Saturday, November 23, 2024
Homeসাম্যবাদআন্দোলন-সংগঠন সংবাদ

আন্দোলন-সংগঠন সংবাদ

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনা জনগণকে আতঙ্কিত করে তুলেছে

বাসদ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী ২০ এপ্রিল সংবাদমাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে আবাসিক গ্রাহকসহ সর্বক্ষেত্রে গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির সরকারি পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং জনস্বার্থবিরোধী এই পদক্ষেপ থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, পাইপলাইনে সরবরাহকৃত গ্যাস ও এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডারের মূল্য বৃদ্ধির সরকারি পরিকল্পনার সংবাদ জনসাধারণকে আতঙ্কিত করে তুলেছে। মাত্র কিছুদিন আগেই জনমত উপেক্ষা করে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পর এবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর পরিকল্পনা জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধিতে হাঁসফাঁস করতে থাকা সাধারণ মানুষের উপর নতুন আঘাত। একই সাথে শিল্প, বিদ্যুৎকেন্দ্র, পরিবহনসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির পরিকল্পনা মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দেবে, জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধি ঘটাবে। তিনি সরকারের এই গণবিরোধী পরিকল্পনা প্রতিহত করতে জোরদার গণআন্দোলন গড়ে তুলতে জনসাধারণের প্রতি আহ্বান জানান।

হত্যা, গুম, অপহরণের দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে – বাম মোর্চা

১৭ এপ্রিল দুপুরে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় গৃহীত এক প্রস্তাবে দেশব্যাপী হত্যা, গুম, অপহরণ ও সহিংস সন্ত্রাসী তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করা হয় এবং বলা হয় দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে জনগণের বিভিন্ন অংশের মধ্যে গভীর নিরাপত্তাহীনতা সৃষ্টি হয়েছে। পরিবেশবাদী আন্দোলনের সংগঠক সৈয়দ রেজওয়ানা হাসানের স্বামী আবু বকর সিদ্দিকীর অপহরণ প্রমাণ করে দেশের জনগণের কারোই জানমালের কোনো নিরাপত্তা নাই। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা যেভাবে অপরাধমূলক তৎপরতার সাথে যুক্ত হয়ে পড়ছে তা দেশবাসীর মনে গভীর উৎকণ্ঠা জন্ম দিয়েছে। হত্যা, গুম, অপহরণ ও বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ এসব সন্ত্রাসী তৎপরতার দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে। প্রস্তাবে এসব সন্ত্রাসী তৎপরতা প্রতিরোধে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের আহ্বান জানানো হয়। বাসদ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বাম মোর্চার সমন্বয়ক অধ্যাপক আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন বাম মোর্চার কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল হক, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, এড. আব্দুস সালাম, হামিদুল হক, মানস নন্দী, আকবর খান, ওবায়দুল্লাহ মুসা, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, ফখরুদ্দিন কবির আতিক প্রমুখ।

রাস্তা ও সেতুর উপর নতুন আরোপিত টোল সেবার পরিবর্তে জনগণের উপর চাবুক

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী এক বিবৃতিতে দেশের সব জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা সড়ক-মহাসড়কে যানবাহন চলাচলের জন্য টোল আরোপের সরকারি সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে মহাজোট মন্ত্রিসভা কর্তৃক গৃহীত এই গণবিরোধী সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, যানবাহনের ওপর আরোপ করা হলেও টোলের বোঝা শেষপর্যন্ত জনসাধারণের ঘাড়েই চাপবে। নতুন করে এই বাড়তি টোল ধার্য্য করার ফলে বাস ভাড়া বাড়বে, পণ্য পরিবহনের খরচ বাড়ায় দ্রব্যমূল্য আরো বাড়বে। ফলে নতুন আরোপিত টোল সেবার পরিবর্তে জনগনের উপর চাবুক হিসেবে পতিত হবে। কিছুদিন আগেই বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পর সড়কে টোল আরোপের এই সিদ্ধান্তে মূল্যস্ফীতি ও জীবনযাত্রার ব্যয়বৃদ্ধিতে জর্জরিত সাধারণ মানুষের জীবন আরো দুর্দশাগ্রস্ত হবে। অন্যদিকে জেলা-উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত সড়কে টোল আদায়ের ইজারা-নিলাম-ডাক ইত্যাদি দখলের মাধ্যমে সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের পকেট ভারী করার ব্যবস্থা করা হবে, ফলে চাঁদাবাজি ও নৈরাজ্য বাড়বে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়, টোল আদায় করে সেবার মান বৃদ্ধির কথা বলা হচ্ছে, অথচ জনগণ সরকারি কোষাগারে যে ট্যাক্স দেয় সেই অর্থ দিয়েই এতদিন সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন করা হয়েছে। এখন জনগণের অর্থে নির্মিত সড়ক-সেতুসহ যোগাযোগ অবকাঠামোকে সরকার ধাপে ধাপে, খণ্ড খণ্ডভাবে বেসরকারিখাতে ছেড়ে দিতে চায়। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই টোল আরোপের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যাতে ভবিষ্যতে পুঁজিপতিরা সড়ক-সেতু নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে বিনিয়োগ করে বিনিময়ে জনগণের কাছ থেকে অর্থ আদায় করে মুনাফা লুটতে পারে। এভাবে, শিক্ষা-স্বাস্থ্য-যোগাযোগ-বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানিসহ যা কিছু অপরিহার্য সেবা জনগণের অধিকার হিসেবে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে দিতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল তা থেকে সরে এসে এসব সেবাখাত বেসরকারি ও বাণিজ্যিকীকরণ করে ব্যবসায়ীদের মুনাফা লুন্ঠনের ক্ষেত্রে পরিণত করছে। বিশ্বব্যাপী পুঁজিবাদী-সাম্রাজ্যবাদীদের অনুসৃত বেসরকারিকরন-উদারীকরণ-বিশ্বায়ন নীতিকেই বাংলাদেশের ধনিকশ্রেণীর স্বার্থক্ষাকারী শাসক দলগুলো এভাবে বাস্তবায়ন করছে। এইসব গণবিরোধী নীতি ও পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী গণবিক্ষোভ বাড়ছে। কিছুদিন আগে ব্রাজিলে ভাড়াবৃদ্ধি ও সরকারি পরিবহন ব্যক্তিখাতে দেয়ার প্রতিবাদে বিরাট আন্দোলন হয়েছে। বাংলাদেশেও গায়ের জোরে ক্ষমতাসীন মহাজোট সরকার কর্তৃক জনমতকে উপেক্ষা করে নেয়া এসব স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপকে প্রতিহত করতে হলে শক্তিশালী গণআন্দোলন গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই।

