের অধিকাংশ সময় বন্ধ থাকে। তাই উপরোক্ত সংকটগুলো নিরসন করে বৃন্দাবন কলেজে সকল বিষয়ে মাস্টার্স ও প্রিলিমিনারি চালু করার দাবি জানান।
মদনমোহন কলেজ : সম্মান ১ম বর্ষের নবাগত ছাত্রদের নিয়ে ছাত্র ফ্রন্ট মদন মোহন কলেজ শাখার উদ্যোগে ২২ জুন ক্যাম্পাসে চা-চক্র অনুষ্ঠিত হয়। কলেজ শাখার আহ্বায়ক লিপন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রুবেল মিয়ার পরিচালনায় চা-চক্র অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নাঈমা খালেদ মনিকা, সিলেট নগর শাখার সভাপতি রেজাউর রহমান রানা। বক্তারা অবিলম্বে মদন মোহন কলেজেকে সরকারিকরণ করা, সম্মানে বিজ্ঞান বিভাগ চালু, ছাত্র বেতন-ফি কমানো এবং ক্যাম্পাসে শহীদদের স্মৃতিফলক নির্মাণের দাবিতে ঐক্যবদ্ধ ছাত্র আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
এসএসসি উত্তীর্ণদের সংবর্ধনা
হবিগঞ্জ : বিজ্ঞানমনস্কতা, সৃজনশীলতা ও সাম্যবোধের চেতনায় জেগে উঠার আহ্বান নিয়ে শিশু কিশোর মেলা হবিগঞ্জ জেলার উদ্যোগে ২০ জুন বিকাল ৪টায় স্থানীয় আর.ডি. হলে এসএসসি-২০১৪ উত্তীর্ণদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শিশু কিশোর মেলা হবিগঞ্জ জেলার সংগঠক শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং তমাল দেবনাথ-এর পরিচালনায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক অজিত কুমার পাল, বিশিষ্ট লেখক ও উপস্থাপক প্রমথ সরকার, মেলা সিলেট জেলার সংগঠক লিপন আহমেদ, এসএসসি উত্তীর্ণ সৈকত চৌধুরী, শাফি আহমেদ প্রমুখ। সভায় আলোচকবৃন্দ বলেন শিক্ষার মূল উদ্দেশ্য শুধু সার্টিফিকেট অর্জন নয়, মানুষ হিসেবে গড়ে উঠাই শিক্ষার উদ্দেশ্য। আজকের শিক্ষার্থীরা উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের পাশাপাশি শিক্ষা-সংস্কৃতি-নৈতিকতা-মনুষ্যত্ব-মূল্যবোধ অর্জন করে সমাজের প্রয়োজনে কাজ করা উচিত। আলোচনা সভা শেষে সংগীত পরিবেশন করেন শিশু কিশোর মেলার সংগঠক প্রত্যয় রায় সরকার ও প্রদীপ্ত রায় সরকার।
চাঁদপুর : শিশু কিশোর মেলা চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে এস.এস.সি পরীক্ষার উত্তীর্ণদের এক সংবর্ধনা সভা ১লা জুন বেলা ১১টায় গণি মডেল হাই স্কুলে অনুষ্ঠিত হয়েছে । প্রথমে উত্তীর্ণদের ফুলের শুভেচ্ছা জানানো হয়। পরে আলোচনা, গান, নাচ-কৌতুক পরিবেশিত হয়। উত্তীর্ণদের মধ্যে থেকে গান পরিবেশন করে ওমর ফারুক রাফি, হ্যাপি, নাচ পরিবেশন করে আসমা আক্তার ও কবিতা, কৌতুক অভিনয় করে প্রণব ঘোষ, বক্তব্য রাখে শশী সূত্রধর এবং মনির হোসেন। শিশু কিশোর মেলার সংগঠক মাইনুল হাসানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছাত্র নেতা বিধুভূষন নাথ পলাশ, সদস্য ছাত্র নেতা মাসুদ রেজা, চাঁদপুর সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি ছাত্র নেতা রহিমা আক্তার কলি। উত্ত সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন শিশু কিশোর মেলার উপদেষ্টা আজিজুর রহমান আজিজ, পলাশ দাস, গিয়াসউদ্দিন আহমেদ বাবু। বক্তারা উত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীর মানসম্পন্ন শিক্ষার আয়োজন নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান । এছাড়াও সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের বিরুদ্ধে মানবিকতা, মূল্যবোধ এবং মনুষ্যত্বের ঝান্ডা উর্ধ্বে তুলে ধরার প্রত্যয় ব্যক্ত করে সকলকে সংগ্রামে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

শিশু কিশোর মেলার পাঠক ফোরাম সম্মিলন অনুষ্ঠিত

শিশু কিশোর মেলা চট্টগ্রাম জেলা শাখা এক পাঠক ফোরাম সম্মিলনের আয়োজন করে ১৭ জুলাই সকাল ১১টায় নগরীর স্টুডিও থিয়েটার হলে। সম্মিলনে মেলা সংগঠক মাহফুজা খাতুন মলির সভাপতিত্বে আলোচনা করেন বিশিষ্ট আবৃত্তিকার রঞ্জিত রক্ষিত, শিশু কিশোর মেলার কেন্দ্রীয় সম্পাদক সত্যজিত বিশ^াস প্রমুখ। আলোচকবৃন্দ বলেন, আমাদের সমাজে আজ ছেলেমেয়েদের সত্যিকারের মানুষ রুপে গড়ে উঠার আয়োজন নেই। একদিকে ভোগবিলাস ও পণ্যসর্বস্বতা, অন্যদিকে চলছে চরিত্র হননের নানামুখী আয়োজন। ছেলেমেয়েদের সামনে বড় মানুষের চরিত্র অনুপস্থিত। ফলে একধরণের আত্মসর্বস্বতা গড়ে উঠছে। শিশু কিশোর মেলার সংগঠকদের এর বিরুদ্ধে নিজেদের চরিত্র নিয়ে দাঁড়াতে হবে। সম্মিলনে মেলার সদস্যদের অংশগ্রহণে বৃটিশ বিরোধী বিপ্লবী ক্ষুদিরাম ও প্রীতিলতার জীবনী পাঠ, আবৃত্তি, গান এবং রবীন্দ্রনাথের নাটক ‘চিন্তাশীল’ পরিবেশিত হয়।

শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সমাবেশ

ঈদের আগে বেতন ও মজুরির সমপরিমাণ বোনাস পরিশোধ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও শ্রমিকদের জন্য রেশন চালু, গার্মেন্টসে ৮০০০ টাকা মজুরি ও অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারসহ বিভিন্ন দাবিতে বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন ঢাকা মহানগর শাখার উদ্যোগে ১৮ জুলাই শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শ্রমিক সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহানগর সংগঠক ফখ্রুদ্দিন কবির আতিকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জহিরুল ইসলাম, কল্যাণ দত্ত, চন্দন দাশ, রাজীব চক্রবর্ত্তীসহ মহানগর নেতৃবৃন্দ। সমাবেশের পর পল্টন এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। নেতৃবৃন্দ বলেন – শ্রমজীবী মানুষরা উৎপাদন করে দেশকে সচল রেখেছে, সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা আয়ে মূল ভূমিকা রাখছে। অথচ শ্রমিকরা মানুষের মত বাঁচতে পারছে না, মালিকদের সম্পদ কিন্তু ঠিকই বাড়ছে। যে দলই ক্ষমতায় থাকুক, সরকার ও রাষ্ট্র মালিকের স্বার্থই দেখে। ফলে শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে তাদেরই লড়তে হবে।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments