Friday, November 22, 2024
Homeসাম্যবাদসাম্যবাদ - মে-জুন ২০২৩‘বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন’ এর ২য় কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত

‘বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন’ এর ২য় কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত

শ্রমিকের বুক চাপা কান্না আর অসহায় দীর্ঘশ্বাসে দেশের বাতাস আজ ভারি। সর্বোচ্চ মুনাফা লুটের বুলডোজারের চাকায় পিষ্ট শ্রমিকের জীবন। একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। অবাধে চলছে লে-অফ, ক্লোজার, ডাউন সাইজিং, লক-আউট। সর্বত্র চলছে ‘হায়ার আ্যন্ড ফায়ার’। চাকুরির স্থায়িত্ব বা নিরাপত্তার কোনো বালাই নেই। সাময়িক নিয়োগই এখন কাজ চালানোর মোক্ষম অস্ত্র। এরই গালভরা নাম ‘আউটসোর্সিং’। সরকারি কারখানার অধিকাংশই বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। দেশের সমস্ত সরকারি পাটকল বন্ধ, বস্ত্রকল বন্ধ। সরকারি চিনিকলগুলোর ৬টি বন্ধ, বাকিগুলো বন্ধের অপেক্ষায়। সরকারি ইস্পাতের কলও দুইদশক আগে বন্ধ হয়েছে। শ্রমিকের পদভারে মুখরিত জনপদ আজ বিরানভূমি। বেসরকারিকরণের নামে এসব সরকারি কারখানা এখন ব্যাক্তিমালিকদের হরিলুটের বিষয়। ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ এর নামে চলছে জনগণের সম্পদ ব্যাক্তিমালিকদের হাতে তুলে দেওয়ার লোভনীয় বন্দোবস্ত। যাবতীয় শ্রম আইন দু’পায়ে মাড়িয়ে যাচ্ছে মালিকরা। মজুরির কোন নিম্নসীমা নেই। নেই শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি পাওয়ার আইনি রক্ষাকবচ।বেকার শ্রমিকের পাল্লা যত বাড়ে, ততই কমে মজুরির হার। সরকার প্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরে মাত্র ৪২টি শিল্পের জন্য নিম্নতম মজুরি ঘোষণা করেছে, আরও ৫৮টি প্রাতিষ্ঠানিক খাতে কোনো নিম্নতম মজুরি নেই। অপ্রাতিষ্ঠানিক সেক্টরে দেশের ৮৫ ভাগ শ্রমশক্তি কাজ করলেও শ্রম আইনের বাইরে থাকায় তাদের নিম্নতম মজুরিরও বালাই নেই। শ্রম আইনে সকল শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার এবং নিজের পছন্দের ট্রেড ইউনিয়নে যোগদানের অধিকার থাকার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ১৭৯ ও ১৮০ ধারায় কৌশলে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন ও রেজিস্ট্রেশন প্রাপ্তিকে নানা শর্তের বেড়াজালে প্রায় অসম্ভব করে তোলা হয়েছে। ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন (সংশোধন) ২০১৮’ অনুসারে, কোনো প্রতিষ্ঠানের কোনো ট্রেড ইউনিয়ন রেজিষ্ট্রেশন করতে চাইলে, মোট শ্রমিকের শতকরা ২০ শতাংশকে সেই ইউনিয়নের সদস্য হতে হবে। অথচ এ ধরনের শর্ত আরোপ সরকার স্বীকৃত আইএলও সনদের ৮৭ ও ৯৮ ধারার (সংঘবদ্ধ হওয়া, স্বাধীনভাবে সংগঠন করা ও নেতা নির্বাচনের অধিকার) পরিপন্থী। আইএলও কনভেনশনে আছে, ১০ জন শ্রমিকও ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে তাদের অনুমতি দিতে হবে। পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে ৭ জন শ্রমিকের সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যায়।