স্টেডিয়াম সম্প্রসারণের নামে লাক্কাতুরা বাগানের শ্রমিকদের উচ্ছেদ আয়োজনের প্রতিবাদ

Tea Fedarationবিভাগীয় স্টেডিয়াম সম্প্রসারণের নামে লাক্কাতুরা বাগানের শ্রমিকদের উচ্ছেদ আয়োজনের তৎপরতার প্রতিবাদে, ক্ষতিগ্রস্ত সকল শ্রমিকদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পূর্ণবাসন নিশ্চিত করার দাবিতে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে ১৯ এপ্রিল বিকাল ৫টায় রেস্টক্যাম্প বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন চা শ্রমিক ফেডারেশন সিলেট জেলার আহবায়ক বীরেন সিং। বক্তব্য রাখেন বাসদ সিলেট জেলার সদস্য এড. হুমায়ূন রশীদ শোয়েব, বাংলাদেশ চা শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক হৃদেশ মুদি, লাক্কাতুরা চা বাগানের শ্রমিক লাংকাট লোহার, আমেনা বেগম, গৌরাপ্রসাদ মোহান্ত, মলিন দাস, সন্তোষ লোহার প্রমুখ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, সিলেটের নব নির্মিত বিভাগীয় স্টেডিয়াম লাক্কাতুরা চা বাগানে অবস্থিত। লাক্কাতুরা চা বাগানে বিভাগীয় স্টেডিয়াম নির্মানকালে ৩০টি শ্রমিক পরিবারকে তাদের ভূমি থেকে উচ্ছেদ করা হলেও এখনও পর্যন্ত কোন ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়নি। শুধু তাই নয়, আরও ১৩টি পরিবারকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে বিভাগীয় স্টেডিয়ামের রাস্তা সম্প্রসারনের নামে। বিভাগীয় স্টেডিয়ামের পূর্ব প্রান্ত অর্থাৎ শ্রমিকদের বসবাসের জায়গার উপর দিয়ে রাস্তা নির্মানের জন্যে ভাঙ্গা হচ্ছে শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, কেটে নেয়া হচ্ছে শ্রমিকদের লাগানো বিভিন্ন গাছপালা। অথচ স্টেডিয়ামের পশ্চিম প্রান্ত দিয়ে রাস্তা নির্মান করলে এই সমস্যার কোনটিই ঘটতো না। একদিকে বিভাগীয় স্টেডিয়ামের ফলে শ্রমিকরা তাদের ভূমি থেকে যেমন উচ্ছেদ হচ্ছেন, অন্যদিকে সাম্রাজ্যবাদী বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন ইতিমধ্যে বাগানের পূর্ব প্রান্তের জমি দখল করে নিয়েছে। সম্প্রতি জেলা ক্রীড়া সংস্থা স্টেডিয়ামকে আধুনিকীকরণের আরও যে পরিকল্পনা নিয়েছেন তা বাস্তবায়ন করতে হলে লাক্কাতুরার সবগুলো শ্রমিক পরিবারকেই উচ্ছেদ হতে হবে। অথচ এখন পর্যন্ত কোনো পুনর্বাসন কিংবা ক্ষতিপূরণের পরিকল্পনা শ্রমিকদের সামনে হাজির করা হয়নি। চা শিল্পের আইন অনুযায়ী বাগানের জমিতে অন্য কিছু করার সুযোগ নেই। ফলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে লাক্কাতুরা চা বাগান বাস্তবে থাকবে কি? চা শিল্পের বাস্তব অবস্থার কারনেই বাগানে চা শ্রমিকদের অবস্থান অবশ্যম্ভাবি। তাই যে দিন থেকে চা বাগান আছে সেদিন থেকে চা শ্রমিকরাও সেখানে বসবাস করছেন, অর্থাৎ দেড়’শ বছর থেকে শ্রমিকরা বাগানে অবস্থান করছেন। কিন্তু স্বাধীন দেশে ৪২ বছর পরও অর্জিত হয় নি তাদের ভূমির অধিকারটুকু। ফলে চা-শ্রমিকদের এই ভূমি থেকে উচ্ছেদ হওয়া মানে এদেশের কোথাও তাদের মাথা গুজার জায়গা থাকবে না। এই পরিস্থিতি থেকে চা শ্রমিকদের রক্ষার জন্য ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের পুনর্বাসনের জন্যে নতুন বাড়ী নির্মাণ ও ১ লক্ষ টাকা নগদ ক্ষতিপূরণ প্রদান, বাগানের জমি অন্য খাতে বরাদ্দ বন্ধ, বাগানকে কেন্দ্র করে সকল সিদ্ধান্ত লিখিত আকারে শ্রমিকদের সামনে ঘোষণা করা, বিভাগীয় স্টেডিয়ামের নানা কর্মক্ষেত্রে চা-শ্রমিক ও বাগানের যুবকদের যোগ্যতা ও অগ্রধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া এবং শ্রমিকদের ভূমির অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানান।

