বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল(মার্কসবাদী) সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরী আজ এক বিবৃতিতে আজ ২৩এপ্রিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক রেজাউল করিম সিদ্দিকী’র হত্যাকান্ডে তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও উদ্বেগপ্রকাশ করে অবিলম্বে হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “দেশে একের পর এক পরিকল্পিত হত্যাকান্ড চলছে। গত বছর অভিজিৎ রায়, ফয়সাল আরেফিন দীপনসহপাঁচজন লেখক-ব্লগারকে খুন করা হয়েছে। কয়েকদিন আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাজিমুদ্দিন সামাদকে হত্যা করাহয়েছে। একই কায়দায় খুন হয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক শফিউল আলম লিলন। দেশের সকল প্রগতিশীল-মুক্তচিন্তার মানুষের জন্য এ এক শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি। কিন্তু প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডের পরেই আমরা পুলিশ বাহিনী,গোয়েন্দা সংস্থা, সরকারের মুখ থেকে শুনতে পাই ‘অমুক করেছে, তমুক করেছে’, ‘অবিলম্বে খুঁজে বের করা হবে’ — এ জাতীয় কথাবার্তা। স্পষ্টতই প্রশ্ন উঠে ১৫-১৬টি গোয়েন্দাবাহিনী, পুলিশ-সামরিক বাহিনীর তাহলে কাজ কী? অপরাধীরা একের পরহত্যাকা- ঘটাচ্ছে কিন্তু তাদেরকে কোনো শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে না। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতিই একের পর হত্যাকান্ডের প্রেক্ষাপট তৈরি করছে।”
একই কায়দায় পরিকল্পিতভাবে ও ঘোষণা দিয়ে একের পর এক হত্যাকান্ড চালানো হলেও পুলিশ-গোয়েন্দা সংস্থা তথা সরকার তা প্রতিরোধে ব্যর্থ। লেখক-প্রকাশক-ভিন্নমতাবলম্বী ব্লগার-ধর্মীয় সংখ্যালঘু সবাই আজ মৌলবাদী জঙ্গী গোষ্ঠীর হাতে আক্রান্ত। খুনীদের বিচার করার ও নিরাপত্তা দেয়ার দায়িত্ব পালন না করে সরকারের কর্তাব্যক্তিরা বরং আক্রান্তদেরই সংযত হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। এভাবে দেশে এক অসহিষ্ণুতার পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে। সমাজে গণতান্ত্রিক পরিবেশ, মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মানুষেরজীবনের নিরাপত্তা রক্ষার স্বার্থে সবস্তরের মানুষকে এই হত্যাকান্ডের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।