ঐক্যবদ্ধ শ্রমিক আন্দোলন আমাদের দেশে প্রায় নেই বললেই চলে। স্বৈরাচারী এরশাদবিরোধী আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠা ‘শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদ (স্কপ)’ ক্ষমতাকেন্দ্রিক দুই সংগঠনের (শ্রমিক লীগ ও শ্রমিক দল) করতলে। বাকি ১১ টি সংগঠনের বেশির ভাগ মহাজোটকেন্দ্রিক হওয়ায় এই জোট কার্যত নিস্ক্রিয়। তাছাড়া শ্রমিক আন্দোলনকে আর দিক থেকেও বিভক্ত করার প্রক্রিয়া বিদ্যমান, রেজিস্টার্ড ও ননরেজিস্টার্ড সংগঠনের মাধ্যমে। আমাদের সংগঠনসহ ৮টি সংগঠনের সমন্বয়ে ‘শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ’ নামে একটি জোট সক্রিয়ভাবে কাজ করছে যদিও এর পরিধি বাড়ানো প্রয়োজন। শ্রমিক আন্দোলনে বিশেষ করে গার্মেন্টস সেক্টরে আর একটি প্রবণতা প্রবলতর হচ্ছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে এনজিওভিত্তিক কিছু সংগঠন কাজ করছে, যাদের সাথে বিদেশি বায়ারদের সংযোগ রয়েছে। এই সংগঠনগুলোতে শ্রমিকরা তাৎক্ষণিক সুবিধার আশায় যুক্ত হচ্ছে, যা আন্দোলনবিমুখতা তৈরি করছে।উল্লেখিত পর্যালোচনার ভিত্তিতে আন্দোলন গড়ে তোলার প্রত্যয় নিয়ে গত ৩ মার্চ, ২০২৩, শুক্রবার ঢাকায় কেন্দ্রিয় শহিদ মিনারে বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের ২য় কেন্দ্রিয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ‘শ্রমিক অধিকার আদায়, গণতন্ত্র ও শোষণমুক্তির লক্ষ্যে বিপ্লবী ধারার শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তুলুন’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে সকাল ১১টায় এই সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষক অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। উদ্বোধন শেষে শ্রমিকদের দাবি সম্বলিত প্লে-কার্ড ও ফেস্টুনে সুসজ্জিত একটি র‌্যালি শহিদ মিনার থেকে মেডিকেল কলেজ, বঙ্গবাজার, গুলিস্তান, পল্টন হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিমনেশিয়ামে এসে শেষ হয়। সম্মেলনে সামিল হওয়ার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে চা শ্রমিক, চিনিকল শ্রমিক, পাটকল শ্রমিক, ব্যাটারিচালিত যানবাহন শ্রমিক, গার্মেন্টস শ্রমিক, রেডিমেড দর্জি শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, হরিজন সম্প্রদায়ভূক্ত পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ নানা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকরা অংশগ্রহণ করে। সারারাতের ক্লান্তি মিছিলের গতি কিংবা শ্লোগানের স্বর কমাতে পারেনি। কয়েকমাস ধরে নিজেরা অর্থ সঞ্চয় করে ব্যক্তিগতভাবে রেজিস্ট্রেশন করে, গণচাঁদা সংগ্রহ করে, তহবিল গঠন করে প্রায় দুই হাজার শ্রমিক সম্মেলনে অংশ গ্রহণ করে যা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, আন্দোলন বিমুখতার এ সময়ে সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। শুধু অর্থনৈতিক দাবি নয়, শ্রমিক শ্রেণির আদর্শভিত্তিক সংগঠন ছাড়া শ্রমিক আন্দোলন জয়যুক্ত হবে না- এই দৃঢ় প্রত্যয় ছিল অংশগ্রহণকারী সকল শ্রমিকের চোখে।
এরপর বিকাল ৩টায় শুরু হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি কমরেড জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল রায়ের সঞ্চালনায় পরিচালিত এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ‘বাসদ (মার্কসবাদী)’ এর সমন্বয়ক কমরেড মাসুদ রানা, অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টার (অওটঞটঈ)’ এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড শঙ্কর দাশগুপ্ত, ‘স্কিম ওয়ার্কার্স ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া’ (অওটঞটঈ অনুমোদিত)’ এর সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইসমত আরা মণ্ডল, বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি কমরেড মানস নন্দী, ‘শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের সমন্বয়ক ও জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশ’ এর সাধারণ সম্পাদক শামীম ইমাম।