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সিলেটে বিক্ষোভ

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাসদ সিলেট জেলার উদ্যোগে গত ৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় শহরের মদীনা মার্কেট এলাকায়, ৮ এপ্রিল বিকাল ৫টায় মেজরটিলা বাজারে ও একইদিন সন্ধ্যা ৭টায় শাহপরান বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশগুলোতে বক্তব্য রাখেন বাসদ নেতা এড. হুমায়ুন রশীদ সোয়েব, সুশান্ত সিনহা, রনেন সরকার রনি, রয়েল আদিত্য, ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর সভাপতি রেজাউর রহমান রানা, শাবিপ্রবি শাখার সাধারণ সম্পাদক অপু দাস, সঞ্জয় কান্ত দাস, অনীক ধর, মিজানুর রহমান।

হিমাগারের সামনে আলুচাষী সংগ্রাম পরিষদের বিক্ষোভ

রংপুর : বস্তা প্রতি কোল্ডস্টোরেজের ভাড়া ১৫০ টাকা নির্ধারণ, স্টোরেজের ৭০ ভাগ স্থান প্রকৃত চাষীদের জন্য বরাদ্দ ও সংরক্ষিত আলুর উপর সহজ শর্তে ব্যাংক ঋণ প্রদানের দাবিতে ২০ মার্চ সকাল ১১টায় রংপুর জেলা আলুচাষী সংগ্রাম পরিষদ রংপুর হিমাগারের সামনে বিক্ষোভ-সমাবেশ করেছে। সংগঠনের জেলা আহবায়ক আনোয়ার হোসেন বাবলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন বাসদ নেতা পলাশ কান্তি নাগ, আহসানুল আরেফীন তিতু, আলুচাষী আইয়ুব আলী বাদশা, আনোয়ারুল ইসলাম প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্ত আলুচাষীদের স্বার্থ রক্ষায় আলুচাষী সংগ্রাম পরিষদ উত্থাপিত দাবিসমূহ অবিলম্বে বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
বগুড়া : আলুচাষী সংগ্রাম পরিষদ এবং ক্ষেতমজুর ও কৃষক ফ্রন্টের উদ্যোগে ১৩ মার্চ বেলা ১১টায় বগুড়া রেলস্টেশনের চৌধুরী কোল্ডস্টোরেজের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ বগুড়া জেলা শাখার সমন্বয়ক প্রভাষক কৃষ্ণ কমল, কৃষকনেতা শামছুল আলম দুলু, আব্দুল জলিল, বাসদ নেতা আব্দুল হাই, আলুচাষী সংগ্রাম পরিষদের নেতা আব্দুর রশিদ প্রমুখ।

খেলার মাঠ রক্ষার দাবিতে চট্টগ্রামে আন্দোলন

Ctg_Math Rokkha 2চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে জাম্বুরী মাঠকে পার্ক করার ঘোষণার প্রতিবাদে ‘খেলার মাঠ রক্ষা কমিটি’-র উদ্যোগে গত ১১ এপ্রিল বিকাল ৪টায় এক মানববন্ধন ও সমাবেশ জাম্বুরী মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে শত শত এলাকাবাসী, ক্রীড়ানুরাগী ও বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাবসমূহ অংশগ্রহন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ২৮, ২৯, ৩৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বাসদ নেত্রী জান্নাতুল ফেরদাউস পপি। বক্তাগণ অবিলম্বে জাম্বুরী মাঠকে পার্ক করার ঘোষণা প্রত্যাহার করে একে মিনি ষ্টেডিয়াম ঘোষণা করার দাবি জানান। সমাবেশ থেকে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ, ডিসি অফিস ঘেরাও, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ২৮, ২৯, ৩৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জান্নাতুল ফেরদাউস পপি। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ৩৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, বন্দর ট্রাক মালিক সমিতির সভাপতি এস.এম হাবিবুল হক, কদমতলী ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো: নুরুল আবছার, খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরের সহ-সভাপতি এ্যরশাদ হোসেন, গোসাইলডাঙ্গা যুবক গোষ্ঠীর সভাপতি আবু তাহের, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল বশর জুয়েল, কার্যকরী সভাপতি আতাওর রহমান, সাবেক সভাপতি এসকান্দর ফারুক ও মোক্তার হোসেন, সাবেক সহ-সম্পাদক আবু তালেব সোহেল, সিজেকেএস এর সাবেক কাউন্সিলর ও চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল এসোসিয়েসনের সদস্য শাহীন সরোয়ার, সোনালী অঙ্গনের সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দীন তরফদার, ডলফিন ক্লাবের সভাপতি প্রফেসর আমির উদ্দীন, সদস্য মো: আনিস, উদয়ন সংঘের ক্রীড়া সম্পাদক মো: একরামুল হক, মাঠ রক্ষা কমিটির সংগঠক মাহমুদ, মহানগর ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো: সোহেল, বেচা শাহ যুব কল্যাণ সংস্থার ক্রীড়া সম্পাদক নুরুল আজীম, ভোরের সাথির সভাপতি তপন, সাধারণ সম্পাদক সুজন, অগ্নিবীনা সভাপতি আব্দুল্লাহ আল নোমান, বড়বাড়ী ইয়ং বয়েস এর উপদেষ্টা সৈয়দ মো: লিটন, একতা গোষ্ঠির সহ-সাধারণ সম্পাদক বাবুল দাস তনয়, মাঠ রক্ষা কমিটির সংগঠক কাঞ্চন সরকার। সমাবেশ পরিচালনা করেন স্থানীয় কাজী নজরুল পাঠাগারের উপদেষ্টা মহিন উদ্দীন বাপ্পী।
সভায় বক্তাগণ বলেন, সম্প্রতি চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক ও বিখ্যাত জাম্বুরি মাঠকে পার্ক করার ঘোষণা দিয়েছেন গণপূর্ত মন্ত্রী। এ ঘোষণায় সচেতন নাগরিকরা উৎকণ্ঠিত, কারণ মাঠটিকে পার্ক করা হলে স্থানীয় শিশু-কিশোর-তরুণদের খেলার সুযোগ থাকবে না। কয়েক বছর আগে জনগণের প্রতিবাদ সত্ত্বেও এ মাঠের একাংশে শিশু পার্ক নির্মাণ করে মাঠকে সংকুচিত করা হয়েছে। মাঠের বাকী অংশে দীর্ঘদিন ধরে সব্জি চাষ করাতে সেখানেও খেলাধুলার সুযোগ কমে গিয়েছে। চট্টগ্রাম শহরে যেখানে মাঠের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম, সেখানে বিদ্যমান মাঠগুলোও একের পর এক দখল হয়ে যাচ্ছে বিভিন্ন কারণে। দেশের ভবিষ্যত সুস্থ প্রজন্ম গড়ে তুলতে হলে খেলাধুলাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের আয়োজন রাখতে হবে। এ আয়োজনগুলোর অভাবে আমাদের কিশোর-তরুণরা বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, মাদক-অপসংস্কৃতি ইত্যাদিতে জড়িয়ে যাচ্ছে। শিশু-কিশোর-তরুণরা খেলাধুলার অভাবে ঘরের চার দেয়ালে মাঝে বন্দি হয়ে বড় হচ্ছে যার কারণে তারা আত্মকেন্দ্রিক-স্বার্থপর হিসেবে গড়ে উঠছে। তাদের চিন্তার জগত আটকে আছে কম্পিউটার, মোবাইল ইত্যাদিতে। এছাড়াও স্কুল, পড়াশুনা, কোচিং-প্রাইভেট ইত্যাদিতে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকার পর তারা যখন অবসর সময়ে একটু খেলাধুলার সুযোগ পাচ্ছে না তখন তারা শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে সুস্থভাবে বিকশিত হতে পারছে না। একসময় চট্টগ্রাম থেকে দেশের জাতীয় পর্যায়ে ফুটবল-ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলায় খেলোয়াড়রা অবদান রাখতে পেরেছে, কিন্তু এখন মাঠের অভাবে সঠিকভাবে ক্রীড়া অনুশীলনও করতে পারছে না খেলোয়াড়রা। চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড, কলেজিয়েট, জাম্বুরি, শাহাজাহান মাঠসহ বিভিন্ন মাঠের চিত্র হচ্ছে এ মাঠগুলোতে একটু জায়গা পাওয়ার জন্য খেলোয়াড়দের মাঝে এমনকি সংঘাতও হয়। কিশোর-তরুণরা মাঠে খেলতে না পেরে শুধু টেলিভিশনে খেলার দর্শক হিসেবে বেড়ে উঠছে। বর্তমান সময়ে ক্রীড়াজগতে খেলাধুলাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের জুয়া-বাজি ইত্যাদি অপরাধমূলক কর্মকান্ড সৃষ্টি হওয়ার প্রভাব পড়ছে আমাদের তরুণদের মধ্যে। খেলার সুস্থ বিনোদনের দিক ও সৌন্দর্য-নান্দনিকতা এভাবে হারিয়ে গিয়ে খেলাও পরিণত হয়েছে পণ্যে। এসবের সর্বগ্রাসী নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিশু-কিশোর-তরুণদের উপর। তাই আমাদের তরুণ প্রজন্মকে সুস্থ-সবল ও দেশপ্রেমিক প্রজন্ম হিসেবে গড়ে তুলতে হলে ধেলাধুলার চর্চাসহ বিভিন্ন সামাজিক আয়োজন প্রয়োজন।

গ্রামীণ জনগণের জন্য সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং সুষ্ঠু বণ্টনের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান

গ্রামীণ দরিদ্র জনগণের জন্য সরকারি বরাদ্দ বৃদ্ধি এবং তা সুষ্ঠু বন্টনের দাবিতে বাসদ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটি হোসেনপুর উপজেলা শাখার উদ্যোগে ১৯ মার্চ বেলা ১২টায় হোসেনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি প্রদান করার পূর্বে শহরের নতুন বাজার মোড় থেকে একটি মিছিল গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাসদ উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আলাল মিয়া, বাসদ জেলা নেতা চন্দন সরকার, ছাত্র ফ্রন্ট নেতা রবিন, সুমন, সোহেল প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, দিনের পর দিন দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ চরম দিশেহারা। একদিকে চড়া দামে সার-বীজ-কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণ কিনতে হয়, অপরদিকে কৃষক ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। ভিজিডি, ভিজিএফ, টিআর, কাবিখা, কর্মসৃজন প্রকল্পসহ সরকারি যে সকল প্রকল্প রয়েছে তার অধিকাংশই ভুক্তভোগী দরিদ্র জনগোষ্ঠীর মানুষের কাছে পৌঁছায় না। এছাড়া এই সরকারি বরাদ্দ পেতে দরিদ্র মানুষদের হয়রানির স্বীকার হয় এবং অবৈধভাবে ঘুষের লেনদেন হয়। বক্তারা এই সকল সরকারি বরাদ্দের পরিমাণ, উপকারভোগীর সংখ্যা ও মেয়াদ বৃদ্ধি করা এবং ঘুষ-দুর্নীতি-দলীয়করণ-অনিয়ম বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহ্বান জানান। একইসাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে প্রয়োজনীয় ডাক্তার, পর্যাপ্ত ঔষধ ও প্রসূতি মায়েদের সেবা নিশ্চিত করা এবং হাটে-ঘাটে সরকারি টোল চার্ট লাগানো ও ইজারাদারী-জুলুম-নির্যাতন বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।