উদ্বোধনী বক্তব্যে আনু মুহাম্মদ বলেন, “বর্তমানে আমরা যে পরিস্থিতি পার করছি তা বিশ্বের সব দেশেরই অভিজ্ঞতা। বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী-পুঁজিবাদী ব্যবস্থায় শ্রমজীবী মানুষ শোষিত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে জরুরি কাজ হচ্ছে শ্রমজীবীদের সংগঠিত করা। শ্রমজীবীরাই এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ। কিন্তু তারাই সবচেয়ে নিপীড়িত ও শোষিত। করোনাকালে অনেকে কাজ হারিয়েছে। করোনাকালে এবং যুদ্ধকালে দ্রব্যমূল্য বেড়েছে। গত দু-তিন বছরে সবচেয়ে বেড়েছে। সরকার বলছে, যুদ্ধের কারণে বেড়েছে। এটা ঠিক নয়। লুটপাট ও পুঁজিপতিদের সুবিধা দেওয়ার কারণেই দাম বাড়ছে। এই মূল্যবৃদ্ধি অনিবার্য ছিল না।”
তিনি আরও বলেন, “সরকারের মন্ত্রীদের ভাষ্য হলো রেডিও টেলিভিশন সত্য আড়াল করছে। সরকার আমেরিকা-ভারতকে খুশি রাখতে চায়। কারণ দেশের জনগণের মধ্যে তাদের ভিত্তি নেই। দেশি-বিদেশি পুঁজিপতিদের খুশি রেখে ক্ষমতা ধরে রাখতে চায়। এজন্য তারা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতেও ভয় পায়। জনগণের ভোটাধিকার নেই, ন্যূনতম গণতান্ত্রিক অধিকারও নেই। একটা দেশে যখন গণতন্ত্র থাকে না, তখন সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয় শ্রমজীবী মানুষ। শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন থাকে না। তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কথা বলা যায় না। শ্রমিক লীগ, ছাত্রলীগ, পেটোয়া বাহিনী দিয়ে দমন করে রাখে। তাই ভবিষ্যৎকে নিরাপদ করার জন্য লড়াই করা ছাড়া, সংগঠিত হওয়া ছাড়া উপায় নেই।”
কমরেড শঙ্কর দাশগুপ্ত বলেন, “সর্বপ্রথমে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এদেশের মাটিতে শ্রমিক-কৃষকদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে যিনি নতুন দিকদর্শন তুলে ধরেছিলেন, শ্রদ্ধেয় কমরেড মুবিনুল হায়দার চৌধুরীকে। ভারতবর্ষে ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে বলে শুধু ভারতবর্ষে নয়, তার বাইরেও ব্যাপক প্রচার হচ্ছে। এই উন্নতি কেমন? মুষ্টিমেয় পুঁজিপতি শ্রেণির হাতে সঞ্চিত হচ্ছে সমস্ত সম্পদ। ভারতবর্ষে ধনিক শ্রেণি কর ছাড় পাচ্ছে, অন্যদিকে সাধারণ জনগণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ করের ভারে জর্জরিত। একটা দেশে সত্যিই উন্নতি হচ্ছে কি না তার মাপকাঠি কী? তা কি কেবল সরকারি প্রচারের দ্বারাই নির্ধারিত হবে? সত্যিকার উন্নতির মাপকাঠি হচ্ছে ধনী-গরিবের মধ্যে বৈষম্য কমছে কি না। আপনারা জানেন, এক সময় সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েত ইউনিয়ন শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থান, কাজ ইত্যাদি মৌলিক অধিকারের নিশ্চয়তা দিয়েছিল। সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতির মধ্য দিয়ে বৈষম্য ঘুচিয়ে দিয়েছিল। ধনী-গরিবের বিভাজন ছিল না। ফলে বৈষম্যও ছিল না। এই হচ্ছে সত্যিকারের উন্নয়ন। কিন্তু আজ সমস্ত পুঁজিবাদী দেশে ক্রমাগত বৈষম্য বাড়ছে।”