সিলেটে নারী ধর্ষণকারী সেনা সদস্যের বিচারের দাবিতে নারীসমাজের বিক্ষোভ

বটেশ্বর সেনানিবাস এলাকায় আদিবাসী পাত্র সম্প্রদায়ের নারী ধর্ষণকারী সেনা সদস্য আজিরুল হকের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও পাত্র সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবিতে সিলেটের নারী সমাজ গত ১২ এপ্রিল বিকাল ৫টায় সিলেটের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করে। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় নারী জোট সিলেট জেলার সভাপতি বেগম শামীম আখতার এবং পরিচালনা করেন বাংলাদেশ নারীমুক্তি কেন্দ্র সিলেট জেলার সংগঠক তামান্না আহমদ। বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির প্রাক্তন সভাপতি ই.ইউ শহীদুল ইসলাম, তাহমীম আইডিয়াল স্কুলের অধ্যক্ষ হামিদা খান লনি, বাংলাদেশ নারীমুক্তি সংসদ সিলেট জেলার সভাপতি ইন্দ্রানী সেন সম্পা, নারী মুক্তি কেন্দ্র সংগঠক ইশরাত রাহি রিশতা, ছাত্র ফ্রন্ট নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুবাইয়াৎ আহমদ প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন গনতন্ত্রী পার্টি সিলেট জেলার সভাপতি ব্যারিস্টার মো. আরশ আলী, সিপিবি সিলেট জেলার সভাপতি এড. বেদানন্দ ভট্টাচার্য, জাসদ সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক লোকমান আহমদ, জেলা বাসদ আহবায়ক উজ্জ্বল রায়, জামালগঞ্জ উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা শাহারিয়ার, জাসদ নেতা আলাউদ্দিন আহমদ মুক্তা, আদিবাসী নারী নেত্রী সুনীলা সিনহা, সাংবাদিক সংগ্রাম সিংহ, আদিবাসী নেতা স্বপন কুমার ঋষি দাস, লক্ষী কান্ত সিংহ, রাকেশ রায়, জাসদ নেতা অলক শ্যাম, বাসদ নেতা এড. হুমায়ূন রশীদ সোয়েব, আইনজীবি তাপস বন্ধু দাশ।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, এই আদিবাসী সম্প্রদায়ের ভূমি অধিগ্রহণ করেই জালালাবাদ ক্যান্টমেন্ট স্থাপিত হয়েছিল। আজ সেনানিবাস এলাকার আদিবাসীরাই সবচেয়ে নিরাপত্তাহীন অবস্থায় বসবাস করছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা ও প্রতিরক্ষার কাজে যারা নিয়োজিত তাদের সদস্য কর্তৃক নারী ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণ করে এই রাষ্ট্র ও সমাজ অধঃপতনের কোন্ জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। এইসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হওয়ার কারণেই নারী নির্যাতন দিন দিন আংশকাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

শাবিপ্রবি-তে যৌননিপীড়নের বিচার দাবি

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগে যৌনহয়রানির দায়ে অভিযুক্ত কর্মচারী আবু সালেহ এবং বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক নাসির উদ্দিনের বিচার দাবিতে ছাত্র ফ্রন্ট শাবিপ্রবি শাখার উদ্যোগে ৯ এপ্রিল বেলা সাড়ে বারোটায় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। শাবিপ্রবি আহ্বায়ক অনীক ধরের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিলেট নগর কমিটির সভাপতি রেজাউর রহমান রানা, মাসুদ করিম সোহাগ, ইশরাত রাহী রিশতা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের পিতৃতুল্য শিক্ষক কিংবা একজন সাধারণ কর্মচারীর হাতে যদি ছাত্রীরা নিপীড়নের শিকার হয় তাহলে বোঝা যায় নারীর সামাজিক নিরাপত্তা আজ কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে।’ ছাত্রনেতৃবৃন্দ লোকপ্রশাসন বিভাগের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে একাত্মতা পোষণ ও সংহতি জ্ঞাপন করেন। সমাবেশ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক এবং কর্মচারীকে স্থায়ী বহিষ্কার, শাবিপ্রবিতে অধ্যয়নরত সকল ছাত্রীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং শাবি’র ‘যৌন নিপীড়ন নিরোধ কেন্দ্র’-কে আরো কার্যকরী করার জন্য শাবি প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়।

জোনাল রাজনৈতিক শিক্ষাশিবির

৩ ও ৪ জোনের রাজনৈতিক শিক্ষাশিবির গত ১১ ও ১২ এপ্রিল যশোরে অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম দিনের অধিবেশন যশোর ইনস্টিটিউটের নাট্যশালা সংসদে ও দ্বিতীয় দিন যশোর টাউন হলে অনুষ্ঠিত হয়। মার্কসবাদ ও দ্বন্দ্বমূলক বস্তুবাদ, বিপ্লবী কর্মীদের কর্মপদ্ধতি ইত্যাদি বিষয় শিক্ষাশিবিরে আলোচিত হয়। শিক্ষাশিবির পরিচালনা করেন বাসদ কেন্দ্রীয় কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য কমরেড শুভ্রাংশু চক্রবর্ত্তী। এছাড়া আলোচনা করেন যশোর জেলা পার্টির সমন্বয়ক হাসিনুর রহমান, সাতক্ষীরা জেলার সমন্বয়ক চিত্তরঞ্জন সরকার, ছাত্র ফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্তী রিন্টু, ছাত্রনেতা রুহুল আমিন। শিক্ষাশিবিরে দুই জোনের প্রায় ৬০ জন নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

মদন মোহন কলেজকে সরকারিকরণ ও সম্মানে বিজ্ঞান বিভাগ চালুর দাবি

মদন মোহন কলেজকে সরকারিকরণ করা, সম্মানে বিজ্ঞান বিভাগ চালু, ছাত্র বেতন-ফি কমানো এবং ক্যাম্পাসে শহীদদের স্মৃতিফলক নির্মাণের দাবিতে ১৫ মার্চ সকাল ১১.৩০টায় ক্যাম্পাসে মিছিল সমাবেশ করেছে ছাত্র ফ্রন্ট মদন মোহন কলেজ শাখা। কলেজ শাখার আহ্বায়ক লিপন আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রুবেল মিয়ার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার সভাপতি রেজাউর রহমান রানা, প্রণব সিংহ।

নোয়াখালী সরকারি কলেজে যাতায়াতের সড়ক সংস্কার ও ক্যাম্পাসের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবি

নোয়াখালী সরকারি কলেজে যাতায়াতের সড়কগুলো সংস্কার ও ক্যাম্পাসের জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে গত ৩০ মার্চ বেলা ১১টায় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন-সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও অধ্যক্ষের মাধ্যমে নোয়াখালী পৌরসভা মেয়র বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছে ছাত্র ফ্রন্ট। মানববন্ধন-সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ছাত্র ফ্রন্ট কলেজ শাখার আহ্বায়ক আনোয়ারুল হক পলাশ, সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন খোকন ও সদস্য কাজী জহির উদ্দিনসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এ সময় বক্তারা বলেন, নোয়াখালী সরকারি কলেজে বিভিন্ন বিভাগে প্রায় ১৪ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। শিক্ষক রয়েছে ৮২ জন এবং কর্মকর্তা-কর্মচারি রয়েছে আরও প্রায় ৮০ জন। এছাড়া কলেজের চারপাশে ৭-৮ হাজার মানুষ বসবাস করছে। এতসব লোকের জন্য নোয়াখালী সরকারি কলেজ সংলগ্ন যে ক’টি সড়ক রয়েছে সবগুলোই চলাচল অনুপযোগী। বর্ষা মৌসুমে প্রায় প্রতিদিনই এসব সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হয় শিক্ষার্থী-শিক্ষক ও পথচারীরা, যাত্রীদের গুনতে হয় অতিরিক্ত ভাড়া। অপর দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে খেলাধুলা করার মতো পর্যাপ্ত জায়গা থাকা সত্বেও জলাবদ্ধতার কারণে শিক্ষার্থীরা খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। তাছাড়া ক্যাম্পাসের আশপাশে ল্যাম্পপোস্ট না থাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও বিঘ্নিত হচ্ছে। বক্তারা অবিলম্বে এসব সংকট নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানান।

এম সি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা ও বাণিজ্য বিভাগ চালুর দাবি

সিলেট এম সি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা ও বাণিজ্য বিভাগ চালুর দাবিতে ১৯ মার্চ ’১৪ সকাল ১২টায় ক্যাম্পাসে মিছিল সমাবেশ করেছে ছাত্র ফ্রন্ট এম সি কলেজ শাখা। ফজলে রহমান চৌধুরী ফরহানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট নগর শাখার সাধারণ সম্পাদক রুবাইয়াৎ আহমেদ, রুবেল মিয়া, অনীক চন্দ, সাদিয়া নোশিন তাসনিম প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা বলেন – কলেজের ঐতিহ্য, অবকাঠামো এবং ছাত্র শিক্ষকসহ সিলেটের জনসাধারণের আকাঙ্খা সবই এমসি কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিকে যৌক্তিক করে তুলেছে।

চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ দিবস পালিত

বাসদ চট্টগ্রাম জেলার উদ্যোগে ১৮ এপ্রিল ঐতিহাসিক চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ দিবস পালিত হয়। এ উপলক্ষে সকাল ৯টায় জে এম সেন হলস্থ মাস্টারদা সূর্যসেনের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বক্তব্য রাখেন বাসদ নেতা অপু দাশ গুপ্ত ও শফিউদ্দীন কবির আবিদ। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, যুব বিদ্রোহের ৮৪ বছর পার হয়েছে কিন্তু মাস্টারদার স্বপ্ন আজও অপূরিত। দেশে এখন বিদেশী শোষণের পরিবর্তে দেশীয় শোষকদের শাসন। সাধারণ মানুষ তার অধিকার বঞ্চিত। নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, মাস্টারদা লড়াই করেছিলেন যুবসমাজকে নিয়ে। আর আজ সেই যুব সমাজের চরিত্র ধ্বংসে চলছে নানা আয়োজন। নেতৃবৃন্দ তার বিরুদ্ধে মাস্টারদা ও অগ্নিযুগের বিপ্লবীদের সংগ্রাম থেকে শিক্ষা নিয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ লড়াই চালানোর আহবান জানান। শেষে মাস্টারদাকে লাল সালাম জানিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় : চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ দিবস উপলক্ষে ‘চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ ও মাস্টার দা সূর্যসেনের জীবন-সংগ্রাম’ শীর্ষক এক আলোচনা সভা ছাত্র ফ্রন্ট জবি শাখার উদ্যোগে গত ১৭ এপ্রিল বেলা ১টায় রফিক ভবনের ৪র্থ তলায় অনুষ্ঠিত হয়। জবি শাখার সভাপতি মাসুদ রানার সভাপতিত্বে এতে আলোচনা করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক স্নেহাদ্রি চক্রবর্তী রিন্টু।