কমরেড মাসুদ রানা বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারও এদেশে উন্নয়নের গল্প প্রচার করছে। কিন্তু শ্রমজীবীদের জীবনে সেই উন্নয়নের ছাপ কতটুকু? যে শ্রমিকরা উদয়াস্ত পরিশ্রম করে, তারা শিক্ষা-চিকিৎসার অধিকার পাচ্ছে না। টানা ১৪ বছর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থেকে বড় ব্যবসায়ীদের লুটপাটের সুযোগ করে দিচ্ছে, তাদেরই স্বার্থ রক্ষা করছে। ২০১৪ সালে একতরফা নির্বাচনের পর ২০১৮ সালে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় নৈশভোটে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন হয়। এভাবে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে। নির্বাচনব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে আওয়ামী লীগ দেশে এক দলীয় আধিপত্য তৈরি করেছে। সমস্ত গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে। দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। এই ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে শ্রমজীবী মানুষসহ সমস্ত স্তরের জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।”
সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন, চা শ্রমিকদের দীর্ঘ ১৯ দিন কর্মবিরতি, রাজপথ অবরোধসহ প্রতিরোধের মুখে মজুরি ৫০ টাকা বাড়ালেও এরিয়ার বিল নিয়ে প্রতারণা করে তাদের নায্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করেছে। গার্মেন্টস শ্রমিকদের মজুরি ২৫ হাজার টাকা যৌক্তিক দাবি মানা হচ্ছে না, আপিল বিভাগের রায়কে অগ্রাহ্য করে এখনও ঢাকাসহ জেলা শহরে ব্যাটারিচালিত যানবাহন উচ্ছেদ কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে, নাম্বার প্লেটের যৌক্তিক দাবি মানা হচ্ছে না, ঢাকাসহ সারাদেশে রেডিমেড দর্জি শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত মজুরি না দিয়ে তাদেরকে মানবেতর জীবনযাপন করতে বাধ্য করা হচ্ছে। নির্মাণ শ্রমিকদের পরিচয় পত্র, নিরাপত্তা ও মজুরির দাবি উপেক্ষিত হচ্ছে দিনের পর দিন। হরিজন সম্প্রদায়ের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সামাজিক মর্যাদা ও নায্য মজুরি প্রাপ্তি নিশ্চিত করা হচ্ছে না। শ্রমিকদের অধিকার আদায় করতে হলে সংগঠিত হয়ে লড়াই করতে হবে। পাশাপাশি যে মালিকী ব্যবস্থা শ্রমিকদের তীব্র শোষণ করছে, দাসত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করেছে সেই ব্যক্তিমালিকানাধীন মুনাফাভিত্তিক পুঁজিবাদী ব্যবস্থাকে উচ্ছেদের মাধ্যমে শোষণহীন সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিপূরক বিপ্লবী শ্রমিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। সেই লক্ষ্যে বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের পতাকাতলে শ্রমিকদের সমবেত হওয়ার জন্য নেতৃবৃন্দ আহ্বান জানান।
সম্মলনে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গণসংগীত পরিবেশন করে ও চা শ্রমিকদের পরিবেশনায় ঐতিহ্যবাহী কাঠি নৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে জহিরুল ইসলামকে সভাপতি, মানস নন্দীকে সহসভাপতি, উজ্জ্বল রায়কে সাধারণ সম্পাদক ও মাসুদ রেজাকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ২৮ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।

RELATED ARTICLES

আরও

Recent Comments