দিনাজপুরে বাম র্মোচার গণমিছিল

অবিলম্বে বিদুৎ-এর বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহারসহ ৭ দফা দাবিতে গণতান্ত্রিক বাম র্মোচা দিনাজপুর জেলা শাখার উদ্যোগে গত ২৯ মার্চ শনিবার বিকেল ৪টায় স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বাম মোর্চার জেলা সমন্বয়ক আনোয়ার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণসংহতি আন্দোলন কেন্দ্রীয় সমন্বয় পরিষদের সদস্য এড. আব্দুস সালাম, বাসদ কেন্দ্রীয় কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য মঞ্জুর আলম মিঠু, বাসদ(মাহবুব) কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক ইয়াসিন মিয়া, জেলা নেতা আকতার আজিজ, বাসদ দিনাজপুর জেলা সমন্বয়ক রেজাউল ইসলাম সবুজ, সন্তোষ গুপ্ত, মাজাহার আলী প্রমুখ। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার ঘোষিত ৭ দফা দাবি মেনে নেয়ার আহবান জানান হয়।

শিশু কিশোর মেলা ও চারণ-এর আয়োজনে বর্ষবরণ

DSC_6726চট্টগ্রাম : নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা’ এ শ্লোগানে শিশু কিশোর মেলা ও চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আয়োজনে ১৪ এপ্রিল বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম শহরের মুসলিম হলে বসেছিল বিভিন্ন স্কুলের কচি-কাঁচাদের মেলা। দুপুর থেকেই মুসলিম হল প্রাঙ্গণ মুখরিত ছিল শিশু-কিশোরদের উপস্থিতিতে। কারো হাতে মানুষের মুখ, কারো মুখে দানবের মুখোশ। কেউ সেজেছে দৈত্য, কেউ পরেছে পেঁচা, আবার কেউ পরেছে বিভিন্ন পাখির মুখোশ। আর যারা কিছু পরেনি তাদের হাতেও শোভা পাচ্ছিল রঙ-বেরঙের ফেস্টুন। সবার আনন্দ উচ্ছল মুখগুলো পুরো মুসলিম হল প্রাঙ্গনকে আলোকিত করে তোলে।
তাদের পরিবেশিত গান-নাটক-নাচের আয়োজন উপভোগ করতে উপস্থিত ছিল হলভর্তি মানুষ। আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ডা. সুশান্ত বড়ুয়া এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণা করেন অধ্যাপক আবুল মনসুর। বক্তব্য রাখেন শিশু-কিশোর মেলা সম্পাদক সত্যজিৎ বিশ্বাস ও চারণের ইনচার্জ ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য সোমা। অনুষ্ঠানের শুরুতে শিশু-কিশোরদের সুসজ্জিত র‌্যালি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
আবুল মনসুর তাঁর বক্তব্যে বলেন, বর্ষবরণ এখন বাঙালির সবচেয়ে বড় অসম্প্রদায়িক উৎসবে পরিণত হয়েছে। কিন্তু সাথে এ কথাও মনে রাখতে হবে যারা এ উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু ছিল বিশেষ করে গ্রাম বাঙলার কৃষক, তাদের আজ দুর্দিন। কারণ ফসলের উৎসবেও আজ তারা ফসলের ন্যায্য মূল্য পায় না। তাই এ সময়ে অন্ত্যজ শ্রেণীর কথা আমাদের বিবেচনা করতে হবে।
এরপর শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ আহ্বানে সম্মিলিত গানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল আয়োজন। শিশু কিশোর মেলা ও চারণের শিল্পীরা একে একে পরিবেশন করে চির পরিচিত লোকায়ত গানগুলো। অনুষ্ঠানে মারমাদের বিজু উৎসবের গান সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। শিশু-কিশোরদের নাটক ‘শূল রাজার দেশে’ মঞ্চায়নের মাধ্যমে এ আয়োজন শেষ হয়।
SONY DSCচাঁদপুর : ফরিদগঞ্জ উপজেলা বাসদ কার্যালয়ে সকাল ৯টায় শিশু কিশোর মেলা ও চারণ আয়োজিত পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাসদ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য আলমগীর হোসেন দুলাল। আরো বক্তব্য রাখেন বাসদ লক্ষ্মীপুর জেলা সংগঠক দীপক চন্দ্র রাউত, ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদস্য সচিব জিএম বাদশা, মৎস্যজীবী সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, শ্রমিক ফেডারেশন সংগঠক ফারুক পাটওয়ারী, সাংবাদিক মানিক পাঠান, শ্রমিক সংগঠক তাজুল ইসলাম তাজু, নারী মুক্তি কেন্দ্রের হেনা আক্তার, পারুল বেগম, বিউটি আক্তার, শিশু কিশোর মেলার তাসনীম বুশরা, দীপশ্রী রাউত, মাস্টার আরমান।
সিলেট : চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও শিশু কিশোর মেলা সিলেট জেলার উদ্যোগে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৯টায় রসময় মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শুরু হয় আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সংগঠক এড. হুমায়ুন রশীদ সোয়েব এবং পরিচালনা করেন শিশু কিশোর মেলা সিলেট জেলার সংগঠক রুবাইয়াৎ আহমেদ। এতে বক্তব্য রাখেন বি.এম.এ সিলেট জেলার প্রাক্তন সম্পাদক ডা. মো. ময়নুল ইসলাম, বাসদ কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য মানস নন্দী, সিলেট জেলার আহ্বায়ক উজ্জল রায় প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিবেশন করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরে বেলা ১১টায় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রেজিস্টারি মাঠে গিয়ে শেষ হয়।DSC00675 copy
রংপুর : চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র রংপুর জেলা শাখার উদ্যোগে সকাল ১০টায় নগরীর শিক্ষা সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। জেলা সংগঠক রোকনুজ্জামান রোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আলোচনা করেন বাসদ রংপুর জেলা সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু, পলাশ কান্তি নাগ। চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও শিশু কিশোর মেলার সদস্যরা আবৃত্তি ও গান পরিবেশন করেন।

সীতাকুন্ডে জাহাজভাঙ্গা ইয়ার্ডে চার শ্রমিকের মৃত্যুর সাথে জড়িত মালিকের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

বাংলাদেশের শ্রমিক-কর্মচারী ফেডারেশন চট্টগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি অপু দাশগুপ্ত ৪ এপ্রিল এক বিবৃতিতে, গতকাল সীতাকুন্ডে কদমরসুল এলাকায় আরেফিন এন্টারপ্রইজ নামের ইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় গ্যাস বিষক্রিয়ায় ৪ জন শ্রমিকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ ও শ্রমিক হত্যার সাথে জড়িত ইয়ার্ড মালিককে গ্রেফতার সহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, সীতাকুন্ড শীপইয়ার্ড দুর্ঘটনায় শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। গতবছর এরকম ১০টি ঘটনা ঘটে। এত পাঁচজন শ্রমিক মারা যান। ২০১২ সালে দুর্ঘটনায় মারা যান ১৪জন শ্রমিক। ২০১১ সালে দুর্ঘটনায় মারা যান অন্তত ১২জন শ্রমিক। আর আহত, অগ্নিদগ্ধ হয়েছে শত শত শ্রমিক। অথচ বিগত সময়ে এই হত্যাকাণ্ডে সাথে জড়িত মালিকদের বিরুদ্ধে কোনোরূপ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অন্যদিকে এই শ্রমিকদের হাড়ভাঙ্গা খাঁটুনিতে আজকে এটি একটি লাভজনক শিল্প হিসেবে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু নির্মম সত্য হলো যারা এই শিল্পকে লাভজনক করে তুলেছে, তাদের নিরাপত্তার জন্য সরকার ও মালিকগোষ্ঠী আজও পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া, সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ছাড়াই এই শিল্পে হাজার হাজার শ্রমিক কাজ করে যাচ্ছে।আর প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।
বিবৃতিতে অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করার জন্য সরকার ও প্রশাসনের কাছে দাবি জানানো হয়। অন্যথায় শীপইয়ার্ড শ্রমিকদের স্বার্থরক্ষায় তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

২৪ এপ্রিল শ্রমিক গণহত্যা দিবস পালন করুন

বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন ২৪ এপ্রিলকে শ্রমিক গণহত্যা দিবস হিসেবে পালনের আহ্বান জানিয়েছে। বাংলাদেশের শ্রমিকদের আগুনে পুড়ে মরা, ভবন ধসে মরা, না খেয়ে মরা এখন নিত্যদিনের ঘটনা। গতবছর ২৪ এপ্রিল ’১৩-তে সাভারে রানা প্লাজায় ভবন ধসে সরকারি হিসাবে ১১৩২ জন (বাস্তবে এ সংখ্যা আরো অনেক বেশি) শ্রমিক গণহত্যার শিকার হয়েছে। এর পূর্বেও তাজরিন ফ্যাশন্স-স্পেকট্রামসহ বিভিন্ন কারখানায় আগুনে পুড়ে, ভবন ধসে শ্রমিক মরেছে। এসব শ্রমিক গণহত্যার কোনো বিচার আজ পর্যন্ত হয়নি, শ্রমিকরা ক্ষতিপূরণ পায়নি, শ্রমিকরা ন্যায্য মজুরি পায়নি।
শ্রমিকের জীবন ও কাজের নিরাপত্তা, ন্যায্য মজুরি ও ট্রেডইউনিয়নের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষে আন্দোলন গড়ে তোলার  অংশ হিসেবে শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন ২৪ এপ্রিল গাজীপুর থেকে সাভারের রানা প্লাজা পর্যন্ত পদযাত্রার কর্মসূচী নিয়েছে। পদযাত্রার কর্মসূচী নিম্নরুপঃ
সকাল ৯টায় গাজীপুর চৌরাস্তায় সমাবেশ ও পদযাত্রা শুরু > ১০টায় কোনাবাড়ীতে পথসভা > ১১টায় কাশিমপুরে পথসভা > ১২টায় জামগড়ায় পথসভা > ১টায় বাইপাইলে পথসভা > ৩টায় নবীনগরে পথসভা > ৫টায় রানা প্লাজায় সমাবেশ

শিশু কিশোর মেলার সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী

গত ১৮ এপ্রিল শিশু কিশোর মেলা রংপুর জেলার উদ্যোগে সদরের তামপাট ইউনিয়নের আজিজুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ে মুক্তিযুদ্ধের উপর সাধারণ জ্ঞান প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মেলার সংগঠক হরিদাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাসদ রংপুর জেলার সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন বাবলু, আজিজুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুতফর রহমান, সহকারি প্রধান শিক্ষক সঞ্জিত কুমার, মেলার সংগঠক রোকনুজ্জামান রোকন, আবু রায়হান বকসি প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments